ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চুরি : সিসি ক্যামেরার ফুটেজে চোর শনাক্ত:আন্তঃজেলা চোর সিন্ডিকেটের ৭সদস্য আটক : ১২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭
  • / ৬২৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের ৭ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সম্প্রতি জেলায় মোটরসাইকেল চুরি বেড়ে যাওয়ায় গত দুইদিনে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন সড়কে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মোটরসাইকেল চোর শনাক্ত করে তাদের আটক করা হয়। এছাড়া, আশপাশের জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল ও আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের ৭ সদস্যকেও আটক করে পুলিশ। বাকিদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটককৃতদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি যাওয়া ১২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো, মেহেরপুরের খোকসা শেখপাড়ার মৃত ফরজ শেখের ছেলে সাদিকুর রহমান (৪৬), গাড়াডোব গ্রামের মৃত তাজু শেখের ছেলে কুদ্দুস শেখ (৩৪), চৌগাছা গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিন শাহের ছেলে হান্নান শাহ (৫৫), হেমায়েতপুর গ্রামের মৃত ইবাদত মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৭), চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পুরাতন ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড পাড়ার মৃত স্বপন আলীর ছেলে সাকিব (২০), রিপনের ছেলে কালাম (২০) ও দিগড়ী গ্রামের মৃত হারুন-আর-রশিদের ছেলে বিপ্লব হোসেন (২০)। এদের মধ্যে সাদিকুর, কুদ্দুস শেখ, হান্নান শাহ ও শরিফুলকে আটক করে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা হ-১১-২৭৭৪ নম্বরের ওয়ালটন মোটরসাইকেল, কুষ্টিয়া হ-১৩-৫২১২ নম্বরের বাজাজ ডিসকভার ১০০ সিসি মোটরসাইকেল, দিনাজপুর এ-০২-০২৪৫ নম্বরের জাপানি হোন্ডা সিডিআই মোটরসাইকেল, কুষ্টিয়া এ-০২-০৫০৩ নম্বরের চায়না জেইলিং ৭০ সিসি, বগুড়া ল-১১-০৫৪৪ নম্বরের বাজাজ ডিসকভার ১৩৫ সিসি মোটরসাইকেল, রেজিস্ট্রেশনবিহীন বাজাজ ডিসকভার ১৩৫ সিসি মোটরসাইকেল, কুষ্টিয়া এ-১১-৭৬১০ ডায়াং ৮০ সিসি এবং কুষ্টিয়া হ-১৩-২৪৫২ নম্বরের ডায়াং ১১০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সাকিব, বিপ্লব ও কালামকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মেহেরপুর ল-১১-০৭৬২ রেজিস্ট্রেশন নম্বরের একটি লাল-কালো পালসার, সাতক্ষীরা হ-১২-৭২৩৪ রেজিস্ট্রেশন নম্বরের একটি বাজাজ সিটি ১০০ সিসি মোটরসাইকেল, মেহেরপুর হ-১১-৪২১৪ রেজিস্ট্রেশন নম্বরের হিরোহোন্ডা প্যাশন প্রো এবং রেজিস্ট্রেশন বিহীন ওয়ালটন ফিউশন ১১০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক, জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি এএইচএম কামরুজ্জামান খান, ট্রাফিক পরিদর্শক আহসান হাবিব, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি আজাদ মালিতাসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চুরি : সিসি ক্যামেরার ফুটেজে চোর শনাক্ত:আন্তঃজেলা চোর সিন্ডিকেটের ৭সদস্য আটক : ১২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার

আপলোড টাইম : ০৫:৪৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের ৭ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সম্প্রতি জেলায় মোটরসাইকেল চুরি বেড়ে যাওয়ায় গত দুইদিনে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন সড়কে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মোটরসাইকেল চোর শনাক্ত করে তাদের আটক করা হয়। এছাড়া, আশপাশের জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল ও আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের ৭ সদস্যকেও আটক করে পুলিশ। বাকিদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটককৃতদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি যাওয়া ১২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো, মেহেরপুরের খোকসা শেখপাড়ার মৃত ফরজ শেখের ছেলে সাদিকুর রহমান (৪৬), গাড়াডোব গ্রামের মৃত তাজু শেখের ছেলে কুদ্দুস শেখ (৩৪), চৌগাছা গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিন শাহের ছেলে হান্নান শাহ (৫৫), হেমায়েতপুর গ্রামের মৃত ইবাদত মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৭), চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পুরাতন ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড পাড়ার মৃত স্বপন আলীর ছেলে সাকিব (২০), রিপনের ছেলে কালাম (২০) ও দিগড়ী গ্রামের মৃত হারুন-আর-রশিদের ছেলে বিপ্লব হোসেন (২০)। এদের মধ্যে সাদিকুর, কুদ্দুস শেখ, হান্নান শাহ ও শরিফুলকে আটক করে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা হ-১১-২৭৭৪ নম্বরের ওয়ালটন মোটরসাইকেল, কুষ্টিয়া হ-১৩-৫২১২ নম্বরের বাজাজ ডিসকভার ১০০ সিসি মোটরসাইকেল, দিনাজপুর এ-০২-০২৪৫ নম্বরের জাপানি হোন্ডা সিডিআই মোটরসাইকেল, কুষ্টিয়া এ-০২-০৫০৩ নম্বরের চায়না জেইলিং ৭০ সিসি, বগুড়া ল-১১-০৫৪৪ নম্বরের বাজাজ ডিসকভার ১৩৫ সিসি মোটরসাইকেল, রেজিস্ট্রেশনবিহীন বাজাজ ডিসকভার ১৩৫ সিসি মোটরসাইকেল, কুষ্টিয়া এ-১১-৭৬১০ ডায়াং ৮০ সিসি এবং কুষ্টিয়া হ-১৩-২৪৫২ নম্বরের ডায়াং ১১০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সাকিব, বিপ্লব ও কালামকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মেহেরপুর ল-১১-০৭৬২ রেজিস্ট্রেশন নম্বরের একটি লাল-কালো পালসার, সাতক্ষীরা হ-১২-৭২৩৪ রেজিস্ট্রেশন নম্বরের একটি বাজাজ সিটি ১০০ সিসি মোটরসাইকেল, মেহেরপুর হ-১১-৪২১৪ রেজিস্ট্রেশন নম্বরের হিরোহোন্ডা প্যাশন প্রো এবং রেজিস্ট্রেশন বিহীন ওয়ালটন ফিউশন ১১০ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক, জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি এএইচএম কামরুজ্জামান খান, ট্রাফিক পরিদর্শক আহসান হাবিব, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি আজাদ মালিতাসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।