ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় মাছ ব্যবসায়ী ও ফড়িয়াদের পাল্টা পাল্টি অভিযোগ : জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারক লিপি পেশ : সারাদিন মাছপট্টি এলাকায় হয়নি কেনা বেঁচা : সমস্যা সমাধানে আজ আলোচনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:১৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০১৭
  • / ৩১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার খুচরা (ফড়িয়া) মৎস্য ব্যবসায়ীরা আড়ৎ থেকে মাছ কেনার সময় প্রতি  কেজিতে ১টাকা অতিরিক্ত কমিশন নেওয়ার প্রতিবাদে সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। এদিকে জেলা মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ খুচরা (ফড়িয়া) মৎস্য ব্যবসায়ীদের এই অভিযোগ খন্ডন করে জেলা প্রশাসক বরাবর পাল্টা স্মারকলিপি প্রদান করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মাছ পট্টিতে খুচরা (ফড়িয়া) ব্যবসায়ীরা মাছ কিনতে গেলে আড়ৎদারদের সাথে কেজিতে ১টাকা অতিরিক্ত কমিশন নেয়াকে কেন্দ্র করে গোলযোগের সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে তারা আড়ৎ থেকে মাছ না কিনে চুয়াডাঙ্গা নিচের বাজারের মাছ শেডে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
অন্যদিকে, খুচরা (ফড়িয়া) মৎস্য ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের প্রতিবাদে গতকাল বিকাল চারটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে জেলা মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সমিতির সভাপতি স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- তাদের মাছের আড়ৎ থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার আশ-পাশের সকল বাজারের মাছ বিক্রেতাগণ মাছ ক্রয় করে বিক্রি করে। এ ব্যবসা চালাতে একজন আড়ৎদারকে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পুঁজি খাটাতে হয়। যার অধিকাংশই ফড়িয়াদের কাছে চলে যায়। সময় মত এই লগ্নিকৃত টাকা আদায়ও সম্ভব হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আদায়ের পরিমাণ দাড়ায় সর্বোচ্চ ৫০%। এতে আড়ৎদারদের চরম অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়। এ ছাড়া বাজারের কিছু ফড়িয়ারা খালি হাতে বাজারে আসে এবং মাছ ক্রয়ের জন্য নিলাম করার সময় ২/৩ জন চিহ্নিত ফড়িয়া অন্য ফড়িয়াদের সাথে সমঝোতা করে প্রতিযোগিতামূলক নিলাম অনুষ্ঠানে অদৃশ্য প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করায় মৎস্য চাষীরা প্রকৃত বাজার মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে মৎস্যচাষীরা আশানুরুপ দাম না পাওয়ায় চুয়াডাঙ্গার মৎস্য আড়ৎগুলোয় মাছ সরবরাহ বন্ধ রেখে অন্য জেলার মৎস্যআড়তে তাদের উৎপাদিত মাছ সরবরাহ করে। এরফলে একদিকে যেমন স্থানীয় আড়ৎগুলোয় মাছ আমদানি কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে মৎস্যচাষীদের কাছে আড়ৎদারদের পাওনা দাদনের টাকা অনাদায়ী হয়ে পড়ায় দিনের পর দিন আড়ৎদারেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পূঁজি হারিয়ে এই ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়ছে। আড়ৎদারেরা অভিযোগে আরো বলেন, ফড়িয়ারা যে দামে আড়ৎ থেকে মাছ মাছ ক্রয় করে তার থেকে কেজি প্রতি ৫০/১০০ টাকা বেশি দামে খুচরা বিক্রয় করে। এ ছাড়াও তারা আড়ৎ থেকে ৪২ কেজিতে মন হিসেবে কিনে ৪০ কেজি মন হিসেবে বিক্রয় করে। এতে আড়ৎ ব্যবসায়ীরা লোকশানের সম্মুখিন হলেও তাদেরকে ২ টাকা কমিশন দিতে নারাজ ফড়িয়ারা। এদিকে সারা দেশে কাঁচা মালের ক্রয় বিক্রয় ক্ষেত্রে দু’পক্ষের নিকট থেকে কমিশন কর্তনের ব্যবস্থা চালু আছে। অন্যদিকে ব্রিটিশ আমল হতে মহাজনদের নিকট ৩টাকা ও ওজনে ১টাকা কর্তন করা হয়। তবে ক্রেতার নিকট হতে কোনো কমিশন পাওয়া যায় না। ২০১২ সালে ফড়িয়াদের নিকট থেকে ২টাকা কমিশন দাবি করিলে সাবেক মেয়র টোটন জোয়ার্দ্দার তার দপ্তরে আড়ৎদার মালিক সমিতি ও ফড়িয়াদের