ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনাস্থ খেলার মাঠে কেরুজ বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণ নির্মাণাধীন স্থাপনা অন্যত্র স্থানান্তরের দাবীতে মানববন্ধন : অযৌক্তিক কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:১৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৩২৭ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দর্শনাস্থ কেরুজ বাজার মাঠে বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণ বন্ধ ও নির্মাণাধীন স্থাপনা অন্যত্র স্থানান্তরের দাবীতে ‘মানব বন্ধন’ গতকাল সকালে দর্শনা রেলবাজার বটতলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। দর্শনার খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকবৃন্দের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধেন দর্শনার সকল স্তরের সাধারণ জনতা এতে অংশগ্রহণ করে এবং এই অযৌক্তিক কর্মকান্ড বন্ধের আহ্বান জানান।
এ সময় সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ জুয়েল, অনির্বাণ থিয়েটারের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, রামাযুসের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হাসান, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন ও চটকাতলা যুব সংঘের সদস্য বাতী আকবর। বক্তরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন-‘কেরুজ চিনিকলকে ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে রেখে কর্তৃপক্ষের কোন অধিকার নেই কেরুজ বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণের। এই মার্কেটের উপার্জিত টাকায় কেরু কোম্পানী লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবেনা বরং দূর্ণীতি বাড়বে। যদি মার্কেট নির্মাণ করতেই হয় তবে কেরুজ সীমানায় দর্শনা-মুজিবনগর সড়কের পাশে নির্মাণ করুন। এতে করে অন্তত মাঠটি রক্ষা পাবে। তা না হলে অচিরেই এই অযৌক্তিক কর্মকান্ড রুখে দেবার জন্য চিনিকল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে’।
উল্লেখ্য, ১৯৩৮ সালে কেরু এন্ড কোম্পানী প্রতিষ্ঠার পর হতেই এই মাঠটি চিনিকলের সংশ্লিষ্ট শ্রমিক-কর্মচারী, তাদের সন্তান ও এলাকার গণমানুষ খেলার মাঠ ও ঈদগা ময়দান হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। চিনিকল প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখানে বিভিন্ন সময়ে আয়োজিত হয়েছে বড় বড় সব ফুটবল, ক্রিকেট, হকি ও হাডুডু টুর্নামেন্ট। এসব আসরে স্থানীয় ও দেশবরণ্যে অনেক খেলোয়াড় এবং দল অংশগ্রহণ করেছে। এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মাঠে একটি রাজনৈতিক জনসভায় ভাষণ দিয়েছেন। বর্তমানে মাঠটি এঅঞ্চলের গণমানুষের রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, সাংস্কৃতিক-ক্রীড়াযজ্ঞ ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের তীর্থভূমি হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও মাঠের চারপাশের সীমানা সংলগ্নে রয়েছে দর্শনা ডি.এস.ফাজেল মাদ্রসা, মসজিদ, রেলবাজার, কেরু উচ্চ বিদ্যালয়, কেরুজ কোয়াটার্সসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের নির্ধারিত স্থান। অথচ হঠাৎ করেই কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ মাঠটি বন্ধ করে বহুতল মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এর ফলে মাঠটি তার সৌন্দর্য্য ও ঐহিত্য হারাতে বসেছে। সর্বশেষ গত শনিবার বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন এ মার্কেট নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গার দর্শনাস্থ খেলার মাঠে কেরুজ বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণ নির্মাণাধীন স্থাপনা অন্যত্র স্থানান্তরের দাবীতে মানববন্ধন : অযৌক্তিক কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান

আপলোড টাইম : ১২:১৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৬

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দর্শনাস্থ কেরুজ বাজার মাঠে বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণ বন্ধ ও নির্মাণাধীন স্থাপনা অন্যত্র স্থানান্তরের দাবীতে ‘মানব বন্ধন’ গতকাল সকালে দর্শনা রেলবাজার বটতলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। দর্শনার খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকবৃন্দের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধেন দর্শনার সকল স্তরের সাধারণ জনতা এতে অংশগ্রহণ করে এবং এই অযৌক্তিক কর্মকান্ড বন্ধের আহ্বান জানান।
এ সময় সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ জুয়েল, অনির্বাণ থিয়েটারের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, রামাযুসের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হাসান, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন ও চটকাতলা যুব সংঘের সদস্য বাতী আকবর। বক্তরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন-‘কেরুজ চিনিকলকে ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে রেখে কর্তৃপক্ষের কোন অধিকার নেই কেরুজ বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণের। এই মার্কেটের উপার্জিত টাকায় কেরু কোম্পানী লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবেনা বরং দূর্ণীতি বাড়বে। যদি মার্কেট নির্মাণ করতেই হয় তবে কেরুজ সীমানায় দর্শনা-মুজিবনগর সড়কের পাশে নির্মাণ করুন। এতে করে অন্তত মাঠটি রক্ষা পাবে। তা না হলে অচিরেই এই অযৌক্তিক কর্মকান্ড রুখে দেবার জন্য চিনিকল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে’।
উল্লেখ্য, ১৯৩৮ সালে কেরু এন্ড কোম্পানী প্রতিষ্ঠার পর হতেই এই মাঠটি চিনিকলের সংশ্লিষ্ট শ্রমিক-কর্মচারী, তাদের সন্তান ও এলাকার গণমানুষ খেলার মাঠ ও ঈদগা ময়দান হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। চিনিকল প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখানে বিভিন্ন সময়ে আয়োজিত হয়েছে বড় বড় সব ফুটবল, ক্রিকেট, হকি ও হাডুডু টুর্নামেন্ট। এসব আসরে স্থানীয় ও দেশবরণ্যে অনেক খেলোয়াড় এবং দল অংশগ্রহণ করেছে। এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মাঠে একটি রাজনৈতিক জনসভায় ভাষণ দিয়েছেন। বর্তমানে মাঠটি এঅঞ্চলের গণমানুষের রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, সাংস্কৃতিক-ক্রীড়াযজ্ঞ ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের তীর্থভূমি হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও মাঠের চারপাশের সীমানা সংলগ্নে রয়েছে দর্শনা ডি.এস.ফাজেল মাদ্রসা, মসজিদ, রেলবাজার, কেরু উচ্চ বিদ্যালয়, কেরুজ কোয়াটার্সসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের নির্ধারিত স্থান। অথচ হঠাৎ করেই কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ মাঠটি বন্ধ করে বহুতল মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এর ফলে মাঠটি তার সৌন্দর্য্য ও ঐহিত্য হারাতে বসেছে। সর্বশেষ গত শনিবার বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন এ মার্কেট নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।