ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় প্রবল ভারি বর্ষন: নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪৬:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুলাই ২০১৮
  • / ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে

৬৮ মিলিমিটিার বৃষ্টিপাত রেকর্ড : জনদূর্ভোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় বেশ কয়েকদিন তীব্র তাপদাহের পর বৃষ্টিপাতে জনজীবনে স্বস্তি এসেছে। জনমনে স্বস্তি আসলেও ভারি বর্ষনের ফলে শহরের বিভিন্ন রাস্তা ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বাড়ীর উঠানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় বেড়েছে চরম জনদূর্ভোগ। জনদূর্ভোগ বাড়লেও এ বৃষ্টির ফলে মাঠের রোপা আমন ধান ও পাটসহ সকল ফসলের জন্য সুফল বয়ে এনেছে। চুয়াডাঙ্গার আকাশ গতকাল সোমবার দুপুরের পর থেকেই মেঘাচ্ছন্ন ছিল। বিকাল সাড়ে ৪টার পর গোটা আকাশে নিকশ কালো অন্ধকার নেমে আসে। দিনের বেলাতেই রাতের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ওই সময় মুষলধারে বৃষ্টি, বিদুৎ চমকাতে থাকে। এ সময় রাস্তাঘাটে জন ও যান চলাচল কমে যায়। ভারী বর্ষনের ফলে চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সময়মত পয়নিস্কাশন না করা এবং প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিপাতেই বাড়ীর উঠানে ও সড়কে পানি জমে দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবী দ্রুতগতিতে র্নিমাণাধীন ড্রেনের কাজ সম্পন্ন ও পুরাতন ড্রেনের সংস্কার করা হোক। তা না হলে ড্রেনেজ অব্যস্থাপনার কারণে পৌরবাসীকে প্রতি বর্ষা মৌসুম এলেই এমন দূর্ভোগের শিকার হতে হবে। বৃষ্টিপাতের ফলে সড়ক ও আবাসিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও এ বৃষ্টির ফলে মাঠের রোপা আমন ধান ও পাটসহ সকল ফসলের জন্য সুফল বয়ে এনেছে। গতকাল সোমবার বিকাল ৫টার দিকে হঠাৎ করেই চুয়াডাঙ্গার আকাশে কালো মেঘ জমে। এর পরেই শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। রাত ৮টা পর্যন্ত টানা প্রবল বর্ষনের ফলে জনসাধারণ ঘর থেকে বাইরে বের হতে পারেনি। যারা বাইরে ছিল তারা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে দূর্ভোগের শিকার হয়। রাত বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও থেমে থেমে হালকাভাবে বৃষ্টি অব্যহত থাকে। মানুষ বৃষ্টির কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে আসেনি। এছাড়া আবাসিক এলাকাগুলিতে অনেকের বাড়ীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে দূর্ভোগে পোহাতে হয়েছে। কেদারগঞ্জ নিম্নাঞ্চল ও কালীগঞ্জ সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে এসব সড়কে যানচলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে যায়। এছাড়াও বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে কেদারগঞ্জ, টাউন ফুটবল মাঠ, চাঁদমারী ভি জে স্কুল মাঠ, মুক্তিপাড়া, পলাশপাড়া, সাদেক আলী মল্লিকপাড়া, গুলশানপাড়া, হাসপাতালপাড়াসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে। এর ফলে এসব এলাকার মানুষ চরম দূর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার বিকাল বেলা ৫টা থেকে রাত ১১টা ৫৫ পর্যন্ত ৬৮ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এছাড়া আজও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় প্রবল ভারি বর্ষন: নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

আপলোড টাইম : ১১:৪৬:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুলাই ২০১৮

৬৮ মিলিমিটিার বৃষ্টিপাত রেকর্ড : জনদূর্ভোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় বেশ কয়েকদিন তীব্র তাপদাহের পর বৃষ্টিপাতে জনজীবনে স্বস্তি এসেছে। জনমনে স্বস্তি আসলেও ভারি বর্ষনের ফলে শহরের বিভিন্ন রাস্তা ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বাড়ীর উঠানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় বেড়েছে চরম জনদূর্ভোগ। জনদূর্ভোগ বাড়লেও এ বৃষ্টির ফলে মাঠের রোপা আমন ধান ও পাটসহ সকল ফসলের জন্য সুফল বয়ে এনেছে। চুয়াডাঙ্গার আকাশ গতকাল সোমবার দুপুরের পর থেকেই মেঘাচ্ছন্ন ছিল। বিকাল সাড়ে ৪টার পর গোটা আকাশে নিকশ কালো অন্ধকার নেমে আসে। দিনের বেলাতেই রাতের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ওই সময় মুষলধারে বৃষ্টি, বিদুৎ চমকাতে থাকে। এ সময় রাস্তাঘাটে জন ও যান চলাচল কমে যায়। ভারী বর্ষনের ফলে চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সময়মত পয়নিস্কাশন না করা এবং প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিপাতেই বাড়ীর উঠানে ও সড়কে পানি জমে দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবী দ্রুতগতিতে র্নিমাণাধীন ড্রেনের কাজ সম্পন্ন ও পুরাতন ড্রেনের সংস্কার করা হোক। তা না হলে ড্রেনেজ অব্যস্থাপনার কারণে পৌরবাসীকে প্রতি বর্ষা মৌসুম এলেই এমন দূর্ভোগের শিকার হতে হবে। বৃষ্টিপাতের ফলে সড়ক ও আবাসিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও এ বৃষ্টির ফলে মাঠের রোপা আমন ধান ও পাটসহ সকল ফসলের জন্য সুফল বয়ে এনেছে। গতকাল সোমবার বিকাল ৫টার দিকে হঠাৎ করেই চুয়াডাঙ্গার আকাশে কালো মেঘ জমে। এর পরেই শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। রাত ৮টা পর্যন্ত টানা প্রবল বর্ষনের ফলে জনসাধারণ ঘর থেকে বাইরে বের হতে পারেনি। যারা বাইরে ছিল তারা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে দূর্ভোগের শিকার হয়। রাত বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও থেমে থেমে হালকাভাবে বৃষ্টি অব্যহত থাকে। মানুষ বৃষ্টির কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে আসেনি। এছাড়া আবাসিক এলাকাগুলিতে অনেকের বাড়ীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে দূর্ভোগে পোহাতে হয়েছে। কেদারগঞ্জ নিম্নাঞ্চল ও কালীগঞ্জ সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে এসব সড়কে যানচলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে যায়। এছাড়াও বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে কেদারগঞ্জ, টাউন ফুটবল মাঠ, চাঁদমারী ভি জে স্কুল মাঠ, মুক্তিপাড়া, পলাশপাড়া, সাদেক আলী মল্লিকপাড়া, গুলশানপাড়া, হাসপাতালপাড়াসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে। এর ফলে এসব এলাকার মানুষ চরম দূর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার বিকাল বেলা ৫টা থেকে রাত ১১টা ৫৫ পর্যন্ত ৬৮ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এছাড়া আজও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল।