ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গ্রাম-শহর নির্বিশেষে সংগ্রহ করা হবে তথ্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৪:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০১৯
  • / ২২৭ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ঝিনাইদহে কৃষি শুমারির উদ্বোধন
সমীকরণ প্রতিবেদন:
‘কৃষি শুমারি সফল করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি’ এ স্লোগানে সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে কৃষি শুমারির উদ্বোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি ২০১৯-এর আওতায় মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ শুমারির উদ্বোধন করা হয়।
বিশেষ প্রতিবেদক জানিয়েছেন:
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি ২০১৯-এর আওতায় মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে রঙিন বেলুনের সঙ্গে ফেস্টুন উড়িয়ে কৃষি শুমারি ২০১৯-এর উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রাসিউল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আয়োজকেরা জানান, এ শুমারির আওতায় গ্রাম-শহর নির্বিশেষে প্রত্যেকটি খানার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ কার্যক্রমে চুয়াডাঙ্গা জেলার ১ হাজার ৪২২ জন কর্মী মাঠে নেমেছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ২২২ জন তথ্য সংগ্রহকারী রয়েছেন, যাঁরা মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ করবেন। কাজের তদারকি করবেন ১৮২ জন সুপারভাইজার ও ১৮ জন জোনাল অফিসার।
প্রসঙ্গত, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সারা দেশে কৃষি শুমারি ২০১৯ পরিচালনা করছে। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার গাইডলাইন অনুসারে এই শুমারি পরিচালিত হবে। প্রতি দশ বছর অন্তর কৃষি শুমারি হয়। পরিসংখ্যান আইনে জনশুমারি এবং অর্থনৈতিক শুমারির পাশাপাশি কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি পরিচালনা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ১৯৬০ সালে প্রথমবার নমুনা আকারে দেশে কৃষি শুমারি হয়। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে প্রথম কৃষি শুমারি হয় ১৯৭৭ সালে। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩-৮৪, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে কৃষি শুমারি হয়। এ কার্যক্রম চলবে ২০ জুন পর্যন্ত।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে:


‘কৃষি শুমারি সফল করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি’ এ স্লোগানে মেহেরপুরে কৃষি শুমারি উপলক্ষে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল নয়টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইবাদদ হোসেনের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইবাদদ হোসেন, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর রাকিবুল হাসান, জেলা পরিসংখ্যান বিভাগের উপপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম, এস এ আশরাফুল ইসলামসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ৯ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত শুমারি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন। মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও পরিসংখ্যান বিভাগ এ র‌্যালির আয়োজন করে।
ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে:
‘কৃষি শুমারি সফল করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে কৃষি শুমারির উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিসংখ্যান অফিসের আয়োজনে গতকাল সকালে কালেক্টরেট চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। সেখানে বেলুন উড়িয়ে শুমারির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রাণী ও পশু সম্পদ কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমানসহ সুপারভাইজার ও গণনাকারীরা। ঝিনাইদহ জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, কৃষি শুমারির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত সরকারের রূপকল্প ২০২১, নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), পরিসংখ্যান উন্নয়নে জাতীয় কৌশলপত্র (এনএসডিএস) এবং পঞ্চ-বার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নে সহায়তা করবে। কৃষি শুমারি ২০১৯-এ অস্থায়ী (ধান, পাট, গম, আলু ইত্যাদি) ফসল এর পাশাপাশি স্থায়ী ফসলের তথ্যাদি, বনজ ও ফলদ বৃক্ষ এবং এর উৎপাদন সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি সংগ্রহ করা হবে। এ শুমারিতে কৃষি তথ্যের পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। গতকাল থেকে শুরু হওয়া এ শুমারি চলবে ২০ জুন পর্যন্ত। জেলার ৬ উপজেলার ২ হাজার ১৭০ জন গণনাকারী বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কৃষি তথ্য সংগ্রহ করবেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গ্রাম-শহর নির্বিশেষে সংগ্রহ করা হবে তথ্য

