ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুরির ঘটনা : উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ২৩০ বার পড়া হয়েছে

দত্তনগর বীজ উৎপাদন খামারে তিন কোটি টাকার ধানবীজ
ঝিনাইদহ অফিস:
বিএডিসির ঝিনাইদহের দত্তনগর বীজ উৎপাদন খামারের ১ শ ২৯ দশমিক ২২ মেট্রিক টন ধানবীজ আত্মসাতের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিএডিসির পরিচালক (অর্থ) মোমিনুর রশিদ আমিনকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন সার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) মো. আবুল কালাম আজাদ ও উপপরিচালক (সংস্থাপন) রাজীব হোসেন। এ সংক্রান্ত বিএডিসির এক অফিস আদেশে বলা হয়, কমিটি গুরুতর অনিয়মের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন ও সুপারিশ দাখিল করবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যশোর বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে সদর দপ্তর হতে প্রাপ্ত কর্মসূচি বহির্ভূতভাবে ১ শ ২৯ দশমিক ২২ মেট্রিক টন এসএল ৮ এইচ হাইব্রিড ধানবীজ মজুত করা হয়। এ বীজের মধ্যে ৭৫ দশমিক ০৭৫ মেট্রিক টন গোকুলনগর খামার, ৩২ দশমিক ১১ মেট্রিক টন পাথিলা খামার ও ২২ দশমিক ০৩৫ মেট্রিক টন করিঞ্চা খামার থেকে কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমোদন না নিয়ে ও চালান ব্যতিরেকে যশোর বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে পাঠানো ও মজুত করা হয়। যশোর বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের উপপরিচালক মো. আমিন উল্লাহ, দত্তনগরের গোকুলনগর খামারের উপপরিচালক তপন কুমার সাহা, পাথিলা খামারের উপপরিচালক আকতারুজ্জামান তালুকদার ও করিঞ্চা খামারের উপপরিচলক ইন্দ্রজিৎ শীল পরস্পর যোগসাজশে ধানবীজ চুরির এ ঘটনা ঘটান। তদন্ত শেষে প্রতিবেদনে অনিয়মের কারণ উদ্ঘাটন, অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিতকরণ, জড়িতদের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ, অনিয়মের কারণে সংস্থার আর্থিক সংশ্লেষণ নিরূপণ ও ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম রোধে সুপারিশ প্রদান করতে বলা হয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ারম্যানের কাছে দাখিল করতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, মাস তিনেক আগে দত্তনগরের গোকুলনগর, পাথিলা ও করিঞ্চা খামার থেকে ১ শ ২৯ দশমিক ২২ মেট্রিক টন বীজ অবৈধভাবে যশোর বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে পাঠিয়ে আত্মসাতের জন্য মজুত করা হয়। গত মাসে এ কেন্দ্রের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল কাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। তারপর এ দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেলে যশোর বীজ প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্রের উপপরিচালত মো. আমিন উল্লাহ, গোকুলনগর খামারের উপপরিচালক তপন কুমার সাহা, পাথিলা খামারের উপপরিচালক মো. আকতারুজ্জামান তালুকদার ও করিঞ্চা খামারের উপপরিচালক ইন্দ্রজিৎ শীলকে সাময়িক বরখাস্ত করে ঢাকা অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কমিটি তদন্তকাজ শুরু করেছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, তিন কোটি টাকা মূল্যের এ ধানবীজ চুরির ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি মহল দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। তারা ধানবীজ প্রেরণের অনুমোদন ও চালান তৈরি করে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুরির ঘটনা : উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন

আপলোড টাইম : ১১:০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

দত্তনগর বীজ উৎপাদন খামারে তিন কোটি টাকার ধানবীজ
ঝিনাইদহ অফিস:
বিএডিসির ঝিনাইদহের দত্তনগর বীজ উৎপাদন খামারের ১ শ ২৯ দশমিক ২২ মেট্রিক টন ধানবীজ আত্মসাতের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিএডিসির পরিচালক (অর্থ) মোমিনুর রশিদ আমিনকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন সার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) মো. আবুল কালাম আজাদ ও উপপরিচালক (সংস্থাপন) রাজীব হোসেন। এ সংক্রান্ত বিএডিসির এক অফিস আদেশে বলা হয়, কমিটি গুরুতর অনিয়মের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন ও সুপারিশ দাখিল করবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যশোর বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে সদর দপ্তর হতে প্রাপ্ত কর্মসূচি বহির্ভূতভাবে ১ শ ২৯ দশমিক ২২ মেট্রিক টন এসএল ৮ এইচ হাইব্রিড ধানবীজ মজুত করা হয়। এ বীজের মধ্যে ৭৫ দশমিক ০৭৫ মেট্রিক টন গোকুলনগর খামার, ৩২ দশমিক ১১ মেট্রিক টন পাথিলা খামার ও ২২ দশমিক ০৩৫ মেট্রিক টন করিঞ্চা খামার থেকে কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমোদন না নিয়ে ও চালান ব্যতিরেকে যশোর বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে পাঠানো ও মজুত করা হয়। যশোর বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের উপপরিচালক মো. আমিন উল্লাহ, দত্তনগরের গোকুলনগর খামারের উপপরিচালক তপন কুমার সাহা, পাথিলা খামারের উপপরিচালক আকতারুজ্জামান তালুকদার ও করিঞ্চা খামারের উপপরিচলক ইন্দ্রজিৎ শীল পরস্পর যোগসাজশে ধানবীজ চুরির এ ঘটনা ঘটান। তদন্ত শেষে প্রতিবেদনে অনিয়মের কারণ উদ্ঘাটন, অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিতকরণ, জড়িতদের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ, অনিয়মের কারণে সংস্থার আর্থিক সংশ্লেষণ নিরূপণ ও ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম রোধে সুপারিশ প্রদান করতে বলা হয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ারম্যানের কাছে দাখিল করতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, মাস তিনেক আগে দত্তনগরের গোকুলনগর, পাথিলা ও করিঞ্চা খামার থেকে ১ শ ২৯ দশমিক ২২ মেট্রিক টন বীজ অবৈধভাবে যশোর বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে পাঠিয়ে আত্মসাতের জন্য মজুত করা হয়। গত মাসে এ কেন্দ্রের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল কাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। তারপর এ দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেলে যশোর বীজ প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্রের উপপরিচালত মো. আমিন উল্লাহ, গোকুলনগর খামারের উপপরিচালক তপন কুমার সাহা, পাথিলা খামারের উপপরিচালক মো. আকতারুজ্জামান তালুকদার ও করিঞ্চা খামারের উপপরিচালক ইন্দ্রজিৎ শীলকে সাময়িক বরখাস্ত করে ঢাকা অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কমিটি তদন্তকাজ শুরু করেছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, তিন কোটি টাকা মূল্যের এ ধানবীজ চুরির ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি মহল দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। তারা ধানবীজ প্রেরণের অনুমোদন ও চালান তৈরি করে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।