ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চিরশায়িত হলেন লাকী আখন্দ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩৩:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৭
  • / ৩১৪ বার পড়া হয়েছে

xfull_322715358_1492854237.jpg.pagespeed.ic.pxm6qA5TTUসমীকরণ ডেস্ক:  রাজধানীর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরশায়িত হলেন মুক্তিযোদ্ধা, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক লাকী আখন্দ। শনিবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সোয়া ৩টার দিকে কিংবদন্তী এই শিল্পীর দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকালে সাড়ে ১১টার দিকে লাকী আখন্দের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয় সর্বস্তরের মানুষের শেষ শদ্ধা জানাতে। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র চাকমার নেতৃত্বে গার্ড অব অনার প্রদর্শন করা হয় গুণী এই শিল্পীকে। তাকে শ্রদ্ধা জানাতে শোকার্ত হৃদয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হন, রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা। এর আগে শনিবার সকাল ১০টায় আরমানিটোলা মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ওই জানাজায় উপস্থিত ছিলেন লাকী আখন্দের ছেলে সভ্য তারা, গীতিকার আসিফ ইকবালসহ আরমানিটোলার এলাকাবাসী। গত শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আরমানিটোলার বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী লাকী আখন্দ। ফুসফুসের ক্যানসারের আক্রান্ত এই শিল্পীর চিকিৎসা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। লাকী আখন্দের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ অনেকে। লাকী আখন্দের জন্ম ১৯৫৫ সালে, পুরান ঢাকায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে যোগ দেন লাকী আখন্দ। আরেক কিংবদন্তী ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের সঙ্গে তার যুগলবন্দী বহু বিখ্যাত গানের জন্ম দিয়েছিল। ১৯৮৭ সালে শিল্পী হ্যাপী আখন্দের অকালমৃত্যুর পর সংগীতাঙ্গন থেকে অনেকটাই স্বেচ্ছানির্বাসনে যান লাকী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চিরশায়িত হলেন লাকী আখন্দ

আপলোড টাইম : ০৫:৩৩:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

xfull_322715358_1492854237.jpg.pagespeed.ic.pxm6qA5TTUসমীকরণ ডেস্ক:  রাজধানীর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরশায়িত হলেন মুক্তিযোদ্ধা, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক লাকী আখন্দ। শনিবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সোয়া ৩টার দিকে কিংবদন্তী এই শিল্পীর দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকালে সাড়ে ১১টার দিকে লাকী আখন্দের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয় সর্বস্তরের মানুষের শেষ শদ্ধা জানাতে। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র চাকমার নেতৃত্বে গার্ড অব অনার প্রদর্শন করা হয় গুণী এই শিল্পীকে। তাকে শ্রদ্ধা জানাতে শোকার্ত হৃদয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হন, রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা। এর আগে শনিবার সকাল ১০টায় আরমানিটোলা মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ওই জানাজায় উপস্থিত ছিলেন লাকী আখন্দের ছেলে সভ্য তারা, গীতিকার আসিফ ইকবালসহ আরমানিটোলার এলাকাবাসী। গত শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আরমানিটোলার বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী লাকী আখন্দ। ফুসফুসের ক্যানসারের আক্রান্ত এই শিল্পীর চিকিৎসা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। লাকী আখন্দের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ অনেকে। লাকী আখন্দের জন্ম ১৯৫৫ সালে, পুরান ঢাকায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে যোগ দেন লাকী আখন্দ। আরেক কিংবদন্তী ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের সঙ্গে তার যুগলবন্দী বহু বিখ্যাত গানের জন্ম দিয়েছিল। ১৯৮৭ সালে শিল্পী হ্যাপী আখন্দের অকালমৃত্যুর পর সংগীতাঙ্গন থেকে অনেকটাই স্বেচ্ছানির্বাসনে যান লাকী।