ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গ্রামে ফিরতে নারীদের থানায় ধর্ণা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১২০ বার পড়া হয়েছে

আ.লীগের বিবাদে নিহত দুই নেতা-কর্মী নিহতের জের
ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুরে দুই নেতা-কর্মী নিহত হলে চার মাস বাড়িছাড়া হয় একপক্ষের পরিবার। বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে তাঁরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছিল। ওই সব পরিবারের নারী সদস্যরা তাঁদের সন্তান নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় ধর্ণা দেয়। গতকাল বুধবার দুপুরে থানা চত্বরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় প্রায় ২০ জন নারীকে। থানায় আসা নারীরা জানান, গত ৫ জুন আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার হরিশংকপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আলাপ শেখসহ দুজন নিহত হন। এ ঘটনার পর থেকে আসামি পক্ষের লোকজনের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। চলতে থাকে বেপরোয়া লুটপাট। তারপর থেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালায় ওই গ্রামের অর্ধশত পরিবার। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি এখন বসতবাড়ির গাছপালা কেটে নিচ্ছে প্রতিপক্ষরা। গ্রামে গেলে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও এক নারী অভিযোগ করেন। দিনের পর দিন জেলার বিভিন্ন স্থানে স্বজনদের বাড়িতে অবস্থান করতে হচ্ছে তাদের। সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করতে সদর থানায় এসেছেন তারা। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘হত্যার ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। যারা নির্দোষ তারা বাড়িতে ফিরে যাবেন। কেউ বাধা দিলে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গ্রামে ফিরতে নারীদের থানায় ধর্ণা

আপলোড টাইম : ০৯:২৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

আ.লীগের বিবাদে নিহত দুই নেতা-কর্মী নিহতের জের
ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুরে দুই নেতা-কর্মী নিহত হলে চার মাস বাড়িছাড়া হয় একপক্ষের পরিবার। বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে তাঁরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছিল। ওই সব পরিবারের নারী সদস্যরা তাঁদের সন্তান নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় ধর্ণা দেয়। গতকাল বুধবার দুপুরে থানা চত্বরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় প্রায় ২০ জন নারীকে। থানায় আসা নারীরা জানান, গত ৫ জুন আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার হরিশংকপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আলাপ শেখসহ দুজন নিহত হন। এ ঘটনার পর থেকে আসামি পক্ষের লোকজনের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। চলতে থাকে বেপরোয়া লুটপাট। তারপর থেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালায় ওই গ্রামের অর্ধশত পরিবার। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি এখন বসতবাড়ির গাছপালা কেটে নিচ্ছে প্রতিপক্ষরা। গ্রামে গেলে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও এক নারী অভিযোগ করেন। দিনের পর দিন জেলার বিভিন্ন স্থানে স্বজনদের বাড়িতে অবস্থান করতে হচ্ছে তাদের। সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করতে সদর থানায় এসেছেন তারা। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘হত্যার ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। যারা নির্দোষ তারা বাড়িতে ফিরে যাবেন। কেউ বাধা দিলে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।’