ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় রমজান মাসজুড়ে চালু থাকবে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মে ২০১৮
  • / ৪৮৯ বার পড়া হয়েছে

এস এম শাফায়েত: রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে চুয়াডাঙ্গাই প্রতিদিনই পরিচালনা করা হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণসহ বাজার নিয়ন্ত্রণের সার্বিক দিক নিয়ে এ আদালত পরিচালিত হবে। পণ্যে ভেজাল, ওজনে কম দেয়া এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোর হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন এই উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া পবিত্র রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনশীল রাখার উদ্দেশ্যে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা। প্রত্যেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক যেন প্রতিটি দ্রব্যমূল্য তালিকা প্রদর্শন করেন এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়। পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের হুশিয়ারী দেয়া হয়।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বড় বাজার, নিচের বাজার, কাঁচা বাজার, মাছ বাজার, ফেরীঘাট রোড ও আলমডাঙ্গার বিভিন্ন বাজারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ’র নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন ভোগ্য পণ্যের দোকানীদেরকে ভেজাল, সঠিক ওজনে পণ্য বিক্রি, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বর্জন ও মূল্য তালিকা টাঙানোর ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়। অভিযানকালে চুয়াডাঙ্গা ফেরীঘাট রোডের এক দোকানে ভোগ্য পণ্যের প্যাকেটে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না দেয়া থাকায় দোকান মালিক হেলাল উদ্দীনকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ধারায় তাকে এ অর্থদন্ড দেয়া হয়। এ ছাড়াও আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া বাজারের দেশ ফার্মেসী মালিককে ১ হাজার ও লিজি ফার্মেসী মালিককে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ফার্মেসী দু’টিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রাখা ও বিক্রি এবং ড্রাগ লাইসেন্স না থাকায় ঔষুধ আইন-১৯৪০ এর ১৮ ও ২৭ ধারায় এ অর্থদন্ড দেয়া হয়।
অভিযানে অংশ নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও আলমডাঙ্গা সার্কেল) মোহা. কলিমুল্লাহ, জেলা ড্রাগ সুপার শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদুল আলম, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ফখরুল ইসলাম, পাপিয়া আক্তার ও পেশকার আব্দুল লতিফ।
জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ‘পুরো রমজান মাসজুড়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় বাজার মনিটরিং টিম কর্তৃক মনিটরিং ব্যবস্থা চালু থাকবে। তারা বাজারের দ্রব্যমূল্যের তালিকা দৃশ্যমান স্থানে টাঙানো আছে কি না, ভেজাল পণ্য মজুদ বা বিক্রি করা হচ্ছে কি না, ওজনে কম দেয়া হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম বা অসদুপায় অবলম্বন করার চেষ্টা করা হলে ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।’
তিনি ভোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাজারে দ্রব্যের তো ঘাটতি নেই। কেন আমরা রমযানের শুরুতেই বেশি বেশি পণ্য কিনি? কেউ প্রয়োজনের অতিরিক্ত দ্রব্য একবারে না কিনলেই মূল্য সহনীয় থাকবে।’
অভিযান প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ বলেন, ‘প্রতি বছর রমজান আসলেই নির্ধারিত কিছু পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অহেতুক পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে। যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। তাই পুরো রমজান মাসজুড়ে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় রমজান মাসজুড়ে চালু থাকবে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা

আপলোড টাইম : ১০:০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মে ২০১৮

এস এম শাফায়েত: রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে চুয়াডাঙ্গাই প্রতিদিনই পরিচালনা করা হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণসহ বাজার নিয়ন্ত্রণের সার্বিক দিক নিয়ে এ আদালত পরিচালিত হবে। পণ্যে ভেজাল, ওজনে কম দেয়া এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোর হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন এই উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া পবিত্র রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনশীল রাখার উদ্দেশ্যে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা। প্রত্যেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক যেন প্রতিটি দ্রব্যমূল্য তালিকা প্রদর্শন করেন এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়। পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের হুশিয়ারী দেয়া হয়।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বড় বাজার, নিচের বাজার, কাঁচা বাজার, মাছ বাজার, ফেরীঘাট রোড ও আলমডাঙ্গার বিভিন্ন বাজারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ’র নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন ভোগ্য পণ্যের দোকানীদেরকে ভেজাল, সঠিক ওজনে পণ্য বিক্রি, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বর্জন ও মূল্য তালিকা টাঙানোর ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়। অভিযানকালে চুয়াডাঙ্গা ফেরীঘাট রোডের এক দোকানে ভোগ্য পণ্যের প্যাকেটে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না দেয়া থাকায় দোকান মালিক হেলাল উদ্দীনকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ধারায় তাকে এ অর্থদন্ড দেয়া হয়। এ ছাড়াও আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া বাজারের দেশ ফার্মেসী মালিককে ১ হাজার ও লিজি ফার্মেসী মালিককে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ফার্মেসী দু’টিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রাখা ও বিক্রি এবং ড্রাগ লাইসেন্স না থাকায় ঔষুধ আইন-১৯৪০ এর ১৮ ও ২৭ ধারায় এ অর্থদন্ড দেয়া হয়।
অভিযানে অংশ নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও আলমডাঙ্গা সার্কেল) মোহা. কলিমুল্লাহ, জেলা ড্রাগ সুপার শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদুল আলম, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ফখরুল ইসলাম, পাপিয়া আক্তার ও পেশকার আব্দুল লতিফ।
জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ‘পুরো রমজান মাসজুড়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় বাজার মনিটরিং টিম কর্তৃক মনিটরিং ব্যবস্থা চালু থাকবে। তারা বাজারের দ্রব্যমূল্যের তালিকা দৃশ্যমান স্থানে টাঙানো আছে কি না, ভেজাল পণ্য মজুদ বা বিক্রি করা হচ্ছে কি না, ওজনে কম দেয়া হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম বা অসদুপায় অবলম্বন করার চেষ্টা করা হলে ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।’
তিনি ভোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাজারে দ্রব্যের তো ঘাটতি নেই। কেন আমরা রমযানের শুরুতেই বেশি বেশি পণ্য কিনি? কেউ প্রয়োজনের অতিরিক্ত দ্রব্য একবারে না কিনলেই মূল্য সহনীয় থাকবে।’
অভিযান প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ বলেন, ‘প্রতি বছর রমজান আসলেই নির্ধারিত কিছু পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অহেতুক পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে। যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। তাই পুরো রমজান মাসজুড়ে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।’