আপলোড টাইম : ১০:৩৪:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০১৯

চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ঝিনাইদহে কৃষি শুমারির উদ্বোধন
সমীকরণ প্রতিবেদন:
‘কৃষি শুমারি সফল করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি’ এ স্লোগানে সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে কৃষি শুমারির উদ্বোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি ২০১৯-এর আওতায় মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ শুমারির উদ্বোধন করা হয়।
বিশেষ প্রতিবেদক জানিয়েছেন:
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি ২০১৯-এর আওতায় মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে রঙিন বেলুনের সঙ্গে ফেস্টুন উড়িয়ে কৃষি শুমারি ২০১৯-এর উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রাসিউল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আয়োজকেরা জানান, এ শুমারির আওতায় গ্রাম-শহর নির্বিশেষে প্রত্যেকটি খানার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ কার্যক্রমে চুয়াডাঙ্গা জেলার ১ হাজার ৪২২ জন কর্মী মাঠে নেমেছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ২২২ জন তথ্য সংগ্রহকারী রয়েছেন, যাঁরা মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ করবেন। কাজের তদারকি করবেন ১৮২ জন সুপারভাইজার ও ১৮ জন জোনাল অফিসার।
প্রসঙ্গত, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সারা দেশে কৃষি শুমারি ২০১৯ পরিচালনা করছে। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার গাইডলাইন অনুসারে এই শুমারি পরিচালিত হবে। প্রতি দশ বছর অন্তর কৃষি শুমারি হয়। পরিসংখ্যান আইনে জনশুমারি এবং অর্থনৈতিক শুমারির পাশাপাশি কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি পরিচালনা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ১৯৬০ সালে প্রথমবার নমুনা আকারে দেশে কৃষি শুমারি হয়। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে প্রথম কৃষি শুমারি হয় ১৯৭৭ সালে। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩-৮৪, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে কৃষি শুমারি হয়। এ কার্যক্রম চলবে ২০ জুন পর্যন্ত।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে:


‘কৃষি শুমারি সফল করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি’ এ স্লোগানে মেহেরপুরে কৃষি শুমারি উপলক্ষে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল নয়টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইবাদদ হোসেনের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইবাদদ হোসেন, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর রাকিবুল হাসান, জেলা পরিসংখ্যান বিভাগের উপপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম, এস এ আশরাফুল ইসলামসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ৯ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত শুমারি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন। মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও পরিসংখ্যান বিভাগ এ র‌্যালির আয়োজন করে।
ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে:
‘কৃষি শুমারি সফল করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে কৃষি শুমারির উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিসংখ্যান অফিসের আয়োজনে গতকাল সকালে কালেক্টরেট চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। সেখানে বেলুন উড়িয়ে শুমারির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রাণী ও পশু সম্পদ কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমানসহ সুপারভাইজার ও গণনাকারীরা। ঝিনাইদহ জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, কৃষি শুমারির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত সরকারের রূপকল্প ২০২১, নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), পরিসংখ্যান উন্নয়নে জাতীয় কৌশলপত্র (এনএসডিএস) এবং পঞ্চ-বার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নে সহায়তা করবে। কৃষি শুমারি ২০১৯-এ অস্থায়ী (ধান, পাট, গম, আলু ইত্যাদি) ফসল এর পাশাপাশি স্থায়ী ফসলের তথ্যাদি, বনজ ও ফলদ বৃক্ষ এবং এর উৎপাদন সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি সংগ্রহ করা হবে। এ শুমারিতে কৃষি তথ্যের পাশাপাশি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। গতকাল থেকে শুরু হওয়া এ শুমারি চলবে ২০ জুন পর্যন্ত। জেলার ৬ উপজেলার ২ হাজার ১৭০ জন গণনাকারী বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কৃষি তথ্য সংগ্রহ করবেন।