আলোচনা সাপেক্ষে ১টাকা কেজি প্রতি কমিশন নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তখন থেকে এ সিন্ধান্ত বহাল থাকলেও সম্প্রতি দ্রব্য মূল্যের সাথে মিল রেখে বাধ্য হয়ে ২টাকা কমিশন আদায় করতে গেলে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা আড়ৎদারদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকী ধামকি দিয়ে মাছ পট্টি থেকে বেরিয়ে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা মাছের আড়ৎদারদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ তুলে একই সময় জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারী ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক লিখিত অভিযোগে বলা হয়, আমরা চুয়াডাঙ্গা বাজার, রেল বাজার ও কেদারগঞ্জ বাজারসহ চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী। আমরা চুয়াডাঙ্গা রেল বাজারের বিভিন্ন মাছের আড়ৎ থেকে পাইকারী দরে মাছ ক্রয় করে বাজারে বসে এবং প্রত্যন্ত গ্রামের খোলা জায়গায় রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মাছ বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করি। ইতিমধ্যে পূর্ব ঘোষিত কোনো নোটিশ বা কোনো অবগত ছাড়াই আড়ৎদারগণ গত ১৮ মার্চ থেকে হঠাত করে মাছের দাম কেজি প্রতি ২ টাকা করে কমিশন নেওয়া শুরু করেছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনী। আমরা আড়ৎদারদেরকে ২ টাকা করে বেশি কমিশন নেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, ২টাকা বেশি কমিশনে মাছ নিলে নাও, না হয় বেরিয়ে যাও! আমরা তাদের কথাই হতাশ হয়ে মাছ না নিয়ে ফিরে আসি। এমতাবস্থায় অতিরিক্ত কমিশনে আমরা মাছ ক্রয় এবং বিক্রয় না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এ ছাড়াও আজ হতে চুয়াডাঙ্গা বাজারসহ আশপাশ এলাকায় তারা কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্তও জানায়। এ ব্যাপারে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত সমাধানের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় মাছ ব্যবসায়ী ও ফড়িয়াদের পাল্টা পাল্টি অভিযোগ : জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারক লিপি পেশ : সারাদিন মাছপট্টি এলাকায় হয়নি কেনা বেঁচা : সমস্যা সমাধানে আজ আলোচনা

আপলোড টাইম : ০৩:১৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার খুচরা (ফড়িয়া) মৎস্য ব্যবসায়ীরা আড়ৎ থেকে মাছ কেনার সময় প্রতি  কেজিতে ১টাকা অতিরিক্ত কমিশন নেওয়ার প্রতিবাদে সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। এদিকে জেলা মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ খুচরা (ফড়িয়া) মৎস্য ব্যবসায়ীদের এই অভিযোগ খন্ডন করে জেলা প্রশাসক বরাবর পাল্টা স্মারকলিপি প্রদান করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মাছ পট্টিতে খুচরা (ফড়িয়া) ব্যবসায়ীরা মাছ কিনতে গেলে আড়ৎদারদের সাথে কেজিতে ১টাকা অতিরিক্ত কমিশন নেয়াকে কেন্দ্র করে গোলযোগের সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে তারা আড়ৎ থেকে মাছ না কিনে চুয়াডাঙ্গা নিচের বাজারের মাছ শেডে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
অন্যদিকে, খুচরা (ফড়িয়া) মৎস্য ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের প্রতিবাদে গতকাল বিকাল চারটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে জেলা মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সমিতির সভাপতি স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- তাদের মাছের আড়ৎ থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার আশ-পাশের সকল বাজারের মাছ বিক্রেতাগণ মাছ ক্রয় করে বিক্রি করে। এ ব্যবসা চালাতে একজন আড়ৎদারকে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পুঁজি খাটাতে হয়। যার অধিকাংশই ফড়িয়াদের কাছে চলে যায়। সময় মত এই লগ্নিকৃত টাকা আদায়ও সম্ভব হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আদায়ের পরিমাণ দাড়ায় সর্বোচ্চ ৫০%। এতে আড়ৎদারদের চরম অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়। এ ছাড়া বাজারের কিছু ফড়িয়ারা খালি হাতে বাজারে আসে এবং মাছ ক্রয়ের জন্য নিলাম করার সময় ২/৩ জন চিহ্নিত ফড়িয়া অন্য ফড়িয়াদের সাথে সমঝোতা করে প্রতিযোগিতামূলক নিলাম অনুষ্ঠানে অদৃশ্য প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করায় মৎস্য চাষীরা প্রকৃত বাজার মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে মৎস্যচাষীরা আশানুরুপ দাম না পাওয়ায় চুয়াডাঙ্গার মৎস্য আড়ৎগুলোয় মাছ সরবরাহ বন্ধ রেখে অন্য জেলার মৎস্যআড়তে তাদের উৎপাদিত মাছ সরবরাহ করে। এরফলে একদিকে যেমন স্থানীয় আড়ৎগুলোয় মাছ আমদানি কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে মৎস্যচাষীদের কাছে আড়ৎদারদের পাওনা দাদনের টাকা অনাদায়ী হয়ে পড়ায় দিনের পর দিন আড়ৎদারেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পূঁজি হারিয়ে এই ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়ছে। আড়ৎদারেরা অভিযোগে আরো বলেন, ফড়িয়ারা যে দামে আড়ৎ থেকে মাছ মাছ ক্রয় করে তার থেকে কেজি প্রতি ৫০/১০০ টাকা বেশি দামে খুচরা বিক্রয় করে। এ ছাড়াও তারা আড়ৎ থেকে ৪২ কেজিতে মন হিসেবে কিনে ৪০ কেজি মন হিসেবে বিক্রয় করে। এতে আড়ৎ ব্যবসায়ীরা লোকশানের সম্মুখিন হলেও তাদেরকে ২ টাকা কমিশন দিতে নারাজ ফড়িয়ারা। এদিকে সারা দেশে কাঁচা মালের ক্রয় বিক্রয় ক্ষেত্রে দু’পক্ষের নিকট থেকে কমিশন কর্তনের ব্যবস্থা চালু আছে। অন্যদিকে ব্রিটিশ আমল হতে মহাজনদের নিকট ৩টাকা ও ওজনে ১টাকা কর্তন করা হয়। তবে ক্রেতার নিকট হতে কোনো কমিশন পাওয়া যায় না। ২০১২ সালে ফড়িয়াদের নিকট থেকে ২টাকা কমিশন দাবি করিলে সাবেক মেয়র টোটন জোয়ার্দ্দার তার দপ্তরে আড়ৎদার মালিক সমিতি ও ফড়িয়াদের আলোচনা সাপেক্ষে ১টাকা কেজি প্রতি কমিশন নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তখন থেকে এ সিন্ধান্ত বহাল থাকলেও সম্প্রতি দ্রব্য মূল্যের সাথে মিল রেখে বাধ্য হয়ে ২টাকা কমিশন আদায় করতে গেলে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা আড়ৎদারদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকী ধামকি দিয়ে মাছ পট্টি থেকে বেরিয়ে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা মাছের আড়ৎদারদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ তুলে একই সময় জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারী ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক লিখিত অভিযোগে বলা হয়, আমরা চুয়াডাঙ্গা বাজার, রেল বাজার ও কেদারগঞ্জ বাজারসহ চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী। আমরা চুয়াডাঙ্গা রেল বাজারের বিভিন্ন মাছের আড়ৎ থেকে পাইকারী দরে মাছ ক্রয় করে বাজারে বসে এবং প্রত্যন্ত গ্রামের খোলা জায়গায় রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মাছ বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করি। ইতিমধ্যে পূর্ব ঘোষিত কোনো নোটিশ বা কোনো অবগত ছাড়াই আড়ৎদারগণ গত ১৮ মার্চ থেকে হঠাত করে মাছের দাম কেজি প্রতি ২ টাকা করে কমিশন নেওয়া শুরু করেছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনী। আমরা আড়ৎদারদেরকে ২ টাকা করে বেশি কমিশন নেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, ২টাকা বেশি কমিশনে মাছ নিলে নাও, না হয় বেরিয়ে যাও! আমরা তাদের কথাই হতাশ হয়ে মাছ না নিয়ে ফিরে আসি। এমতাবস্থায় অতিরিক্ত কমিশনে আমরা মাছ ক্রয় এবং বিক্রয় না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এ ছাড়াও আজ হতে চুয়াডাঙ্গা বাজারসহ আশপাশ এলাকায় তারা কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্তও জানায়। এ ব্যাপারে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত সমাধানের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস।