ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ২৮৭ বার পড়া হয়েছে

ব্যালটের নিরাপত্তা আপনাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে
বিশেষ প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ/ব্রিফিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার গোপাল চন্দ্র দাস বলেছেন, ‘২৯ তারিখ মালামাল গ্রহণের পর দিনের আলো থাকতেই কেন্দ্রে পৌছাতে হবে। এরপর ফলাফল জমা দেওয়া পর্যন্ত আপনাদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। সব কেন্দ্রে খাবারের ব্যবস্থা থাকে না, সে ক্ষেত্রে খাবার সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে। কোন ভাবেই কেন্দ্র ছেড়ে বাইরে যাওয়া যাবে না। কারণ, ওইদিন ব্যালট থাকবে, যার নিরাপত্তা আপনাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সকলে মিলে একটি সুন্দর, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চাই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমির মুক্ত মঞ্চে জেলা প্রশাসন ও জেলা নির্বাচন অফিস এ আয়োজন করে।


জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহমেমদ’র সভাপতিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান-পিপিএম বলেন, ‘৭ বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুত আমরা (পুলিশ)। আমাদের সঙ্গে রয়েছে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিজিবি, র‌্যাব, আর্মি, আরআরএফ, এপিবিএন এবং আনসার ব্যাটালিয়ানের সদস্যবৃন্দ। এ ছাড়াও কিছু অঙ্গীভুত আনসার সদস্য রয়েছে যারা, নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবেন। চার উপজেলা ও চার পৌরসভার ৩৯টি ইউনিয়নের ৩৩৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। এরমধ্যে ১৭২টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ১৬২টি সাধারণ কেন্দ্র। প্রতি কেন্দ্রে ১৩ জন আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন। এরমধ্যে- ১০ জন অঙ্গীভুত আনসার, একজন পিসি, একজন এপিসি আর একজন থাকবে গ্রাম পুলিশ। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্য থাকবে দু’জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে একজন।’
তিনি বলেন, ‘সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ৪০টি মোবাইল টিম দায়িত্বপালন করবে। আরও ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ রয়েছে, পুলিশ লাইন ও থানাগুলোতে আরও রিজার্ভ থাকবে। নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনায় আমরা নিরাপদ ভাবে সকল ভোটারের ভোট গ্রহণ পক্রিয়াকে সাবলিল ভাবে সম্পন্ন করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে নির্বাচন সম্পন্ন করতে আমাদের সহায়ক ৭ বাহিনী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।’
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা ও জীবননগর সার্কেল) আবু রাসেল, সহকারী কমিশনার আমজাদ হোসেন। এ ছাড়াও ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক

আপলোড টাইম : ১০:৫০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮

ব্যালটের নিরাপত্তা আপনাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে
বিশেষ প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ/ব্রিফিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার গোপাল চন্দ্র দাস বলেছেন, ‘২৯ তারিখ মালামাল গ্রহণের পর দিনের আলো থাকতেই কেন্দ্রে পৌছাতে হবে। এরপর ফলাফল জমা দেওয়া পর্যন্ত আপনাদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। সব কেন্দ্রে খাবারের ব্যবস্থা থাকে না, সে ক্ষেত্রে খাবার সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে। কোন ভাবেই কেন্দ্র ছেড়ে বাইরে যাওয়া যাবে না। কারণ, ওইদিন ব্যালট থাকবে, যার নিরাপত্তা আপনাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সকলে মিলে একটি সুন্দর, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চাই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা একাডেমির মুক্ত মঞ্চে জেলা প্রশাসন ও জেলা নির্বাচন অফিস এ আয়োজন করে।


জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহমেমদ’র সভাপতিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান-পিপিএম বলেন, ‘৭ বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুত আমরা (পুলিশ)। আমাদের সঙ্গে রয়েছে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিজিবি, র‌্যাব, আর্মি, আরআরএফ, এপিবিএন এবং আনসার ব্যাটালিয়ানের সদস্যবৃন্দ। এ ছাড়াও কিছু অঙ্গীভুত আনসার সদস্য রয়েছে যারা, নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবেন। চার উপজেলা ও চার পৌরসভার ৩৯টি ইউনিয়নের ৩৩৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। এরমধ্যে ১৭২টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ১৬২টি সাধারণ কেন্দ্র। প্রতি কেন্দ্রে ১৩ জন আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন। এরমধ্যে- ১০ জন অঙ্গীভুত আনসার, একজন পিসি, একজন এপিসি আর একজন থাকবে গ্রাম পুলিশ। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্য থাকবে দু’জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে একজন।’
তিনি বলেন, ‘সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ৪০টি মোবাইল টিম দায়িত্বপালন করবে। আরও ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ রয়েছে, পুলিশ লাইন ও থানাগুলোতে আরও রিজার্ভ থাকবে। নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনায় আমরা নিরাপদ ভাবে সকল ভোটারের ভোট গ্রহণ পক্রিয়াকে সাবলিল ভাবে সম্পন্ন করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে নির্বাচন সম্পন্ন করতে আমাদের সহায়ক ৭ বাহিনী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।’
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা ও জীবননগর সার্কেল) আবু রাসেল, সহকারী কমিশনার আমজাদ হোসেন। এ ছাড়াও ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।