ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় উত্ত্যক্তের কারণে স্কুলছাত্রীর লেখাপড়া বন্ধ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯
  • / ২১১ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, হিজলগাড়ী:
গ্রামের এক বখাটের উত্ত্যক্তের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে এক স্কুলছাত্রীর লেখাপড়া। জোরপূর্বক রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার হুমকির কারণে তার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুমকি প্রদান করা হয়েছে ওই স্কুলছাত্রীর দরিদ্র ভ্যানচালক পিতাকে। এ ঘটনায় বখাটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের প্রতিবন্ধী দরিদ্র ভ্যানচালক আহম্মদ আলীর মেয়ে আছমা (১৬) স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থী। প্রায় এক বছর যাবৎ একই গ্রামের পূর্বপাড়ার ছাত্তার আলীর ছেলে এলাকার চিহ্নিত বখাটে রফিকুল ইসলাম ওরফে বাপ্পি আছমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। তবে আছমা তাঁর প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর থেকেই বাপ্পি তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। সে কারণে আছমা স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে বাপ্পি আছমাদের বাসার মোবাইল নম্বর জোগার করে আছমাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন। কয়েক দিন যাবৎ আছমাকে রাস্তা অথবা বাসা থেকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার হুমকি দিচ্ছেন বাপ্পি। তাঁর ভয়ে আছমা ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। স্কুলছাত্রী আছমা অভিযোগ করে বলে, ‘বাপ্পির ভয়ে আমি বাড়ির বাইরে বের হতে পারছি না। আমার সামনে এসএসসি পরীক্ষা। তার ভয়ে আমি টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি।’
স্কুলছাত্রী আছমার বাবা আহম্মদ আলী বলেন, ‘বাপ্পি অনেক দিন যাবৎ আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনদের জানালেও কোনো প্রতিকার হয়নি। বাপ্পির বাড়িতে জানানোর পর বাপ্পি আমাকে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলে, যদি তোদের ও তোর মেয়ের ভালো চাস, তবে তোর মেয়েকে আমার সাথে বিয়ে দে। না হলে পরিণতি কী হবে, তা বুঝতে পারবি।’ মেয়ের ভবিষ্যৎ ও শিক্ষাজীবন নিয়ে চরম দুঃচিন্তায় থাকা আছমার দরিদ্র পিতা বখাটে বাপ্পির শান্তির জন্য মানবাধিকার সংগঠনসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে বখাটে বাপ্পির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাম্ভিকতা নিয়ে বলেন, ‘নিউজ করলে সমস্যা তো মেয়ের হবে। আমার কিছুই হবে না। যা পারেন লেখেন।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াশীমুল বারী সময়ের সমীকরণকে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ তিনি এখনো পাননি। অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় উত্ত্যক্তের কারণে স্কুলছাত্রীর লেখাপড়া বন্ধ!

আপলোড টাইম : ০৯:০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯

প্রতিবেদক, হিজলগাড়ী:
গ্রামের এক বখাটের উত্ত্যক্তের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে এক স্কুলছাত্রীর লেখাপড়া। জোরপূর্বক রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার হুমকির কারণে তার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুমকি প্রদান করা হয়েছে ওই স্কুলছাত্রীর দরিদ্র ভ্যানচালক পিতাকে। এ ঘটনায় বখাটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের প্রতিবন্ধী দরিদ্র ভ্যানচালক আহম্মদ আলীর মেয়ে আছমা (১৬) স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থী। প্রায় এক বছর যাবৎ একই গ্রামের পূর্বপাড়ার ছাত্তার আলীর ছেলে এলাকার চিহ্নিত বখাটে রফিকুল ইসলাম ওরফে বাপ্পি আছমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। তবে আছমা তাঁর প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর থেকেই বাপ্পি তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। সে কারণে আছমা স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে বাপ্পি আছমাদের বাসার মোবাইল নম্বর জোগার করে আছমাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন। কয়েক দিন যাবৎ আছমাকে রাস্তা অথবা বাসা থেকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার হুমকি দিচ্ছেন বাপ্পি। তাঁর ভয়ে আছমা ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। স্কুলছাত্রী আছমা অভিযোগ করে বলে, ‘বাপ্পির ভয়ে আমি বাড়ির বাইরে বের হতে পারছি না। আমার সামনে এসএসসি পরীক্ষা। তার ভয়ে আমি টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি।’
স্কুলছাত্রী আছমার বাবা আহম্মদ আলী বলেন, ‘বাপ্পি অনেক দিন যাবৎ আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনদের জানালেও কোনো প্রতিকার হয়নি। বাপ্পির বাড়িতে জানানোর পর বাপ্পি আমাকে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলে, যদি তোদের ও তোর মেয়ের ভালো চাস, তবে তোর মেয়েকে আমার সাথে বিয়ে দে। না হলে পরিণতি কী হবে, তা বুঝতে পারবি।’ মেয়ের ভবিষ্যৎ ও শিক্ষাজীবন নিয়ে চরম দুঃচিন্তায় থাকা আছমার দরিদ্র পিতা বখাটে বাপ্পির শান্তির জন্য মানবাধিকার সংগঠনসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে বখাটে বাপ্পির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাম্ভিকতা নিয়ে বলেন, ‘নিউজ করলে সমস্যা তো মেয়ের হবে। আমার কিছুই হবে না। যা পারেন লেখেন।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াশীমুল বারী সময়ের সমীকরণকে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ তিনি এখনো পাননি। অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।