ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গুগল কি বিপথে চলে যাচ্ছে?

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুন ২০১৮
  • / ৩৩০ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: টেক জায়ান্ট গুগলের সব সেবা মানুষের মঙ্গলের জন্য। ২০০০ সাল থেকে ‘ডোন্ট বি এভিল’ (অশুভ কিছু করবে না)- এই নীতিতে এগিয়ে চলেছে গুগল। এমনকি ‘ডোন্ট বি এভিল’ গুগলের কোড অব কন্ডাক্ট এর প্রথম বাক্যও। কিন্তু প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম গিজমোডো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এপ্রিলের শেষের দিকে কিংবা মে এর শুরুর দিকের কোনো এক সময় গুগল তাদের কোড অব কন্ডাক্ট এর শুরুতে থাকা ‘ডোন্ট বি এভিল’ স্লোগান বা নীতিটি মুছে দিয়েছিল। কেবল শেষের দিকে এই বাক্যটি শুধু একবার লেখা ছিল। এই স্লোগান অন্তর্ভুক্ত না থাকাটা খুবই ছোটখাটো ঘটনা মনে হলেও, এটাকে এভাবেও দেখা যায় যে গুগল সম্ভবত তাদের নৈতিক দিক থেকে এই বাক্যটিকে আর অগ্রাধিকার দিচ্ছে না। এমনকি আমাদের মনে এ ধরনের ধারণা তৈরি হওয়া জন্য গুগল ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রমাণ দিয়েছে যে, নীতির এই পরিবর্তন ভবিষ্যতে মানুষের জন্য অসুবিধা বয়ে আনবে। এখন গুগল এমন একটি অবস্থানে আছে যে এর প্রভাব আমাদের জীবনে অনেক। এখন কথা হচ্ছে, গুগল কি এই ক্ষমতা শুধুমাত্র মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করবে, নাকি মন্দের জন্যেও? এ প্রতিবেদনে গুগলের সাম্প্রতিক তিনটি প্রকল্প তুলে ধরা হলো, যা আশ্চর্যজনক মনে হলেও দ্বিতীয়টির দিকেই নির্দেশ করছে! প্রজেক্ট ম্যাভেন: ভালো এবং মন্দ অবশ্যই একদম ব্যক্তিগত নীতিমালার বিষয় এবং একজন ব্যক্তির ‘মন্দ’ আরেকজনের কাছে নৈতিকভাবে বোধগম্য নাও হতে পারে। তবুও ড্রোন চালানোর মাধ্যমে কাউকে খুন করার বিষয়ে সাহায্য করাটা যে নৈতিক ভাবে খারাপ এটা বলার অবকাশ রাখে না। মার্চে খবর প্রকাশিত হয় যে, প্রজেক্ট ম্যাভেনে যুদ্ধে ব্যবহার উপযোগী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ড্রোন তৈরির একটা প্রকল্পে গুগল মার্কিন সামরিক বাহিনীকে সাহায্য করছে। গুগলের হাজার হাজার কর্মী এই পার্টনারশিপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। গত সপ্তাহে প্রতিবাদস্বরূপ কেউ কেউ গুগলের চাকরি থেকে পদত্যাগও দিয়ে দেয়। এরপরেও গুগল এখনো প্রজেক্ট ম্যাভেন এর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং কর্মীদের মতে, গুগল দিন দিন মিলিটারি অপারেশনে আগ্রহী হচ্ছে এবং এ নিয়ে অন্যান্য কর্মীরা কি ভাবছে সে সম্পর্কে গুগলের উদাসীন মনোভাব বিরাজ করছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গুগল কি বিপথে চলে যাচ্ছে?

আপলোড টাইম : ০৯:৫৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুন ২০১৮

প্রযুক্তি ডেস্ক: টেক জায়ান্ট গুগলের সব সেবা মানুষের মঙ্গলের জন্য। ২০০০ সাল থেকে ‘ডোন্ট বি এভিল’ (অশুভ কিছু করবে না)- এই নীতিতে এগিয়ে চলেছে গুগল। এমনকি ‘ডোন্ট বি এভিল’ গুগলের কোড অব কন্ডাক্ট এর প্রথম বাক্যও। কিন্তু প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম গিজমোডো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এপ্রিলের শেষের দিকে কিংবা মে এর শুরুর দিকের কোনো এক সময় গুগল তাদের কোড অব কন্ডাক্ট এর শুরুতে থাকা ‘ডোন্ট বি এভিল’ স্লোগান বা নীতিটি মুছে দিয়েছিল। কেবল শেষের দিকে এই বাক্যটি শুধু একবার লেখা ছিল। এই স্লোগান অন্তর্ভুক্ত না থাকাটা খুবই ছোটখাটো ঘটনা মনে হলেও, এটাকে এভাবেও দেখা যায় যে গুগল সম্ভবত তাদের নৈতিক দিক থেকে এই বাক্যটিকে আর অগ্রাধিকার দিচ্ছে না। এমনকি আমাদের মনে এ ধরনের ধারণা তৈরি হওয়া জন্য গুগল ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রমাণ দিয়েছে যে, নীতির এই পরিবর্তন ভবিষ্যতে মানুষের জন্য অসুবিধা বয়ে আনবে। এখন গুগল এমন একটি অবস্থানে আছে যে এর প্রভাব আমাদের জীবনে অনেক। এখন কথা হচ্ছে, গুগল কি এই ক্ষমতা শুধুমাত্র মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করবে, নাকি মন্দের জন্যেও? এ প্রতিবেদনে গুগলের সাম্প্রতিক তিনটি প্রকল্প তুলে ধরা হলো, যা আশ্চর্যজনক মনে হলেও দ্বিতীয়টির দিকেই নির্দেশ করছে! প্রজেক্ট ম্যাভেন: ভালো এবং মন্দ অবশ্যই একদম ব্যক্তিগত নীতিমালার বিষয় এবং একজন ব্যক্তির ‘মন্দ’ আরেকজনের কাছে নৈতিকভাবে বোধগম্য নাও হতে পারে। তবুও ড্রোন চালানোর মাধ্যমে কাউকে খুন করার বিষয়ে সাহায্য করাটা যে নৈতিক ভাবে খারাপ এটা বলার অবকাশ রাখে না। মার্চে খবর প্রকাশিত হয় যে, প্রজেক্ট ম্যাভেনে যুদ্ধে ব্যবহার উপযোগী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ড্রোন তৈরির একটা প্রকল্পে গুগল মার্কিন সামরিক বাহিনীকে সাহায্য করছে। গুগলের হাজার হাজার কর্মী এই পার্টনারশিপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। গত সপ্তাহে প্রতিবাদস্বরূপ কেউ কেউ গুগলের চাকরি থেকে পদত্যাগও দিয়ে দেয়। এরপরেও গুগল এখনো প্রজেক্ট ম্যাভেন এর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং কর্মীদের মতে, গুগল দিন দিন মিলিটারি অপারেশনে আগ্রহী হচ্ছে এবং এ নিয়ে অন্যান্য কর্মীরা কি ভাবছে সে সম্পর্কে গুগলের উদাসীন মনোভাব বিরাজ করছে।