ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার আকুন্দবাড়িয়ায় স্কুলছাত্রের গোপনাঙ্গ কর্তনের ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা : বাবার পরকীয়া প্রেমিকা স্বামী পরিত্যক্তা শেফালী আটক : ইমরান জেলহাজতে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০১৭
  • / ৩২৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার আকুন্দবাড়িয়ায় ব্লেডের পোঁচে স্কুলছাত্রের গোপনাঙ্গ কর্তনের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন স্কুলছাত্র বিল্লালের মা জাহানারা খাতুন। মামলায় অভিযুক্ত স্বামী পরিত্যক্তা শেফালী খাতুনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে, গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে মূল অভিযুক্ত শেফালী খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। গতরাতে সে পুলিশি পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। অপরদিকে, গত পরশু রোববার রাতে আটক হওয়া ইমরান হোসেন দুলালকে সদর থানার পাঠানোর পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে বিল্লালের গোপনাঙ্গ কেটে দেয় একই এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা শেফালী খাতুন। বাবার সাথে স্বামী পরিত্যক্তার পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় ব্লেডের পোঁচে স্কুলছাত্র বিল্লালের লিঙ্গ কেটে দেয় সে। গত পরশু রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিল্লালকে মোবাইলফোনে বাড়িতে ডেকে নেয় শেফালী। পরে সহযোগিদের সাথে বিল্লালকে ধরে বাড়ির পাশে একটি বাঁশবাগানে নিয়ে তার লিঙ্গ কেটে দেয় সে। এসময় বিল্লালের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে দর্শনার একটি ক্লিনিকে নেয়। এদিকে, খবর পেয়ে বিল্লালের পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে শেফালী ও তার মা লুৎফুন নেছাকে মারধর করে। রাত ১০টার দিকে শেফালীর সহযোগী ইমরান হোসেন ওরফে দুলালকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্কুলছাত্র বিল্লালের মা জাহানারা খাতুন বাদি হয়ে শেফালী ও ইমরান হোসেন দুলালসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে, আটককৃত ইমরানকে সোমবার চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করা হয়। রাতে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেফালীকে আটক করে পুলিশ। সোমবার সকালে শেফালী ও তার মা লুৎফুন নেছা হাসপাতালে ভর্তি হয়। গতকাল রাতে পুলিশি পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো শেফালী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুয়াডাঙ্গার আকুন্দবাড়িয়ায় স্কুলছাত্রের গোপনাঙ্গ কর্তনের ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা : বাবার পরকীয়া প্রেমিকা স্বামী পরিত্যক্তা শেফালী আটক : ইমরান জেলহাজতে

আপলোড টাইম : ০৬:০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার আকুন্দবাড়িয়ায় ব্লেডের পোঁচে স্কুলছাত্রের গোপনাঙ্গ কর্তনের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন স্কুলছাত্র বিল্লালের মা জাহানারা খাতুন। মামলায় অভিযুক্ত স্বামী পরিত্যক্তা শেফালী খাতুনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে, গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে মূল অভিযুক্ত শেফালী খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। গতরাতে সে পুলিশি পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। অপরদিকে, গত পরশু রোববার রাতে আটক হওয়া ইমরান হোসেন দুলালকে সদর থানার পাঠানোর পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে বিল্লালের গোপনাঙ্গ কেটে দেয় একই এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা শেফালী খাতুন। বাবার সাথে স্বামী পরিত্যক্তার পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় ব্লেডের পোঁচে স্কুলছাত্র বিল্লালের লিঙ্গ কেটে দেয় সে। গত পরশু রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিল্লালকে মোবাইলফোনে বাড়িতে ডেকে নেয় শেফালী। পরে সহযোগিদের সাথে বিল্লালকে ধরে বাড়ির পাশে একটি বাঁশবাগানে নিয়ে তার লিঙ্গ কেটে দেয় সে। এসময় বিল্লালের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে দর্শনার একটি ক্লিনিকে নেয়। এদিকে, খবর পেয়ে বিল্লালের পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে শেফালী ও তার মা লুৎফুন নেছাকে মারধর করে। রাত ১০টার দিকে শেফালীর সহযোগী ইমরান হোসেন ওরফে দুলালকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্কুলছাত্র বিল্লালের মা জাহানারা খাতুন বাদি হয়ে শেফালী ও ইমরান হোসেন দুলালসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে, আটককৃত ইমরানকে সোমবার চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করা হয়। রাতে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেফালীকে আটক করে পুলিশ। সোমবার সকালে শেফালী ও তার মা লুৎফুন নেছা হাসপাতালে ভর্তি হয়। গতকাল রাতে পুলিশি পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো শেফালী।