ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যা-পাড়ায় দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের অভিযান সহযোগী রাহুল পালালেও কম্পিউটার টেকনেশিয়ান বাপ্পি ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৩৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৩৯৪ বার পড়া হয়েছে

Chuadanga  Phanchydel Recovery With Man 09.12.2016

শহর প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গার ফাতেমা প্লাজায় অবস্থিত বাপ্পি কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকরী ও শহরের রেলপাড়ার ওয়াহিদুল ইসলাম মালিকের ছেলে মিরাজুল ইসলাম বাপ্পি (৩৮) কে ৩০ বোতল ফেন্সিডিল ১টি ইমা মোটরসাইকেল ও ২টি মোবাইল ফোনসহ আটক করেছে দামুড়হুদা পুলিশ। এসময় চুয়াডাঙ্গা শহরের মহিলা কলেজপাড়ার আবু বক্করের ছেলে রাহুল পালিয়ে যায় বলে জানায় পুলিশ। দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন জানান, গোপনে খবর পাওয়া যায় যে, দর্শনার থেকে একটি সাদা ইমা মোটরসাইকেলে চেপে ২ জন ফেন্সিডিল নিয়ে চুয়াডাঙ্গার দিকে যাচ্ছে। এখবর জানার পর দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই সুব্রত ও এএসআই মনির দামুড়হুদার ব্র্যাক অফিসের সামনে অবস্থান নেয়। উল্লেখিত মোটরসাইকেলটি ব্র্যাক অফিসের সামনে পৌছালে তাদের গতিরোধ করার চেষ্টা করা হলে, পুলিশকে ধাক্কা মেরে তারা দ্রুত গতিতে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের পিছুনে ধাওয়া করে উপজেলার উজিরপুর এলাকায় মোটরসাইকেলটিসহ চুয়াডাঙ্গা ফাতেমাপ্লাজার বাপ্পি কম্পিউটারের সত্বাধিকারী মিরাজুল ইসলাম বাপ্পিকে আটক করতে সক্ষম হলেও তার সঙ্গী রাহুল (২৫) পালিয়ে যায়। ওই সময় পুলিশ তার ব্যাগ তল্লাশী করে ৩০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ২টি মোবাইল ফোন জব্দ করে। এব্যাপারে দামুড়হুদা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যমতে চুয়াডাঙ্গা শহরের জীবননগর বাসষ্ট্যান্ডের ডিলিংস মটরস শোরুমের সামনের গলি থেকে বাপ্পিকে ফেন্সিডিলসহ আটক করে পুলিশ। সকাল ১০টার দিকে এঘটনা ঘটলে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়। এই বাপ্পি শহরের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারে সফটওয়ারের কাজ করতো এবং রাহুল বাপ্পির সহকারী হিসেবে কাজ করতো। তবে বেশ কিছুদিন বাপ্পিকে চুয়াডাঙ্গায় দেখা যায়নি বলেও জানায় তার পরিচিত জনেরা। আর রাহুল বাপ্পি কম্পিউটারের দোকান থেকে কাজ ছেড়ে দিয়ে শহরের একটি কম্পিউটার ফার্মে কাজ করে বলে জানা যায়। অনেক প্রত্যক্ষদর্শী নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানায় ৩০ বোতলের বেশি ফেন্সিডিল উদ্ধার হলেও মামলায় ৩০ বোতল উল্লেখ করা হয়েছে। বাপ্পিকে সাহসীকতার সাথে আটকের জন্য এসআই শুভ্রতকে অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এদিকে চুয়াডাঙ্গা ও দামুড়হুদা শহরের আটকের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন চায়ের দোকানে খোশগল্পের খোরাক হয়ে উঠে বাপ্পি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যা-পাড়ায় দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের অভিযান সহযোগী রাহুল পালালেও কম্পিউটার টেকনেশিয়ান বাপ্পি ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার

আপলোড টাইম : ১২:৩৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬

Chuadanga  Phanchydel Recovery With Man 09.12.2016

শহর প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গার ফাতেমা প্লাজায় অবস্থিত বাপ্পি কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকরী ও শহরের রেলপাড়ার ওয়াহিদুল ইসলাম মালিকের ছেলে মিরাজুল ইসলাম বাপ্পি (৩৮) কে ৩০ বোতল ফেন্সিডিল ১টি ইমা মোটরসাইকেল ও ২টি মোবাইল ফোনসহ আটক করেছে দামুড়হুদা পুলিশ। এসময় চুয়াডাঙ্গা শহরের মহিলা কলেজপাড়ার আবু বক্করের ছেলে রাহুল পালিয়ে যায় বলে জানায় পুলিশ। দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন জানান, গোপনে খবর পাওয়া যায় যে, দর্শনার থেকে একটি সাদা ইমা মোটরসাইকেলে চেপে ২ জন ফেন্সিডিল নিয়ে চুয়াডাঙ্গার দিকে যাচ্ছে। এখবর জানার পর দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই সুব্রত ও এএসআই মনির দামুড়হুদার ব্র্যাক অফিসের সামনে অবস্থান নেয়। উল্লেখিত মোটরসাইকেলটি ব্র্যাক অফিসের সামনে পৌছালে তাদের গতিরোধ করার চেষ্টা করা হলে, পুলিশকে ধাক্কা মেরে তারা দ্রুত গতিতে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের পিছুনে ধাওয়া করে উপজেলার উজিরপুর এলাকায় মোটরসাইকেলটিসহ চুয়াডাঙ্গা ফাতেমাপ্লাজার বাপ্পি কম্পিউটারের সত্বাধিকারী মিরাজুল ইসলাম বাপ্পিকে আটক করতে সক্ষম হলেও তার সঙ্গী রাহুল (২৫) পালিয়ে যায়। ওই সময় পুলিশ তার ব্যাগ তল্লাশী করে ৩০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ২টি মোবাইল ফোন জব্দ করে। এব্যাপারে দামুড়হুদা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যমতে চুয়াডাঙ্গা শহরের জীবননগর বাসষ্ট্যান্ডের ডিলিংস মটরস শোরুমের সামনের গলি থেকে বাপ্পিকে ফেন্সিডিলসহ আটক করে পুলিশ। সকাল ১০টার দিকে এঘটনা ঘটলে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়। এই বাপ্পি শহরের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারে সফটওয়ারের কাজ করতো এবং রাহুল বাপ্পির সহকারী হিসেবে কাজ করতো। তবে বেশ কিছুদিন বাপ্পিকে চুয়াডাঙ্গায় দেখা যায়নি বলেও জানায় তার পরিচিত জনেরা। আর রাহুল বাপ্পি কম্পিউটারের দোকান থেকে কাজ ছেড়ে দিয়ে শহরের একটি কম্পিউটার ফার্মে কাজ করে বলে জানা যায়। অনেক প্রত্যক্ষদর্শী নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানায় ৩০ বোতলের বেশি ফেন্সিডিল উদ্ধার হলেও মামলায় ৩০ বোতল উল্লেখ করা হয়েছে। বাপ্পিকে সাহসীকতার সাথে আটকের জন্য এসআই শুভ্রতকে অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এদিকে চুয়াডাঙ্গা ও দামুড়হুদা শহরের আটকের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন চায়ের দোকানে খোশগল্পের খোরাক হয়ে উঠে বাপ্পি।