ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় করোনা কন্ট্রোল রুমের নিয়ন্ত্রণে থাকা অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা বেতন পাচ্ছেন না

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৭:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০২০
  • / ১৪১ বার পড়া হয়েছে

রুদ্র রাসেল:
চুয়াডাঙ্গা করোনা কন্ট্রোল রুমের নিয়ন্ত্রণে থাকা তিন অ্যাম্বুলেন্স চালক এক মাস ডিউটি করেও বেতন পাননি এক টাকাও। অ্যাম্বুলেন্স মালিক পাননি কোনো ভাড়া। করোনা মহামারিতে চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের পরিবহন ও নমুনা সংগ্রহের কাজে ব্যবহারের জন্য তিনটি অ্যাম্বুলেন্সকে হুকুম দখল করে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জানা যায়, ১৯৯৮ সালের অস্থাবর সম্পত্তি হুকুম দখল অধ্যাদেশ (নং-১৮,সন ১৯৮৮) ধারা-৩ এর (১) উপ-ধারায় গত মাসের ১০ তারিখ নেজারত ডেপুটি কালেক্টর অ্যাম্বুলেন্স মালিকের নিকট হতে লিখিত আদেশের মাধ্যমে তিনটি অ্যম্বুলেন্স হুকুম দখল করে। এরপর থেকে অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ তিনটি অ্যাম্বুলেন্স চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়মিত করোনা রোগী পরিবহন ও নমুনা সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে অ্যাম্বুলেন্স তিনটি হুকুম দখলের এক মাস পার হলেও কোনো ভাড়া পাননি অ্যাম্বুলেন্স মালিক, বেতন পাননি কোনো চালক।
হুকুম দখলে থাকা এক অ্যাম্বুলেন্সের চালক বলেন, ‘এক মাস হয়ে যাচ্ছে এক টাকাও পাইনি আমরা। আমাদের বেতনের বিষয়েও কিছুই বলেনি এখনও। শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানি খরচ বহন করছেন সিভিল সার্জন। অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও আমাদেরকে কোনো টাকা দিচ্ছে না। মালিকও কোনো টাকা পাচ্ছেন না।’
হুকুম দখলে থাকা এক অ্যাম্বুলেন্স মালিক বলেন, এপ্রিলের ১০ তারিখে অ্যাম্বুলেন্সটি জমা দেওয়ার জন্য চিঠি আসে। অ্যাম্বুলেন্স জমা দিয়েছি। আমার অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়মিত চলছে, কিন্তু আমি কোনো টাকা-পয়সা পাচ্ছি না। আমাকে শুধু অ্যাম্বুলেন্স বুঝিয়ে দিতে বলেছে, আমি দিয়েছি। কিন্তু আমাকে কিছু বুঝিয়ে দেয়নি। অ্যাম্বুলেন্সটি আমার আয়ের উৎস, এক মাস ধরে আয় নেই। ভাড়া পাব কি, পাব না, কিছুই বুঝতে পারছি না।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সিব্বির আহমেদ বলেন, অস্থাবর সম্পত্তি হুকুম দখল আইনে অ্যাম্বুলেন্স মালিক কখনই ভাড়া পাবেন না। তবে অ্যাম্বুলেন্স চালকের বেতন অ্যাম্বুলেন্স মালিক বহন করবে। যদি অ্যাম্বুলেন্স মালিক চালকের বেতন দিতে অস্বীকার করেন, তবে চালক লিখিত দরখাস্ত দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় করোনা কন্ট্রোল রুমের নিয়ন্ত্রণে থাকা অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা বেতন পাচ্ছেন না

আপলোড টাইম : ০৯:২৭:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০২০

রুদ্র রাসেল:
চুয়াডাঙ্গা করোনা কন্ট্রোল রুমের নিয়ন্ত্রণে থাকা তিন অ্যাম্বুলেন্স চালক এক মাস ডিউটি করেও বেতন পাননি এক টাকাও। অ্যাম্বুলেন্স মালিক পাননি কোনো ভাড়া। করোনা মহামারিতে চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের পরিবহন ও নমুনা সংগ্রহের কাজে ব্যবহারের জন্য তিনটি অ্যাম্বুলেন্সকে হুকুম দখল করে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জানা যায়, ১৯৯৮ সালের অস্থাবর সম্পত্তি হুকুম দখল অধ্যাদেশ (নং-১৮,সন ১৯৮৮) ধারা-৩ এর (১) উপ-ধারায় গত মাসের ১০ তারিখ নেজারত ডেপুটি কালেক্টর অ্যাম্বুলেন্স মালিকের নিকট হতে লিখিত আদেশের মাধ্যমে তিনটি অ্যম্বুলেন্স হুকুম দখল করে। এরপর থেকে অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ তিনটি অ্যাম্বুলেন্স চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়মিত করোনা রোগী পরিবহন ও নমুনা সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে অ্যাম্বুলেন্স তিনটি হুকুম দখলের এক মাস পার হলেও কোনো ভাড়া পাননি অ্যাম্বুলেন্স মালিক, বেতন পাননি কোনো চালক।
হুকুম দখলে থাকা এক অ্যাম্বুলেন্সের চালক বলেন, ‘এক মাস হয়ে যাচ্ছে এক টাকাও পাইনি আমরা। আমাদের বেতনের বিষয়েও কিছুই বলেনি এখনও। শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানি খরচ বহন করছেন সিভিল সার্জন। অ্যাম্বুলেন্স মালিক ও আমাদেরকে কোনো টাকা দিচ্ছে না। মালিকও কোনো টাকা পাচ্ছেন না।’
হুকুম দখলে থাকা এক অ্যাম্বুলেন্স মালিক বলেন, এপ্রিলের ১০ তারিখে অ্যাম্বুলেন্সটি জমা দেওয়ার জন্য চিঠি আসে। অ্যাম্বুলেন্স জমা দিয়েছি। আমার অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়মিত চলছে, কিন্তু আমি কোনো টাকা-পয়সা পাচ্ছি না। আমাকে শুধু অ্যাম্বুলেন্স বুঝিয়ে দিতে বলেছে, আমি দিয়েছি। কিন্তু আমাকে কিছু বুঝিয়ে দেয়নি। অ্যাম্বুলেন্সটি আমার আয়ের উৎস, এক মাস ধরে আয় নেই। ভাড়া পাব কি, পাব না, কিছুই বুঝতে পারছি না।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সিব্বির আহমেদ বলেন, অস্থাবর সম্পত্তি হুকুম দখল আইনে অ্যাম্বুলেন্স মালিক কখনই ভাড়া পাবেন না। তবে অ্যাম্বুলেন্স চালকের বেতন অ্যাম্বুলেন্স মালিক বহন করবে। যদি অ্যাম্বুলেন্স মালিক চালকের বেতন দিতে অস্বীকার করেন, তবে চালক লিখিত দরখাস্ত দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।