ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চঞ্চলের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা : কারাগারে প্রেরণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯
  • / ৩০৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় পিস্তল, গুলি ও ফেন্সিডিলসহ আটক বিএডিসি’র চুক্তিভিত্তিক কৃষক
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় পিস্তল, গুলি ও ফেন্সিডিলসহ আটক বিএডিসি ফার্মের চুক্তিভিত্তিক কৃষক চঞ্চলকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। গতকাল সোমবার তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করে সদর থানা পুলিশ। পরে আদালত চঞ্চলকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আটককৃত চঞ্চল চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলাতদিয়াড়ের মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে। এর আগে গতকাল সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে কানাই লাল সরকার জানান, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে দৌলতদিয়াড়ের মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম চঞ্চলকে (৪০) আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি ও প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা থানাধীন হাতিকাটা গ্রামস্থ আসামীর নিজস্ব ভূষি মালের পাঁকা গোডাউনের ভিতরে বিশেষ কৌশলে একটি ধানের বস্তার মাধ্যে রাখা অবস্থায় একটি বিদেশী তৈরী ৭.৬৫ পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ৪ রাউন্ড তাজা বুলেট এবং ৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
ঘটনাক্রমে প্রকাশ পায় যে, চঞ্চল বিএডিসি’র চুক্তি ভিত্তিক একজন কৃষক। সে বেশ কয়েক দিন যাবত বরাদ্দের তুলনায় বেশি জমি বরাদ্দ দেওয়ার জন্য বিএডিসি’র উপ-পরিচালককে হুমকি দিয়ে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ এপ্রিল বিকাল ৪.২৫ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা বিএডিসির উপ-পরিচালক মোর্শেদুল ইসলামকে তার অফিসে কক্ষে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি প্রদান করে। এসময় অফিসে থাকা সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। এই বিষয়ে বিএডিসির উপ-পরিচালকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওইদিনই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় (১১৯৩ নং) জিডি করা হয়।
প্রথমত উল্লেখিত তথ্য বিশ্লেষন এবং প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণাদি নিয়ে তাকে আটক করে ও অভিযান পরিচালনা করা হয়। উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকের উৎস সম্পর্কে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও এই ঘটনায় জড়িত অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যহত আছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল খালেক, সদর থানার উপপরিদর্শক মিজানসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদ কর্মীর। এদিকে, আদালতের নির্দেশে গতকালই চঞ্চলকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

চঞ্চলের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা : কারাগারে প্রেরণ

আপলোড টাইম : ১০:২৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

চুয়াডাঙ্গায় পিস্তল, গুলি ও ফেন্সিডিলসহ আটক বিএডিসি’র চুক্তিভিত্তিক কৃষক
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় পিস্তল, গুলি ও ফেন্সিডিলসহ আটক বিএডিসি ফার্মের চুক্তিভিত্তিক কৃষক চঞ্চলকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। গতকাল সোমবার তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করে সদর থানা পুলিশ। পরে আদালত চঞ্চলকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আটককৃত চঞ্চল চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলাতদিয়াড়ের মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে। এর আগে গতকাল সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে কানাই লাল সরকার জানান, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে দৌলতদিয়াড়ের মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম চঞ্চলকে (৪০) আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি ও প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা থানাধীন হাতিকাটা গ্রামস্থ আসামীর নিজস্ব ভূষি মালের পাঁকা গোডাউনের ভিতরে বিশেষ কৌশলে একটি ধানের বস্তার মাধ্যে রাখা অবস্থায় একটি বিদেশী তৈরী ৭.৬৫ পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ৪ রাউন্ড তাজা বুলেট এবং ৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
ঘটনাক্রমে প্রকাশ পায় যে, চঞ্চল বিএডিসি’র চুক্তি ভিত্তিক একজন কৃষক। সে বেশ কয়েক দিন যাবত বরাদ্দের তুলনায় বেশি জমি বরাদ্দ দেওয়ার জন্য বিএডিসি’র উপ-পরিচালককে হুমকি দিয়ে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ এপ্রিল বিকাল ৪.২৫ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা বিএডিসির উপ-পরিচালক মোর্শেদুল ইসলামকে তার অফিসে কক্ষে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি প্রদান করে। এসময় অফিসে থাকা সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। এই বিষয়ে বিএডিসির উপ-পরিচালকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওইদিনই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় (১১৯৩ নং) জিডি করা হয়।
প্রথমত উল্লেখিত তথ্য বিশ্লেষন এবং প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণাদি নিয়ে তাকে আটক করে ও অভিযান পরিচালনা করা হয়। উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকের উৎস সম্পর্কে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও এই ঘটনায় জড়িত অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যহত আছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল খালেক, সদর থানার উপপরিদর্শক মিজানসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদ কর্মীর। এদিকে, আদালতের নির্দেশে গতকালই চঞ্চলকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।