ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গাছভরা মুকুলে স্বপ্ন দেখছেন আমচাষিরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪০:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মার্চ ২০২০
  • / ২১৬ বার পড়া হয়েছে

আমচাষে চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
সমীকরণ প্রতিবেদক:
আমগাছের ভরা মুকুল দেখে সবারই মন জুড়িয়ে যায়। গাছে গাছে ভরা আমের মুকুলে মধু মধু ঘ্রাণ এলাকার চারপাশে ছড়াচ্ছে মিষ্টি সুবাস। আর কিছুদিন পরেই মধুমাসে গাছ ভরা এসব মুকুল থেকে গুটি আম রুপ নিবে পরিপক্ক আমে। চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলাতেই আমগাছের মুকুলের মিষ্টি গন্ধে পথচারীদের মন ছুঁয়ে যায়। এদিকে, বাগানে সারিবদ্ধ আমগাছগুলোতে ভরা মুকুলে এ বছর একটু বাড়তি লাভের স্বপ্ন দেখছে জেলার আমচাষিরা।
জেলার কয়েকটি আমবাগান ঘুরে দেখা যায়, আমচাষিরা তাঁদের বাগানগুলোতে আমগাছের করছে বাড়তি পরিচর্যা। এ বছর বাগানের প্রতিটি আমগাছে মুকুল বেশি ধরায় পোকা-মাকড়ের আক্রমন ঠেকাতে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের সদস্যদের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধও স্প্রে করছেন আমচাষিরা। আবহাওয়া ভালো হলে আমের ফলনও ভালো হয়। সুতরাং এ বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ খুব বেশি না হলে আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন জেলা অধিকাংশ আম বাগান মালিকেরা।
পুড়োপাড়া এলাকার আম বাগানের মালিক রেজাউল শেখ বলেন, দিন বিশেক আগে তাঁর বাগানের আমগাছগুলোতে মুকুল আসা শুরু করে। বাগানের ১৩৫ আম গাছের প্রতিটি গাছেই আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে। চলতি মৌসুমে যদি আবহাওয়া ভালো থাকে, তবে আমের ফলন ভালো হবে। ফলে লাভের পরিমাণও অন্য বছরের তুলনায় বেশি হবে ধারণা করছেন এই কৃষক।
বেলগাছী গ্রামের নিয়াজ মণ্ডল একজন চাষি। আম বাগান লিজ নিয়ে আম চাষ করেন তিনি। বিগত কয়েক বছরের মতো এবারো তিনি আমের বাগান লিজ নিয়েছেন। তিনি জানান, গাছে মুকুল আসার পরপরই বাগানের প্রতিটি গাছে পরিচর্যা শুরু করেছেন তিনি। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা তাঁর বাগানের এসে আম কিনে নিয়ে যান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আলী হাসান জানান, এ অঞ্চলের আম খুবই সুস্বাদু। গত বছর জেলার চার উপজেলায় ১৮ শ ৭৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছিল। এ বছর চলতি মৌসুমে মাত্রা বাড়িয়ে ১৯৫০ হেক্টর আমচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গাছভরা মুকুলে স্বপ্ন দেখছেন আমচাষিরা

আপলোড টাইম : ১০:৪০:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মার্চ ২০২০

আমচাষে চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
সমীকরণ প্রতিবেদক:
আমগাছের ভরা মুকুল দেখে সবারই মন জুড়িয়ে যায়। গাছে গাছে ভরা আমের মুকুলে মধু মধু ঘ্রাণ এলাকার চারপাশে ছড়াচ্ছে মিষ্টি সুবাস। আর কিছুদিন পরেই মধুমাসে গাছ ভরা এসব মুকুল থেকে গুটি আম রুপ নিবে পরিপক্ক আমে। চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলাতেই আমগাছের মুকুলের মিষ্টি গন্ধে পথচারীদের মন ছুঁয়ে যায়। এদিকে, বাগানে সারিবদ্ধ আমগাছগুলোতে ভরা মুকুলে এ বছর একটু বাড়তি লাভের স্বপ্ন দেখছে জেলার আমচাষিরা।
জেলার কয়েকটি আমবাগান ঘুরে দেখা যায়, আমচাষিরা তাঁদের বাগানগুলোতে আমগাছের করছে বাড়তি পরিচর্যা। এ বছর বাগানের প্রতিটি আমগাছে মুকুল বেশি ধরায় পোকা-মাকড়ের আক্রমন ঠেকাতে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের সদস্যদের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধও স্প্রে করছেন আমচাষিরা। আবহাওয়া ভালো হলে আমের ফলনও ভালো হয়। সুতরাং এ বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ খুব বেশি না হলে আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন জেলা অধিকাংশ আম বাগান মালিকেরা।
পুড়োপাড়া এলাকার আম বাগানের মালিক রেজাউল শেখ বলেন, দিন বিশেক আগে তাঁর বাগানের আমগাছগুলোতে মুকুল আসা শুরু করে। বাগানের ১৩৫ আম গাছের প্রতিটি গাছেই আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে। চলতি মৌসুমে যদি আবহাওয়া ভালো থাকে, তবে আমের ফলন ভালো হবে। ফলে লাভের পরিমাণও অন্য বছরের তুলনায় বেশি হবে ধারণা করছেন এই কৃষক।
বেলগাছী গ্রামের নিয়াজ মণ্ডল একজন চাষি। আম বাগান লিজ নিয়ে আম চাষ করেন তিনি। বিগত কয়েক বছরের মতো এবারো তিনি আমের বাগান লিজ নিয়েছেন। তিনি জানান, গাছে মুকুল আসার পরপরই বাগানের প্রতিটি গাছে পরিচর্যা শুরু করেছেন তিনি। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা তাঁর বাগানের এসে আম কিনে নিয়ে যান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আলী হাসান জানান, এ অঞ্চলের আম খুবই সুস্বাদু। গত বছর জেলার চার উপজেলায় ১৮ শ ৭৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছিল। এ বছর চলতি মৌসুমে মাত্রা বাড়িয়ে ১৯৫০ হেক্টর আমচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।