ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গয়নাসহ ৭-৮ লাখ টাকার মালামাল চুরি, নৈশপ্রহরী আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২০
  • / ২৪৪ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা শহরে জানালার গ্রিল ভেঙে বাড়িতে চোরেদের দুঃসাহসিক তাণ্ডব
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ার ডিজিটাল মোড়ের এক বৃদ্ধা স্কুলশিক্ষিকার দোতলা বাড়ির জানালার গ্রিল ভেঙে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটার মধ্যে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় ৬-৭ লাখ টাকার স্বর্ণের গয়না, নগদ ৭০ হাজার টাকাসহ বেশ কিছু দামি শাড়ি-কাপড় চুরি করে নিয়ে গেছে চোরের দল। এ ঘটনায় পাশের এক নির্মাণাধীন ভবনের নৈশপ্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, গতকাল বিকেল পাঁচটার পর অসুস্থ বাবাকে ক্লিনিকে দেখতে যান বাড়ির মালিক স্কুলশিক্ষিকা তাহমিনা খাতুন। এই সুযোগে একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল বাড়ির কর্নিস বেয়ে দোতলায় উঠে জানালার গ্রিল ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা দুটি কক্ষের তালা ভেঙে দুটি আলমারি, ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ও বিভিন্ন আসবাব তছনছ করে প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণের গয়না, নগদ ৭০ হাজার টাকাসহ বেশ কিছু দামি শাড়ি-কাপড় চুরি করে নিয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই বাড়ির আরেক সদস্য তাহমিনার খালোতো বোন সেলিনা অফিস শেষে বাড়ি ফেরেন। এ সময় ভেতর থেকে ঘরের দরজা আটকানো থাকায় দরজা খুলতে না পেরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন তিনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে দরজা খুললে চুরির ঘটনাটি সবার নজরে পড়ে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছান সদর থানা ও ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা। তাঁরা চুরির আলামতসহ বিভিন্ন প্রকার তথ্য সংগ্রহ করেন এবং চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে পাশের নির্মাণাধীন একটি ভবনের নৈশপ্রহরীকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন। আটক ওই নৈশপ্রহরী হলেন বেলগাছি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে শাহাবুল (৩৫)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুরির বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
বাড়ির মালিক স্কুলশিক্ষিকা তহমিনা খাতুন জানান, ঘরের দরজা-জানালা তালা মেরে বিকেলে অসুস্থ বাবাকে ক্লিনিকে দেখতে যান তিনি। পরে রাাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁর খালাতো বোন তাঁকে ফোন দিয়ে বাড়ির চুরির ঘটনাটি জানান। পরে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, ঘরের তালা ভেঙে চোরেরা তাঁর স্বর্ণের গয়না, নগদ টাকাসহ বেশ কিছু দামি শাড়ি-কাপড় নিয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে তিনি ধারণা করছেন, পাশের ঘরে রাখা তাঁর বোনের স্বর্ণের গয়না, নগদ টাকাসহ প্রায় ৭-৮ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।
চুরির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, চুরির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিভিন্ন আলামত ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ এক নৈশপ্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তিনি আরও বলেন, চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আটক করতে সদর থানার পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ শুরু করেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গয়নাসহ ৭-৮ লাখ টাকার মালামাল চুরি, নৈশপ্রহরী আটক

আপলোড টাইম : ০৯:২২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২০

চুয়াডাঙ্গা শহরে জানালার গ্রিল ভেঙে বাড়িতে চোরেদের দুঃসাহসিক তাণ্ডব
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ার ডিজিটাল মোড়ের এক বৃদ্ধা স্কুলশিক্ষিকার দোতলা বাড়ির জানালার গ্রিল ভেঙে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটার মধ্যে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় ৬-৭ লাখ টাকার স্বর্ণের গয়না, নগদ ৭০ হাজার টাকাসহ বেশ কিছু দামি শাড়ি-কাপড় চুরি করে নিয়ে গেছে চোরের দল। এ ঘটনায় পাশের এক নির্মাণাধীন ভবনের নৈশপ্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, গতকাল বিকেল পাঁচটার পর অসুস্থ বাবাকে ক্লিনিকে দেখতে যান বাড়ির মালিক স্কুলশিক্ষিকা তাহমিনা খাতুন। এই সুযোগে একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল বাড়ির কর্নিস বেয়ে দোতলায় উঠে জানালার গ্রিল ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা দুটি কক্ষের তালা ভেঙে দুটি আলমারি, ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ও বিভিন্ন আসবাব তছনছ করে প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণের গয়না, নগদ ৭০ হাজার টাকাসহ বেশ কিছু দামি শাড়ি-কাপড় চুরি করে নিয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই বাড়ির আরেক সদস্য তাহমিনার খালোতো বোন সেলিনা অফিস শেষে বাড়ি ফেরেন। এ সময় ভেতর থেকে ঘরের দরজা আটকানো থাকায় দরজা খুলতে না পেরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন তিনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে দরজা খুললে চুরির ঘটনাটি সবার নজরে পড়ে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছান সদর থানা ও ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা। তাঁরা চুরির আলামতসহ বিভিন্ন প্রকার তথ্য সংগ্রহ করেন এবং চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে পাশের নির্মাণাধীন একটি ভবনের নৈশপ্রহরীকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন। আটক ওই নৈশপ্রহরী হলেন বেলগাছি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে শাহাবুল (৩৫)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুরির বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
বাড়ির মালিক স্কুলশিক্ষিকা তহমিনা খাতুন জানান, ঘরের দরজা-জানালা তালা মেরে বিকেলে অসুস্থ বাবাকে ক্লিনিকে দেখতে যান তিনি। পরে রাাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁর খালাতো বোন তাঁকে ফোন দিয়ে বাড়ির চুরির ঘটনাটি জানান। পরে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, ঘরের তালা ভেঙে চোরেরা তাঁর স্বর্ণের গয়না, নগদ টাকাসহ বেশ কিছু দামি শাড়ি-কাপড় নিয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে তিনি ধারণা করছেন, পাশের ঘরে রাখা তাঁর বোনের স্বর্ণের গয়না, নগদ টাকাসহ প্রায় ৭-৮ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।
চুরির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, চুরির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিভিন্ন আলামত ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ এক নৈশপ্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তিনি আরও বলেন, চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আটক করতে সদর থানার পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ শুরু করেছে।