ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঘুমানোর ইসলামী বিধান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০১৯
  • / ২৭৬ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: আল্লাহ পাকের যেসব নেয়ামতের কোনো তুলনা হয় না এর একটি ঘুম। আমাদের সুস্থ-স্বাভাবিক থাকার জন্য ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। এই নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যাদের ঘুমের সমস্যা তারাই কেবল জানেন এটা কত মূল্যবান নেয়ামত। ইসলামে সবকিছুর সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। ঘুমও এর ব্যতিক্রম নয়। ঘুমুতে যাওয়া থেকে নিয়ে ঘুম থেকে ওঠা পর্যন্ত করণীয় সম্পর্কে ইসলামে নির্দেশনা রয়েছে। বেশি রাত না করে দ্রুত ঘুমাতে যাওয়া মুস্তাহাব। রাসুল (সা.) এশার নামাজের আগে ঘুমানো এবং নামাজের পর অহেতুক গল্প-গুজব করাকে খুব অপছন্দ করতেন। তবে ভালো ও নেক কাজের জন্য এশার পরে জাগ্রত থাকাতে কোনো ক্ষতি নেই। অজু অবস্থায় ঘুমাতে যাওয়া সুন্নত। হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) বারা ইবনে আযেব (রা.)-কে বলেছিলেন, ‘যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন নামাজের অজুর মতো অজু করবে।’ তিনি নিজেও এর ওপর আমল করতেন। ঘুমাতে হবে ডান পাশে ফিরে। তবে ঘুমিয়ে যাওয়ার পর র্পার্শ্ব পরিবর্তন করলেও কোনো সমস্যা নেই। উপুড় হয়ে ঘুমানো মাকরুহ। হাদিসে আছে, এটি এমন শয়ন, যাকে আল্লাহতায়ালা খুব অপছন্দ করেন। ঘুমানোর সময় হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলো পড়ার চেষ্টা করা উচিত। যাদের আয়াতুল কুরসি মুখস্থ আছে তারা পড়তে পারেন। এছাড়া এখলাস, নাস এবং বিভিন্ন দোয়ার কথা হাদিসে উল্লেখ আছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঘুমানোর ইসলামী বিধান

আপলোড টাইম : ০৯:০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০১৯

ধর্ম ডেস্ক: আল্লাহ পাকের যেসব নেয়ামতের কোনো তুলনা হয় না এর একটি ঘুম। আমাদের সুস্থ-স্বাভাবিক থাকার জন্য ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। এই নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যাদের ঘুমের সমস্যা তারাই কেবল জানেন এটা কত মূল্যবান নেয়ামত। ইসলামে সবকিছুর সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। ঘুমও এর ব্যতিক্রম নয়। ঘুমুতে যাওয়া থেকে নিয়ে ঘুম থেকে ওঠা পর্যন্ত করণীয় সম্পর্কে ইসলামে নির্দেশনা রয়েছে। বেশি রাত না করে দ্রুত ঘুমাতে যাওয়া মুস্তাহাব। রাসুল (সা.) এশার নামাজের আগে ঘুমানো এবং নামাজের পর অহেতুক গল্প-গুজব করাকে খুব অপছন্দ করতেন। তবে ভালো ও নেক কাজের জন্য এশার পরে জাগ্রত থাকাতে কোনো ক্ষতি নেই। অজু অবস্থায় ঘুমাতে যাওয়া সুন্নত। হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) বারা ইবনে আযেব (রা.)-কে বলেছিলেন, ‘যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন নামাজের অজুর মতো অজু করবে।’ তিনি নিজেও এর ওপর আমল করতেন। ঘুমাতে হবে ডান পাশে ফিরে। তবে ঘুমিয়ে যাওয়ার পর র্পার্শ্ব পরিবর্তন করলেও কোনো সমস্যা নেই। উপুড় হয়ে ঘুমানো মাকরুহ। হাদিসে আছে, এটি এমন শয়ন, যাকে আল্লাহতায়ালা খুব অপছন্দ করেন। ঘুমানোর সময় হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলো পড়ার চেষ্টা করা উচিত। যাদের আয়াতুল কুরসি মুখস্থ আছে তারা পড়তে পারেন। এছাড়া এখলাস, নাস এবং বিভিন্ন দোয়ার কথা হাদিসে উল্লেখ আছে।