ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় জনতা ব্যাংকে অভিনব কায়দায় দুই লাখ টাকা প্রতারণার চেষ্টা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই ২০১৮
  • / ৩৬৮ বার পড়া হয়েছে

প্রতারক ফরিদ আটক : ক্যাশিয়ারের সর্তকতায় ২ লাখ টাকা রক্ষা!
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা শহরের রেলবাজারে অবস্থিত জনতা ব্যাংক শাখায় অভিনব কায়দায় ২ লাখ টাকা প্রতারণার ব্যর্থ চেষ্টা করে পালানোর সময় ফরিদ নামে এক প্রতারক ব্যাংক কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয়েছে। ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের দৃঢ়তা ও সর্তকতায় ব্যাংকের ২ লাখ টাকা প্রতারণা থেকে রক্ষা পাই। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার আগে প্রতারক মাদারীপুরের হারুনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ প্রতারক হারুনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।সকাল ১১টার দিকে প্রতারণার চেষ্টা করে পালানোর সময় প্রতারক হারুনকে রেল স্টেশন এলাকা থেকে ধাওয়া করে আটক করা হয়। আটককৃত প্রতারক চুয়াডাঙ্গা স্কুলপাড়ার আমির হোসেনের ছেলে বলে পরিচয়দানকারী মাদারীপুর জেলার চর-কামারকান্দি গ্রামের মৃত চাঁন মিয়া ভূইয়া’র ছেলে হারুন (৪০)।জানা যায়, চলতি মাসের ১০ তারিখে চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার জনতা ব্যাংক শাখায় ফরিদ মিয়া নামে একজন একটি এ্যাকাউন্ট খোলে। ব্যাংকে দেওয়া কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী সে চুয়াডাঙ্গা স্কুলপাড়ার আমির হোসেনের ছেলে। উক্ত এ্যাকাউন্টে সামান্য কিছু টাকা লেনদেনও করা হয়। দীর্ঘ কয়েকদিন পর চক্রান্তের বাস্তব রূপ দিতে গতকাল সকাল ১১টার আগে ব্যাংকে আসে প্রতারক ফরিদসহ তার এক সহযোগী। বেশ কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষার পর প্রথমে-৬৯৩০০৫২ নাম্বারের ১ হাজার ৫শ’ টাকার একটি চেক সিনিয়র অফিসার দিয়ে পাশ করিয়ে টাকা উত্তোলন করে। এরপর সিনিয়র অফিসারে’র সিল স্বাক্ষর জাল করে অপর একটি ৬৯৩০০৫৪ নাম্বারের দুই লাখ টাকার চেক অনলাইনে পোস্টিং ছাড়ায় ক্যাশ কাউন্টারে জমা দেয় সে। এসময় ক্যাশিয়ার চেকটি অনলাইনে পোস্টিং দেওয়া হয়নি বলাতে কৌশলে পালিয়ে যায় প্রতারক। ক্যাশিয়ারসহ কর্তৃপক্ষ ঘটনা অনুমান করার সাথে সাথে প্রতারকের পিছু ধাওয়া করে ব্যাংকের লোকজনসহ স্থানীয়রা। একপর্যায়ে রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে আটক করে ব্যাংকে আনা হয়। উত্তেজিত জনতা এসময় তাকে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে ব্যাংকে আটকে রাখে। পরে জনতা ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আটক প্রতারককে সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ম্যানেজার জিয়াউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, চলতি মাসের ১০ তারিখ একাউন্ট খোলার পর গতকাল ১১টার দিকে ব্যাংকের সিনিয়র অফিসারের সিল স্বাক্ষর জাল করে একটি ২ লাখ টাকার চেক অনলাইন পোস্টিং ছাড়ায় ক্যাশ কাউন্টারে জমা দেয় প্রতারক। অভিজ্ঞ ক্যাশিয়ার বিষয়টা বুঝে ফেলাতে প্রতারক পালানোর চেষ্টা করে। কিছু সময় পর তাকে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহয়তায় রেলস্টেশন এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে সদর থানা হেফাজতে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, এই ঘটনার বিষয়ে জনতা ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা এরিয়া অফিসের এজিএম নূরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উক্ত শাখার কর্মকর্তা কর্মচারীদের দক্ষতার ফলে প্রতারককে ধরা সম্ভব হয়েছে। প্রতারক ফরিদ নামে ওই ব্যক্তিকে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে’র নির্দেশ মোতাবেক আজ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় জনতা ব্যাংকে অভিনব কায়দায় দুই লাখ টাকা প্রতারণার চেষ্টা

