ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার ঝোড়াঘাটায় প্রতিবন্ধীর সঙ্গে প্রতারণা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
চুয়াডাঙ্গার ঝোড়াঘাটায় প্রতিবন্ধীর ভাতার কার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঝোড়াঘাটার ইউপি সদস্য মোহাম্মদ জিয়াউল হক জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী গরিব-অসহায় মানুষের কাছ থেকে প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি কার্ড পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অর্থ আদায় করার এ অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে কারও কার্ড করে দেওয়া হয়েছে, আবার কাউকে ‘আজ নয় কাল দেব’ বলে হয়রানি করা হচ্ছে। এমনই এক ভুক্তভোগী ঝোড়াঘাটা গ্রামের আজিবর। তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলা সমবায় অধিদপ্তর থেকে আজীবনের জন্য প্রতিবন্ধী কার্ড সংগ্রহ করে দেবেন বলে জিয়াউল তাঁর কাছ থেকে ২ হাজার টাকা গত তিন বছর আগে নিলেও এখনো কোনো কার্ড পাননি তিনি। এমন কি কার্ড না পেয়ে ইউপি সদস্যর কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে প্রতিবন্ধী আজিবরকে ইউপি সদস্য ও তাঁর লোকজনেরা বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখান বলেও অভিযোগ করেন অজিবর। তাঁর এ বিষয়টি গ্রামের সবাই জানেন কিন্তু‘ মেম্বার জিয়াউল হক জিয়ার ভয়ে কেউ কিছু বলেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
‘এ বিষয়ে আলোকদিয়া ১ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসলাম উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, এ ধরনের কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
ইউপি সদস্য জিয়াউল হক জিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা একটা বিষয়। আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি। প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসানোর জন্য এ ধরনের তথ্য দিয়েছে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গার ঝোড়াঘাটায় প্রতিবন্ধীর সঙ্গে প্রতারণা!

আপলোড টাইম : ১০:৪২:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
চুয়াডাঙ্গার ঝোড়াঘাটায় প্রতিবন্ধীর ভাতার কার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঝোড়াঘাটার ইউপি সদস্য মোহাম্মদ জিয়াউল হক জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী গরিব-অসহায় মানুষের কাছ থেকে প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি কার্ড পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অর্থ আদায় করার এ অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে কারও কার্ড করে দেওয়া হয়েছে, আবার কাউকে ‘আজ নয় কাল দেব’ বলে হয়রানি করা হচ্ছে। এমনই এক ভুক্তভোগী ঝোড়াঘাটা গ্রামের আজিবর। তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলা সমবায় অধিদপ্তর থেকে আজীবনের জন্য প্রতিবন্ধী কার্ড সংগ্রহ করে দেবেন বলে জিয়াউল তাঁর কাছ থেকে ২ হাজার টাকা গত তিন বছর আগে নিলেও এখনো কোনো কার্ড পাননি তিনি। এমন কি কার্ড না পেয়ে ইউপি সদস্যর কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে প্রতিবন্ধী আজিবরকে ইউপি সদস্য ও তাঁর লোকজনেরা বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখান বলেও অভিযোগ করেন অজিবর। তাঁর এ বিষয়টি গ্রামের সবাই জানেন কিন্তু‘ মেম্বার জিয়াউল হক জিয়ার ভয়ে কেউ কিছু বলেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
‘এ বিষয়ে আলোকদিয়া ১ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসলাম উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, এ ধরনের কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
ইউপি সদস্য জিয়াউল হক জিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা একটা বিষয়। আমি কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি। প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসানোর জন্য এ ধরনের তথ্য দিয়েছে।’