ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশনের প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা, তিন দফা দাবি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ মার্চ ২০২০
  • / ২২৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন (বাবিবিকএ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে তিনটায় জেলা জজ আদালত ভবনের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাবিবিকএ চুয়াডাঙ্গার সভাপতি মাসুদুজ্জামান। সভাটি পরিচালনা করেন বাবিবিকএ চুয়াডাঙ্গার সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি।
বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধীন বিচার বিভাগের কর্মচারী। নির্বাহী বিভাগ হতে বিচার বিভাগ ২০০৭ সালের ১লা নভেম্বর পৃথকীকরণ করা হয়। বিচার বিভাগের কর্মচারী হওয়া সত্বেও আমাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীর সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়। যেখানে ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার কর্তৃক বিজ্ঞ বিচারকদের জন্য ‘বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেল’ নামে স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রদান করা হয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমরা বিচারকার্যে মাননীয় বিচারক মহোদয়গণের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে কর্ম সম্পাদন করা সত্বেও স্বতন্ত্রবেতন স্কেলসহ সব প্রকার সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত এবং বিচার বিভাগে চাকরি করা সত্বেও জনপ্রশাসনের কর্মচারী হিসেবে আমাদের পরিচিতি চরম বঞ্চনা ও পীড়াদায়ক।’
বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি বলেন, সরকারের অন্য যেকোনো বিভাগের চেয়ে বিচার বিভাগের কর্মচারীগণ অধিক পরিশ্রম করেন, তা যেকোনো বিবেকবান মানুষ আদালতে গিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যারাত পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করলে বুঝতে পারবেন। প্রতিদিনের কাজ শেষ করতে সন্ধ্যারাত এমনকি ছুটির দিনেও কাজ করতে হয়। অধঃস্তন আদালতের কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বর্তমান জনবান্ধব সরকারের নিকট বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের দাবি হলো-
(১) অধঃস্তন আদালতের কর্মচারীদেরকে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা প্রদান। (২) সকল ব্লক পদ বিলুপ্ত করে যুগপোযোগী পদসৃজন পূর্বক মহামান্য হাইকোর্ট ও মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে প্রতি ৫ বৎসর অন্তর অন্তর স্বয়ংক্রিয়ভাবে পদোন্নতি ও উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ব্যবস্থা করা ও (৩) অধঃস্তন সকল আদালতের কর্মচারীদের নিয়োগ বিধি সংশোধন করে এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করা।
সভায় বক্তব্য দেন জজকোর্টের নাজির শ্যামল কুমার সাহা, সেরেস্তাদার মনিরুজ্জামান, নুরুল হক, আব্দুল্লাহ আলমামুন, স্টেনোগ্রাফার রাশেদুজ্জামান, সেরেস্তা সহকারী সোহরাব উদ্দীন, পেশকার জহুরুল ইসলাম, স্টেনোগ্রাফার সুবাস কুমার, কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল্লাহ আল-মামুন মজিদসহ সভায় জজশীপ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশনের প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা, তিন দফা দাবি

আপলোড টাইম : ১০:০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ মার্চ ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন (বাবিবিকএ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে তিনটায় জেলা জজ আদালত ভবনের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাবিবিকএ চুয়াডাঙ্গার সভাপতি মাসুদুজ্জামান। সভাটি পরিচালনা করেন বাবিবিকএ চুয়াডাঙ্গার সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি।
বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধীন বিচার বিভাগের কর্মচারী। নির্বাহী বিভাগ হতে বিচার বিভাগ ২০০৭ সালের ১লা নভেম্বর পৃথকীকরণ করা হয়। বিচার বিভাগের কর্মচারী হওয়া সত্বেও আমাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীর সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়। যেখানে ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার কর্তৃক বিজ্ঞ বিচারকদের জন্য ‘বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেল’ নামে স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রদান করা হয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমরা বিচারকার্যে মাননীয় বিচারক মহোদয়গণের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে কর্ম সম্পাদন করা সত্বেও স্বতন্ত্রবেতন স্কেলসহ সব প্রকার সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত এবং বিচার বিভাগে চাকরি করা সত্বেও জনপ্রশাসনের কর্মচারী হিসেবে আমাদের পরিচিতি চরম বঞ্চনা ও পীড়াদায়ক।’
বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি বলেন, সরকারের অন্য যেকোনো বিভাগের চেয়ে বিচার বিভাগের কর্মচারীগণ অধিক পরিশ্রম করেন, তা যেকোনো বিবেকবান মানুষ আদালতে গিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যারাত পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করলে বুঝতে পারবেন। প্রতিদিনের কাজ শেষ করতে সন্ধ্যারাত এমনকি ছুটির দিনেও কাজ করতে হয়। অধঃস্তন আদালতের কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বর্তমান জনবান্ধব সরকারের নিকট বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের দাবি হলো-
(১) অধঃস্তন আদালতের কর্মচারীদেরকে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা প্রদান। (২) সকল ব্লক পদ বিলুপ্ত করে যুগপোযোগী পদসৃজন পূর্বক মহামান্য হাইকোর্ট ও মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে প্রতি ৫ বৎসর অন্তর অন্তর স্বয়ংক্রিয়ভাবে পদোন্নতি ও উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ব্যবস্থা করা ও (৩) অধঃস্তন সকল আদালতের কর্মচারীদের নিয়োগ বিধি সংশোধন করে এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করা।
সভায় বক্তব্য দেন জজকোর্টের নাজির শ্যামল কুমার সাহা, সেরেস্তাদার মনিরুজ্জামান, নুরুল হক, আব্দুল্লাহ আলমামুন, স্টেনোগ্রাফার রাশেদুজ্জামান, সেরেস্তা সহকারী সোহরাব উদ্দীন, পেশকার জহুরুল ইসলাম, স্টেনোগ্রাফার সুবাস কুমার, কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল্লাহ আল-মামুন মজিদসহ সভায় জজশীপ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।