ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চলতি বছর চাউল ক্রয়ের অনিশ্চয়তায় : চাপের মুখে ২১০জন মিলার চুয়াডাঙ্গায় সরকারী মূল্যের থেকে বাজার মূল্য চড়া!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০১৭
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে

CHUADANGA FOOD PIC

চলতি বছর চাউল ক্রয়ের অনিশ্চয়তায় : চাপের মুখে ২১০জন মিলার
চুয়াডাঙ্গায় সরকারী মূল্যের থেকে বাজার মূল্য চড়া!
চাউলের মূল্য পূনঃনির্ধারণসহ অন্যান্য সুযোগ সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন
এম এ মামুন: চুয়াডাঙ্গায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বাজার মূল্য চড়া হওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় চলতি বছর বোরো মৌসুমে সরকারীভাবে চাউল ক্রয় নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মিলারদের সাথে চুক্তির এক মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত এক ছটাক চাউলও মিলাররদের কাছে থেকে ক্রয় করতে পারেনি খাদ্য নিয়ন্ত্রক।
তবে, কর্তৃপক্ষ বলছেন সরকার বিদেশ থেকে চাউল আমদানী প্রক্রিয়ায় আছে, মাস খানেকের মধ্যে বিদেশী চাউল বাজারে ঢুকবে। এতে করে চাউলের বাজার শিথিল হতে পারে। এছাড়া মিলাররাও সরকার নির্ধারিত ৩৪টাকা দরে  ৩১আগষ্ট এর মধ্যে সরকারী গোডাউনে চাউল সরবরাহ করতে পারবেন।  সে ক্ষেত্রে চলতি বছরে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা পূরণে আর বাধা থাকবে না বলে জানা যায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল ওয়াহেদ সময়ের সমীকরণকে জানান, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার মোট ৯শ’৬৩ মেট্রিক টন ১২১ কেজী চাউল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবছর  সরকার চাউলের মূল্য নির্ধারণ করেছে ১৪% ময়েসচারে প্রতি কেজি ৩৪ টাকা। চাউল ক্রয়ের লক্ষ্যে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ জেলার চার উপজেলার ২১০জন মিলারের মধ্যে ১৪২জন মিলারের সাথে গত ২ মে ২০১৭ তারিখে উল্লেখিত শর্তে মূল্যে চুক্তি করা হয়েছে।
এদিকে, চুক্তিবদ্ধ মিলারদেরকে আগামী ৩১ আগষ্টের মধ্যে চাউল সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হলেও  চলতি জনের ৭ তারিখ পর্যন্ত  মিলাররা সরকারী গোডাউনে চাউল সরবরাহ করতে পারেনি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মিলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ সময়ের সমীকরণকে জানান, সরকারী নীতিমালার মধ্যে ৩৪টাকা দরে চাউল সরবরাহে মিলাদের প্রতি কেজিতে প্রায় ১০টাকা লোকসান গুনতে হবে। তিনি আরো জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার মিলারসহ সারা দেশের মিলারদের পক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চাউলের মূল্য পূনঃনির্ধারণসহ অন্যান্য সুযোগ সৃষ্টির আবেদন করা হয়েছে। যদি সরকার মিলারদের কথা না মানে তাহলে যেহেতু চুক্তি করা হয়েছে সে কারণে লোকসানের বুঝা মাথায় নিয়ে মিলারদেরকে চাউল সরবরাহ করতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চলতি বছর চাউল ক্রয়ের অনিশ্চয়তায় : চাপের মুখে ২১০জন মিলার চুয়াডাঙ্গায় সরকারী মূল্যের থেকে বাজার মূল্য চড়া!

আপলোড টাইম : ০৫:৩১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০১৭

CHUADANGA FOOD PIC

চলতি বছর চাউল ক্রয়ের অনিশ্চয়তায় : চাপের মুখে ২১০জন মিলার
চুয়াডাঙ্গায় সরকারী মূল্যের থেকে বাজার মূল্য চড়া!
চাউলের মূল্য পূনঃনির্ধারণসহ অন্যান্য সুযোগ সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন
এম এ মামুন: চুয়াডাঙ্গায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বাজার মূল্য চড়া হওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় চলতি বছর বোরো মৌসুমে সরকারীভাবে চাউল ক্রয় নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মিলারদের সাথে চুক্তির এক মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত এক ছটাক চাউলও মিলাররদের কাছে থেকে ক্রয় করতে পারেনি খাদ্য নিয়ন্ত্রক।
তবে, কর্তৃপক্ষ বলছেন সরকার বিদেশ থেকে চাউল আমদানী প্রক্রিয়ায় আছে, মাস খানেকের মধ্যে বিদেশী চাউল বাজারে ঢুকবে। এতে করে চাউলের বাজার শিথিল হতে পারে। এছাড়া মিলাররাও সরকার নির্ধারিত ৩৪টাকা দরে  ৩১আগষ্ট এর মধ্যে সরকারী গোডাউনে চাউল সরবরাহ করতে পারবেন।  সে ক্ষেত্রে চলতি বছরে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা পূরণে আর বাধা থাকবে না বলে জানা যায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল ওয়াহেদ সময়ের সমীকরণকে জানান, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার মোট ৯শ’৬৩ মেট্রিক টন ১২১ কেজী চাউল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবছর  সরকার চাউলের মূল্য নির্ধারণ করেছে ১৪% ময়েসচারে প্রতি কেজি ৩৪ টাকা। চাউল ক্রয়ের লক্ষ্যে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ জেলার চার উপজেলার ২১০জন মিলারের মধ্যে ১৪২জন মিলারের সাথে গত ২ মে ২০১৭ তারিখে উল্লেখিত শর্তে মূল্যে চুক্তি করা হয়েছে।
এদিকে, চুক্তিবদ্ধ মিলারদেরকে আগামী ৩১ আগষ্টের মধ্যে চাউল সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হলেও  চলতি জনের ৭ তারিখ পর্যন্ত  মিলাররা সরকারী গোডাউনে চাউল সরবরাহ করতে পারেনি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মিলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ সময়ের সমীকরণকে জানান, সরকারী নীতিমালার মধ্যে ৩৪টাকা দরে চাউল সরবরাহে মিলাদের প্রতি কেজিতে প্রায় ১০টাকা লোকসান গুনতে হবে। তিনি আরো জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার মিলারসহ সারা দেশের মিলারদের পক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চাউলের মূল্য পূনঃনির্ধারণসহ অন্যান্য সুযোগ সৃষ্টির আবেদন করা হয়েছে। যদি সরকার মিলারদের কথা না মানে তাহলে যেহেতু চুক্তি করা হয়েছে সে কারণে লোকসানের বুঝা মাথায় নিয়ে মিলারদেরকে চাউল সরবরাহ করতে হবে।