ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার পৃথকস্থানে নারীসহ ৩ জনের আত্মহত্যা চেষ্টা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৫:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৪২৮ বার পড়া হয়েছে
  • নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় পৃথকস্থানে এক যুবতীসহ ৩ জন আত্মহত্যার অপচেষ্টা করেছে। গতকাল শনিবার পৃথকস্থানে এ আত্মহত্যা অপচেষ্টার ঘটনা সংঘঠিত হয়। পৃথকস্থানে এ আত্মহত্যা অপচেষ্টাকারীরা হলো- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্রঁ ইউনিয়নের ভান্ডারদোয়া বেড়ার মাঠপাড়ার সামছদ্দীন আহম্মেদের ছেলে সিরাজুল (৪৫), চুয়াডাঙ্গা মসজিদপাড়ার মৃত রব্বানীর ছেলে বিষু (৪০) ও মেহেরপুর জেলার নতুন দরবেশপুর মসজিদপাড়ার বিশারদ আলীর মেয়ে কুলসুম (২১)।
    জানা যায়, গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে বিষপান করে সিরাজুল। কিছুক্ষন পর পরিবারের অনান্য সদস্যরা ঘটনাটি জানতে পারলে সিরাজুলকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সিরাজুলের বিষপানে আত্মহত্যার কারণ জানতে চাইলে পরিবারের সদস্যরা সঠিক কোন কারণ বলতে পারেনি। তবে মানুষিক প্রতিবন্ধী স্ত্রীর উপর বিরক্ত হয়ে সিরাজুল বিষপান করতে পারে বলে ধারনা করছে তারা।
    এদিকে, স্ত্রীর উপর অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যার অপচেষ্টা করেছ বিষু। বিষপানে আত্মহত্যার কারণ জানতে চাইলে বিষুর পরিবারের সদস্যরা জানায়, বিষু একজন ট্রাক চালক, প্রায় প্রতিদিনই সে মদ্যপান করে। এনিয়ে সংসারিক অশান্তি লেগেই থাকে। তবে গতকাল বিষু মদ্যপান করে বাড়িতে ফিরলে বিষুর স্ত্রীর সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এরই এক পর্যায়ে বিষু বিষপান করে আত্মহত্যার অপচেষ্টা করে। এসময় পরিবারের সদস্যরা বিষুর বিষপানের ঘটনাটি জানতে পারলে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিষু চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ছিল।
    অপরদিকে, ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার অপচেষ্টা করেছে কুলসুম নামের এক যুবতী। গত শুক্রবার সকালে মেয়ে ঘুম থেকে না উঠলে কুলসুমের মা কুলসুমের ঘুম ভাঙ্গাতে যেয়ে দেখে কুলসুম বিছানাই ঘুমাচ্ছে ও বিছানার পাসে ঘুমের ঔষধের খোশা পড়ে আছে। কুলসুমের ঘুমের ঔষধ সেবন করার বিষয়টি বুঝতে পারলে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসকদের তাৎক্ষণীক চিকিৎসার পরেও ঘুম না ভাঙ্গায় কুলসুমকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কুলসুমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গার পৃথকস্থানে নারীসহ ৩ জনের আত্মহত্যা চেষ্টা!

আপলোড টাইম : ০৮:৩৫:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৮
  • নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় পৃথকস্থানে এক যুবতীসহ ৩ জন আত্মহত্যার অপচেষ্টা করেছে। গতকাল শনিবার পৃথকস্থানে এ আত্মহত্যা অপচেষ্টার ঘটনা সংঘঠিত হয়। পৃথকস্থানে এ আত্মহত্যা অপচেষ্টাকারীরা হলো- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্রঁ ইউনিয়নের ভান্ডারদোয়া বেড়ার মাঠপাড়ার সামছদ্দীন আহম্মেদের ছেলে সিরাজুল (৪৫), চুয়াডাঙ্গা মসজিদপাড়ার মৃত রব্বানীর ছেলে বিষু (৪০) ও মেহেরপুর জেলার নতুন দরবেশপুর মসজিদপাড়ার বিশারদ আলীর মেয়ে কুলসুম (২১)।
    জানা যায়, গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে বিষপান করে সিরাজুল। কিছুক্ষন পর পরিবারের অনান্য সদস্যরা ঘটনাটি জানতে পারলে সিরাজুলকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সিরাজুলের বিষপানে আত্মহত্যার কারণ জানতে চাইলে পরিবারের সদস্যরা সঠিক কোন কারণ বলতে পারেনি। তবে মানুষিক প্রতিবন্ধী স্ত্রীর উপর বিরক্ত হয়ে সিরাজুল বিষপান করতে পারে বলে ধারনা করছে তারা।
    এদিকে, স্ত্রীর উপর অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যার অপচেষ্টা করেছ বিষু। বিষপানে আত্মহত্যার কারণ জানতে চাইলে বিষুর পরিবারের সদস্যরা জানায়, বিষু একজন ট্রাক চালক, প্রায় প্রতিদিনই সে মদ্যপান করে। এনিয়ে সংসারিক অশান্তি লেগেই থাকে। তবে গতকাল বিষু মদ্যপান করে বাড়িতে ফিরলে বিষুর স্ত্রীর সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এরই এক পর্যায়ে বিষু বিষপান করে আত্মহত্যার অপচেষ্টা করে। এসময় পরিবারের সদস্যরা বিষুর বিষপানের ঘটনাটি জানতে পারলে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিষু চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ছিল।
    অপরদিকে, ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার অপচেষ্টা করেছে কুলসুম নামের এক যুবতী। গত শুক্রবার সকালে মেয়ে ঘুম থেকে না উঠলে কুলসুমের মা কুলসুমের ঘুম ভাঙ্গাতে যেয়ে দেখে কুলসুম বিছানাই ঘুমাচ্ছে ও বিছানার পাসে ঘুমের ঔষধের খোশা পড়ে আছে। কুলসুমের ঘুমের ঔষধ সেবন করার বিষয়টি বুঝতে পারলে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসকদের তাৎক্ষণীক চিকিৎসার পরেও ঘুম না ভাঙ্গায় কুলসুমকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কুলসুমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।