ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে মৃত্যুশয্যায় নারী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ জানুয়ারী ২০২১
  • / ২২৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আলমডাঙ্গা উপজেলায় রান্না করার সময় চুলার আগুনে পুড়ে মৃত্যুশয্যায় জমেলা খাতুন (৪০) নামে এক গৃহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত জমেলা খাতুন উপজেলার বড় পুটিমারি গ্রামের মাঠপাড়ার বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী। তাঁর শরীরের ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
জমেলা খাতুনের স্বামী বিল্লাল হোসেন জানান, সন্ধ্যায় প্রতিদিনের মতো রান্না করছিলেন জমেলা খাতুন। পাশে বসেছিলেন তিনি। হঠাৎ অসাবধানতাবসত তাঁর ওড়নাই চুলার আগুন লাগে। পরে মুহূর্তেই পুরো শরীরে আগুন ধরে যায়। এসময় তিনি চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বড় ছেলে আনন্দ বলেন, ‘আমি কাজে থেকে ফিরে ঘরে খাবার খাচ্ছিলাম। রান্নাঘরে আমার মা রান্না করছিল। সাথে আমার বাবাও ছিল। হঠাৎ চেচামেচি শুনতে পেয়ে দেখি আমার মায়ের শরীরে আগুন ধরে গেছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সাজিদ হাসান বলেন, জমেলা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জমেলা খাতুনের শরীরের ৬০ ভাগেরও বেশি পুড়ে গেছে। তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছেন। যেকোনো সময় তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে। শরীরের ৩০ ভাগ পুড়ে গেলে আমরা বিপদজনক বলে মনে করি। জমেলা খাতুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে মৃত্যুশয্যায় নারী

আপলোড টাইম : ১০:০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ জানুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আলমডাঙ্গা উপজেলায় রান্না করার সময় চুলার আগুনে পুড়ে মৃত্যুশয্যায় জমেলা খাতুন (৪০) নামে এক গৃহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত জমেলা খাতুন উপজেলার বড় পুটিমারি গ্রামের মাঠপাড়ার বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী। তাঁর শরীরের ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
জমেলা খাতুনের স্বামী বিল্লাল হোসেন জানান, সন্ধ্যায় প্রতিদিনের মতো রান্না করছিলেন জমেলা খাতুন। পাশে বসেছিলেন তিনি। হঠাৎ অসাবধানতাবসত তাঁর ওড়নাই চুলার আগুন লাগে। পরে মুহূর্তেই পুরো শরীরে আগুন ধরে যায়। এসময় তিনি চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বড় ছেলে আনন্দ বলেন, ‘আমি কাজে থেকে ফিরে ঘরে খাবার খাচ্ছিলাম। রান্নাঘরে আমার মা রান্না করছিল। সাথে আমার বাবাও ছিল। হঠাৎ চেচামেচি শুনতে পেয়ে দেখি আমার মায়ের শরীরে আগুন ধরে গেছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সাজিদ হাসান বলেন, জমেলা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জমেলা খাতুনের শরীরের ৬০ ভাগেরও বেশি পুড়ে গেছে। তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছেন। যেকোনো সময় তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে। শরীরের ৩০ ভাগ পুড়ে গেলে আমরা বিপদজনক বলে মনে করি। জমেলা খাতুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করা হয়েছে।