ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চুক্তিবদ্ধ চাষীরা আগ্রহ হারাচ্ছে মসুরি চাষে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ৩০৬ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের আমঝুপিতে ডাল ও তেলবীজ খামারে কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্সের

আমঝুপি প্রতিনিধি: মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ডাল ও তেলবীজ খামারে কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্সের চুক্তিবদ্ধ চাষীরা মসুরি চাষের আগ্রহ হারাচ্ছে। এলাকা ও চুক্তিবদ্ধ চাষীদের সুত্রে জানা যায়, অতি বৃষ্টিপাত হওয়ার কারনে জমির চাষ ও মসুরি চাষের উপযোগী করতে না পারা এবং মসুরি চাষের সময় হারিয়ে ফেলায় মসুরি চাষ কম হয়েছে। চুক্তিবদ্ধ এক চাষী বলেন, মসুরির বীজের দাম সরকারিভাবে বাড়ানোর কারনে মসুরি চাষ কম হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, আমঝুপি ডাল ও তেল বীজ খামারে কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্সের সিনিয়র সহকারি পরিচালক জিয়াউর রহমান জানান, প্রথমে মসুরীর বীজ সরকারিভাবে ১২৫ টাকা হারে নির্ধারণ করায় আশানরুপ বীজ উত্তোলন করেনি চাষীরা। পরবর্তীতে মসুরীর বীজ ৮০ টাকা হারে নির্ধারণ করলে চাষীরা বীজ উত্তোলন করেছে। মসুরীর বীজ রোপনের সময় হচ্ছে অক্টোবরের শেষ এবং নভেম্বর পর্যন্ত মসুরীর বীজ রোপন করা যায়।
তিনি আরো বলেন, আমঝুপি ডাল ও তেল বীজ খামারে কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্সের মোট টার্গেট ৯১৬ হেক্টর এবং ৩১২ মেট্রিক টন মসুরী। চাষীদের সামনে থেকে ক্রয় করেন ১০০ টাকা কেজি হারে। বর্তমানে বিক্রয় করেন ৮০ টাকা কেজি হারে। যেখানে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে ২০ টাকা কেজি হারে। তিনি বলেন, এতো ভর্তুকি দেওয়ার পরেও মসুরী চাষের আগ্রহ হারিয়েছে চাষিরা। তিনি আরও বলেন, মসুরী চাষের ছাড়া সবজি চাষের ব্যপক পরিমাণ লাভজনক হওয়ায় চাষীরা সবজি চাষ করছেন বেশি। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছরে সদর উপজেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে মসুরী চাষ হয়েছিল। কিন্তু এই বছরে ৭৫০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। নিম্নচাপের কারনে জমি নরম থাকায় মসুরী ও সরিষার চাষের সময় হারিয়ে ফেলেছে। এতে করে বোরো ধানের ও ভুট্টা চাষ বেড়েছে বলে জানান তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চুক্তিবদ্ধ চাষীরা আগ্রহ হারাচ্ছে মসুরি চাষে

আপলোড টাইম : ১০:২২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭

মেহেরপুরের আমঝুপিতে ডাল ও তেলবীজ খামারে কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্সের

আমঝুপি প্রতিনিধি: মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ডাল ও তেলবীজ খামারে কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্সের চুক্তিবদ্ধ চাষীরা মসুরি চাষের আগ্রহ হারাচ্ছে। এলাকা ও চুক্তিবদ্ধ চাষীদের সুত্রে জানা যায়, অতি বৃষ্টিপাত হওয়ার কারনে জমির চাষ ও মসুরি চাষের উপযোগী করতে না পারা এবং মসুরি চাষের সময় হারিয়ে ফেলায় মসুরি চাষ কম হয়েছে। চুক্তিবদ্ধ এক চাষী বলেন, মসুরির বীজের দাম সরকারিভাবে বাড়ানোর কারনে মসুরি চাষ কম হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, আমঝুপি ডাল ও তেল বীজ খামারে কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্সের সিনিয়র সহকারি পরিচালক জিয়াউর রহমান জানান, প্রথমে মসুরীর বীজ সরকারিভাবে ১২৫ টাকা হারে নির্ধারণ করায় আশানরুপ বীজ উত্তোলন করেনি চাষীরা। পরবর্তীতে মসুরীর বীজ ৮০ টাকা হারে নির্ধারণ করলে চাষীরা বীজ উত্তোলন করেছে। মসুরীর বীজ রোপনের সময় হচ্ছে অক্টোবরের শেষ এবং নভেম্বর পর্যন্ত মসুরীর বীজ রোপন করা যায়।
তিনি আরো বলেন, আমঝুপি ডাল ও তেল বীজ খামারে কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্সের মোট টার্গেট ৯১৬ হেক্টর এবং ৩১২ মেট্রিক টন মসুরী। চাষীদের সামনে থেকে ক্রয় করেন ১০০ টাকা কেজি হারে। বর্তমানে বিক্রয় করেন ৮০ টাকা কেজি হারে। যেখানে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে ২০ টাকা কেজি হারে। তিনি বলেন, এতো ভর্তুকি দেওয়ার পরেও মসুরী চাষের আগ্রহ হারিয়েছে চাষিরা। তিনি আরও বলেন, মসুরী চাষের ছাড়া সবজি চাষের ব্যপক পরিমাণ লাভজনক হওয়ায় চাষীরা সবজি চাষ করছেন বেশি। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছরে সদর উপজেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে মসুরী চাষ হয়েছিল। কিন্তু এই বছরে ৭৫০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। নিম্নচাপের কারনে জমি নরম থাকায় মসুরী ও সরিষার চাষের সময় হারিয়ে ফেলেছে। এতে করে বোরো ধানের ও ভুট্টা চাষ বেড়েছে বলে জানান তিনি।