ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গাংনী কামারখালীতে পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষ্যে কয়েক দফায় পরিবারের উপর হামলা হামলা বন্ধে ভয় দেখাতে বিপত্তি : অস্ত্র ও গুলিসহ সাদ্দাম আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে

1গাংনী অফিস: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কামারখালী গ্রাম থেকে একটি দেশীয় পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলিসহ সাদ্দাম হোসেন (২২) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিন্দুরকোটা বাজারে মৎস্য চাষী কামাল হোসেনকে গুলি করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ধাওয়া খেয়ে ধরা পড়ে সাদ্দাম হোসেন। আটক সাদ্দাম হোসেন কামারখালী গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে কামারখালী গ্রামের ফারুক হোসেনের সঙ্গে ঝগরা বিবাদ হয় সিন্দুরকোটা গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের। এর জেরে ফারুকের ভাই সাদ্দাম হোসেন একটি দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে প্রকাশ্যে কামালকে লক্ষ্য করে গুলি করতে যায়। কিন্তু ফায়ার না হলে অস্ত্র নিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে সাদ্দাম। কামাল হোসেনের লোকজন তাকে ধাওয়া করলে কামারখালী গ্রামের একটি বাড়ির ভেতরে ওঠে সাদ্দাম। সেখান থেকে একটি দেশীয় তৈরী রিভালভার ও এক রাউন্ড গুলিসহ সাদ্দামকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে আটক সাদ্দাম হোসেন (২৫) জানান, ২০ দিন আগে আমার চাচার পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষ্যে কোদালকাটি গ্রামের গনি ও সিরাজের নিকট থেকে একটি মোটরসাইকেল নেওয়া হয়। পরে বিষয়টি শুনে মাছ কামাল নামে পরিচিত কামাল হোসেন গনি ও সিরাজের পক্ষ নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। কারণে অকারণে কামাল হোসেনের একের পর এক হামলায় আমরা দিশে হারা হয়ে পরি। হামলা বন্ধে প্রতিরোধের পথ খুজতেগিয়ে আমতৈল মানিকদিয়ার কাউসারের সাথে গিয়ে। চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের রিন্টুর নিকট থেকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি দেশীয় অস্ত্র ও এক রাউন্ড গুলি ক্রয় করি। উদ্দ্যোশ্য ছিলো কামাল হোসেনকে ভয় দেখানোর। যাতে আর তার পরিবারের উপর হামলা না করে। গতকাল মঙ্গলবার সাদ্দামের বড় ভাই ফারুক হোসেন সিন্দুরকোঠা বাজারে হাট করতে গেলে তাকে মারধর করে কামাল হোসেন ও ঝন্টুসহ তার লোকজন। ঘটনা শুনে অস্ত্র ও গুলি নিয়ে ছুটে যান কামাল হোসেনকে ভয় দেখাতে সাদ্দাম।  কিন্তু কামাল হোসেনের পক্ষে অনেক লোকজন থাকায় সে পিছু হটে। নিজ গ্রাম কামারখালী গোলাম রসুলের ঘরে অবশেষে আশ্রয় নেয় সে। এদিকে রসুলের বাড়ি ঘিরে রাখে কামাল হোসেনের লোকজন। পরে পুলিশ এসে অস্ত্র ও গুলিসহ সাদ্দাম হোসেনকে আটক করেন। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, অস্ত্র ও গুলির মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে সাদ্দাম হোসেনকে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গাংনী কামারখালীতে পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষ্যে কয়েক দফায় পরিবারের উপর হামলা হামলা বন্ধে ভয় দেখাতে বিপত্তি : অস্ত্র ও গুলিসহ সাদ্দাম আটক

আপলোড টাইম : ১২:০৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৬

1গাংনী অফিস: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কামারখালী গ্রাম থেকে একটি দেশীয় পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলিসহ সাদ্দাম হোসেন (২২) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিন্দুরকোটা বাজারে মৎস্য চাষী কামাল হোসেনকে গুলি করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ধাওয়া খেয়ে ধরা পড়ে সাদ্দাম হোসেন। আটক সাদ্দাম হোসেন কামারখালী গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে কামারখালী গ্রামের ফারুক হোসেনের সঙ্গে ঝগরা বিবাদ হয় সিন্দুরকোটা গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের। এর জেরে ফারুকের ভাই সাদ্দাম হোসেন একটি দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে প্রকাশ্যে কামালকে লক্ষ্য করে গুলি করতে যায়। কিন্তু ফায়ার না হলে অস্ত্র নিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে সাদ্দাম। কামাল হোসেনের লোকজন তাকে ধাওয়া করলে কামারখালী গ্রামের একটি বাড়ির ভেতরে ওঠে সাদ্দাম। সেখান থেকে একটি দেশীয় তৈরী রিভালভার ও এক রাউন্ড গুলিসহ সাদ্দামকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে আটক সাদ্দাম হোসেন (২৫) জানান, ২০ দিন আগে আমার চাচার পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষ্যে কোদালকাটি গ্রামের গনি ও সিরাজের নিকট থেকে একটি মোটরসাইকেল নেওয়া হয়। পরে বিষয়টি শুনে মাছ কামাল নামে পরিচিত কামাল হোসেন গনি ও সিরাজের পক্ষ নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। কারণে অকারণে কামাল হোসেনের একের পর এক হামলায় আমরা দিশে হারা হয়ে পরি। হামলা বন্ধে প্রতিরোধের পথ খুজতেগিয়ে আমতৈল মানিকদিয়ার কাউসারের সাথে গিয়ে। চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের রিন্টুর নিকট থেকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি দেশীয় অস্ত্র ও এক রাউন্ড গুলি ক্রয় করি। উদ্দ্যোশ্য ছিলো কামাল হোসেনকে ভয় দেখানোর। যাতে আর তার পরিবারের উপর হামলা না করে। গতকাল মঙ্গলবার সাদ্দামের বড় ভাই ফারুক হোসেন সিন্দুরকোঠা বাজারে হাট করতে গেলে তাকে মারধর করে কামাল হোসেন ও ঝন্টুসহ তার লোকজন। ঘটনা শুনে অস্ত্র ও গুলি নিয়ে ছুটে যান কামাল হোসেনকে ভয় দেখাতে সাদ্দাম।  কিন্তু কামাল হোসেনের পক্ষে অনেক লোকজন থাকায় সে পিছু হটে। নিজ গ্রাম কামারখালী গোলাম রসুলের ঘরে অবশেষে আশ্রয় নেয় সে। এদিকে রসুলের বাড়ি ঘিরে রাখে কামাল হোসেনের লোকজন। পরে পুলিশ এসে অস্ত্র ও গুলিসহ সাদ্দাম হোসেনকে আটক করেন। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, অস্ত্র ও গুলির মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে সাদ্দাম হোসেনকে।