ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চাঁদের বিস্ময়কর ইতিহাস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০১৭
  • / ৩৮৯ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি বছর আগে চাঁদের নিজস্ব বায়ুম-ল ছিল। ফলে চন্দ্রপৃষ্ঠে অগ্ন্যুৎপাতের সময় নির্গত হওয়া লাভা দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে গিয়েছিল চারপাশে। অগ্ন্যুৎপাতের সময় চাঁদের পৃষ্ঠে যে ম্যাগমা ছড়িয়ে পড়েছিল, সেখানে ছিল কার্বন মনোক্সাইড, জলের উপাদান, সালফার ইত্যাদি বায়ুম-লের নানা উপাদান। চাঁদের বুকে দানবাকৃতি যেসব গহ্বর রয়েছে (মারিয়া সাগর) সেগুলো তৈরি হয়েছিল অগ্ন্যুৎপাতের ফলেই। চাঁদে বায়ুম-ল মুছে যাওয়ার আগে প্রায় ৭ কোটি বছর ধরে সেখানে বায়ুম-ল ছিল। চাঁদের এই বায়ুম-ল ছিল পৃথিবীর বায়ুম-লের প্রায় ৩ গুণ কাছাকাছি অর্থাৎ অনেকটা পৃথিবীর মতোই বায়ুম-ল ছিল চাঁদে। আর্থ অ্যান্ড প্লানেটারি সায়েন্স লেটার্স জার্নালে নাসার এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। অ্যাপোলো মিশনে নভোচারীরা চাঁদের ভূ-পৃষ্ঠ থেকে যেসব নমুনা এনেছিলেন, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন নাসার গবেষকরা। ইউনিভার্সিটিজ স্পেস রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের (ইউএসআরএ) সিনিয়র স্টাফ সায়েন্টিস্ট ডেভিড কারিং বলেন, ‘চাঁদ বাতাসহীন একটি স্থান হিসেবে এতদিনের যে ধারণা, সেই ধারণায় নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন এনেছে নতুন এই গবেষণা। চাঁদে একসময় বায়ুম-ল ছিল।’ এই তথ্য ভবিষ্যতে মহাকাশচারী, পরিকল্পিত চন্দ্র মিশন এবং মহাকাশ গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখবে। গবেষণায় ধারণা করা হয়েছে, বায়ুম-ল থেকে আগ্নেয়গিরিগুলো ঠান্ডা অবস্থায়, ছায়াচ্ছন্ন এলাকায় স্থায়ীভাবে থাকতে পারে। যদি তা সত্যি হয়, তাহলে চাঁদে ইতিমধ্যে বরফের উৎস হতে পারে যা মহাকাশচারী ও উপনিবেশীরা জল, গাছ জন্মানো এবং অন্যান্য প্রয়োজন পূরণে ব্যবহার করতে পারবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চাঁদের বিস্ময়কর ইতিহাস

আপলোড টাইম : ১১:০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০১৭

প্রযুক্তি ডেস্ক: মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি বছর আগে চাঁদের নিজস্ব বায়ুম-ল ছিল। ফলে চন্দ্রপৃষ্ঠে অগ্ন্যুৎপাতের সময় নির্গত হওয়া লাভা দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে গিয়েছিল চারপাশে। অগ্ন্যুৎপাতের সময় চাঁদের পৃষ্ঠে যে ম্যাগমা ছড়িয়ে পড়েছিল, সেখানে ছিল কার্বন মনোক্সাইড, জলের উপাদান, সালফার ইত্যাদি বায়ুম-লের নানা উপাদান। চাঁদের বুকে দানবাকৃতি যেসব গহ্বর রয়েছে (মারিয়া সাগর) সেগুলো তৈরি হয়েছিল অগ্ন্যুৎপাতের ফলেই। চাঁদে বায়ুম-ল মুছে যাওয়ার আগে প্রায় ৭ কোটি বছর ধরে সেখানে বায়ুম-ল ছিল। চাঁদের এই বায়ুম-ল ছিল পৃথিবীর বায়ুম-লের প্রায় ৩ গুণ কাছাকাছি অর্থাৎ অনেকটা পৃথিবীর মতোই বায়ুম-ল ছিল চাঁদে। আর্থ অ্যান্ড প্লানেটারি সায়েন্স লেটার্স জার্নালে নাসার এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। অ্যাপোলো মিশনে নভোচারীরা চাঁদের ভূ-পৃষ্ঠ থেকে যেসব নমুনা এনেছিলেন, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন নাসার গবেষকরা। ইউনিভার্সিটিজ স্পেস রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের (ইউএসআরএ) সিনিয়র স্টাফ সায়েন্টিস্ট ডেভিড কারিং বলেন, ‘চাঁদ বাতাসহীন একটি স্থান হিসেবে এতদিনের যে ধারণা, সেই ধারণায় নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন এনেছে নতুন এই গবেষণা। চাঁদে একসময় বায়ুম-ল ছিল।’ এই তথ্য ভবিষ্যতে মহাকাশচারী, পরিকল্পিত চন্দ্র মিশন এবং মহাকাশ গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখবে। গবেষণায় ধারণা করা হয়েছে, বায়ুম-ল থেকে আগ্নেয়গিরিগুলো ঠান্ডা অবস্থায়, ছায়াচ্ছন্ন এলাকায় স্থায়ীভাবে থাকতে পারে। যদি তা সত্যি হয়, তাহলে চাঁদে ইতিমধ্যে বরফের উৎস হতে পারে যা মহাকাশচারী ও উপনিবেশীরা জল, গাছ জন্মানো এবং অন্যান্য প্রয়োজন পূরণে ব্যবহার করতে পারবে।