আপলোড টাইম : ১০:৪৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই ২০১৮

প্রতারক ফরিদ আটক : ক্যাশিয়ারের সর্তকতায় ২ লাখ টাকা রক্ষা!
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা শহরের রেলবাজারে অবস্থিত জনতা ব্যাংক শাখায় অভিনব কায়দায় ২ লাখ টাকা প্রতারণার ব্যর্থ চেষ্টা করে পালানোর সময় ফরিদ নামে এক প্রতারক ব্যাংক কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয়েছে। ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের দৃঢ়তা ও সর্তকতায় ব্যাংকের ২ লাখ টাকা প্রতারণা থেকে রক্ষা পাই। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার আগে প্রতারক মাদারীপুরের হারুনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ প্রতারক হারুনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।সকাল ১১টার দিকে প্রতারণার চেষ্টা করে পালানোর সময় প্রতারক হারুনকে রেল স্টেশন এলাকা থেকে ধাওয়া করে আটক করা হয়। আটককৃত প্রতারক চুয়াডাঙ্গা স্কুলপাড়ার আমির হোসেনের ছেলে বলে পরিচয়দানকারী মাদারীপুর জেলার চর-কামারকান্দি গ্রামের মৃত চাঁন মিয়া ভূইয়া’র ছেলে হারুন (৪০)।জানা যায়, চলতি মাসের ১০ তারিখে চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার জনতা ব্যাংক শাখায় ফরিদ মিয়া নামে একজন একটি এ্যাকাউন্ট খোলে। ব্যাংকে দেওয়া কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী সে চুয়াডাঙ্গা স্কুলপাড়ার আমির হোসেনের ছেলে। উক্ত এ্যাকাউন্টে সামান্য কিছু টাকা লেনদেনও করা হয়। দীর্ঘ কয়েকদিন পর চক্রান্তের বাস্তব রূপ দিতে গতকাল সকাল ১১টার আগে ব্যাংকে আসে প্রতারক ফরিদসহ তার এক সহযোগী। বেশ কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষার পর প্রথমে-৬৯৩০০৫২ নাম্বারের ১ হাজার ৫শ’ টাকার একটি চেক সিনিয়র অফিসার দিয়ে পাশ করিয়ে টাকা উত্তোলন করে। এরপর সিনিয়র অফিসারে’র সিল স্বাক্ষর জাল করে অপর একটি ৬৯৩০০৫৪ নাম্বারের দুই লাখ টাকার চেক অনলাইনে পোস্টিং ছাড়ায় ক্যাশ কাউন্টারে জমা দেয় সে। এসময় ক্যাশিয়ার চেকটি অনলাইনে পোস্টিং দেওয়া হয়নি বলাতে কৌশলে পালিয়ে যায় প্রতারক। ক্যাশিয়ারসহ কর্তৃপক্ষ ঘটনা অনুমান করার সাথে সাথে প্রতারকের পিছু ধাওয়া করে ব্যাংকের লোকজনসহ স্থানীয়রা। একপর্যায়ে রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে আটক করে ব্যাংকে আনা হয়। উত্তেজিত জনতা এসময় তাকে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে ব্যাংকে আটকে রাখে। পরে জনতা ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আটক প্রতারককে সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ম্যানেজার জিয়াউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, চলতি মাসের ১০ তারিখ একাউন্ট খোলার পর গতকাল ১১টার দিকে ব্যাংকের সিনিয়র অফিসারের সিল স্বাক্ষর জাল করে একটি ২ লাখ টাকার চেক অনলাইন পোস্টিং ছাড়ায় ক্যাশ কাউন্টারে জমা দেয় প্রতারক। অভিজ্ঞ ক্যাশিয়ার বিষয়টা বুঝে ফেলাতে প্রতারক পালানোর চেষ্টা করে। কিছু সময় পর তাকে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহয়তায় রেলস্টেশন এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে সদর থানা হেফাজতে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, এই ঘটনার বিষয়ে জনতা ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা এরিয়া অফিসের এজিএম নূরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উক্ত শাখার কর্মকর্তা কর্মচারীদের দক্ষতার ফলে প্রতারককে ধরা সম্ভব হয়েছে। প্রতারক ফরিদ নামে ওই ব্যক্তিকে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে’র নির্দেশ মোতাবেক আজ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।