ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় মাদকব্যবসায়ী নিয়ে মিনি ট্রাকের বেপরোয়া গতিতে পালানোর চেষ্টা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩০:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুন ২০১৮
  • / ৫৮৭ বার পড়া হয়েছে

ট্রাকসহ ৪ গরুব্যবসায়ী আটক হলেও কালুর পলায়ন!
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা ভেমরুল্লাহ জেলখানা এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সিগন্যাল ভেঙ্গে গরুর ভাড়া মারা মিনি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। ডিবির ধাওয়ার সাথে আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশ রেলগেট এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে আটক করে ট্রাকটি। এসময় আকুন্দবাড়িয়া রায়পাড়ার বহুল আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী লালু পালালেও চাঁর গরু ব্যবসায়ী ও ট্রাকসহ চালককে আটক করে জেলা গোয়েন্দে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কাগজপাতি না থাকাই ট্রাকটির বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে মামলাসহ ট্রাকটির চালক ও চাঁর গরু ব্যবসায়ীদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আবু বক্কর সিদ্দক, এএসআই সাহিদুল ইসলামসহ সঙ্গীও ফোর্স গতকাল নিয়মিত ডিউটিরত অবস্থায় গোপন সংসাদের মাধ্যমে জানতে পারেন আকুন্দবাড়িয়া রায়পাড়া এলাকার বহুল আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী লালু তার শ্বশুর গরুর ব্যাপারী নজরুল ও শ্যলক আসিফ এর গরুর ভারা মারা ট্রাকে করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানকারি দলটি চুয়াডাঙ্গা ভেমরুল্লা জেলখানার সামনে ট্রাকটির থামানোর জন্য সিগন্যাল দেয়। এসময় ঢাকা মেট্রো ন- ১৫৪১৫৬ নম্বরের ট্রাকটি ডিবি’র সিগন্যাল ভেঙ্গে বেপরোয়া গতিতে পালিয়ে যায়। পরে অভিযানকারি দলটি ট্রাকের পিছু নেওয়াসহ পুলিশ কন্ট্রোল রুমে জানায়। পরে মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশ মুন্সিগঞ্জ রেলগেট এলাকায় বেরিকেড দিয়ে ট্রাকটির গতিরোধ করে। এসময় বহুল আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী আকুন্দবাড়িয়া রায়পড়ার দিলবার রহমান এর ছেলে লালু পালিয়ে যায়।
আটক করা হয় চাঁর গুরু ব্যবসায়ী ও ট্রাকসহ চালককে। আটককৃতরা হল- আকুন্দবাড়িয়া ফার্ম পাড়ার মৃত শুকুর আলীর ছেলে গরু ব্যবসায়ী নজরুল (৪২) ও তার ছেলে ট্রাকটির মালিক ও চালক আসিফ(২২), একই এলাকার আবু বক্কর এর ছেলে গরু ব্যাপারী সহিদুল(৩৫), আলীর ছেলে গরুর ব্যাপারী মিলন(২৮) ও আকুন্দবাড়িয়া তামালতলা পড়ার ইদ্রিস আলীর ছেলে অপর গরুর ব্যাপারী ইনামুলকে(৪২)। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃত ট্রাকটির মালিক ও চালকসহ চাঁর গরু ব্যবসায়ীকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি পুলিশ জানতে পারে আটককৃতরা আসলেই গরুর ব্যাপারী। এসময় ট্রাকটির কাগজপাতি না থাকায় ট্রাকটির বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে মামলাসহ ট্রাক ও চালকসহ গরু ব্যবসায়ীদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় মাদকব্যবসায়ী নিয়ে মিনি ট্রাকের বেপরোয়া গতিতে পালানোর চেষ্টা

আপলোড টাইম : ১১:৩০:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুন ২০১৮

ট্রাকসহ ৪ গরুব্যবসায়ী আটক হলেও কালুর পলায়ন!
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা ভেমরুল্লাহ জেলখানা এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সিগন্যাল ভেঙ্গে গরুর ভাড়া মারা মিনি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। ডিবির ধাওয়ার সাথে আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশ রেলগেট এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে আটক করে ট্রাকটি। এসময় আকুন্দবাড়িয়া রায়পাড়ার বহুল আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী লালু পালালেও চাঁর গরু ব্যবসায়ী ও ট্রাকসহ চালককে আটক করে জেলা গোয়েন্দে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কাগজপাতি না থাকাই ট্রাকটির বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে মামলাসহ ট্রাকটির চালক ও চাঁর গরু ব্যবসায়ীদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আবু বক্কর সিদ্দক, এএসআই সাহিদুল ইসলামসহ সঙ্গীও ফোর্স গতকাল নিয়মিত ডিউটিরত অবস্থায় গোপন সংসাদের মাধ্যমে জানতে পারেন আকুন্দবাড়িয়া রায়পাড়া এলাকার বহুল আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী লালু তার শ্বশুর গরুর ব্যাপারী নজরুল ও শ্যলক আসিফ এর গরুর ভারা মারা ট্রাকে করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানকারি দলটি চুয়াডাঙ্গা ভেমরুল্লা জেলখানার সামনে ট্রাকটির থামানোর জন্য সিগন্যাল দেয়। এসময় ঢাকা মেট্রো ন- ১৫৪১৫৬ নম্বরের ট্রাকটি ডিবি’র সিগন্যাল ভেঙ্গে বেপরোয়া গতিতে পালিয়ে যায়। পরে অভিযানকারি দলটি ট্রাকের পিছু নেওয়াসহ পুলিশ কন্ট্রোল রুমে জানায়। পরে মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশ মুন্সিগঞ্জ রেলগেট এলাকায় বেরিকেড দিয়ে ট্রাকটির গতিরোধ করে। এসময় বহুল আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী আকুন্দবাড়িয়া রায়পড়ার দিলবার রহমান এর ছেলে লালু পালিয়ে যায়।
আটক করা হয় চাঁর গুরু ব্যবসায়ী ও ট্রাকসহ চালককে। আটককৃতরা হল- আকুন্দবাড়িয়া ফার্ম পাড়ার মৃত শুকুর আলীর ছেলে গরু ব্যবসায়ী নজরুল (৪২) ও তার ছেলে ট্রাকটির মালিক ও চালক আসিফ(২২), একই এলাকার আবু বক্কর এর ছেলে গরু ব্যাপারী সহিদুল(৩৫), আলীর ছেলে গরুর ব্যাপারী মিলন(২৮) ও আকুন্দবাড়িয়া তামালতলা পড়ার ইদ্রিস আলীর ছেলে অপর গরুর ব্যাপারী ইনামুলকে(৪২)। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃত ট্রাকটির মালিক ও চালকসহ চাঁর গরু ব্যবসায়ীকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি পুলিশ জানতে পারে আটককৃতরা আসলেই গরুর ব্যাপারী। এসময় ট্রাকটির কাগজপাতি না থাকায় ট্রাকটির বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে মামলাসহ ট্রাক ও চালকসহ গরু ব্যবসায়ীদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।