ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গাংনীর নবীনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ধ্বসের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটির পরিদর্শন কাজ ও বিল বন্ধের নির্দেশ : ভবন ভেঙে পুনরায় নির্মাণে দাবি এলাকাবাসীর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৩৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে

sdr

sdr
sdr

গাংনী অফিস: গাংনী নবীণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ধ্বসের ঘটনায় ঢাকা থেকে আগত উচ্চ পর্যায়ের দুটি তদন্ত টীম মঙ্গলবার ও বুধবার সরেজমিনে পরিদর্শন ও তদন্ত করেছেন। ভবনের ভেঙ্গে যাওয়া অংশের কংক্রিট ও অন্যান্য মালামালের অংশ সংগ্রহ করেন। প্রাথমিক তদন্তে নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত টীম। সেই সাথে ঠিকাদার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম খালেক ও সাবেক যুবদলের আহবায়ক মুনায়েম হোসেন মোলাক এর  কাজ স্থগিত ও বিল প্রদানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন। এদিকে ভবনটি ভেঙ্গে পুনরায় নির্মাণ করতে হবে দাবী করেছেন এলাকাবাসি। গত শনিবার বিকেলে বিদ্যালয়ের নব নির্মিত ভবনের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির তৃত্বীয় ফ্লাইট ও ল্যান্ডিং ধ্বসে পড়ে। গাংনী উপজেলা এলজিইডি অফিস সুত্রে জানা গেছে, গাংনীতে পিইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় তিনটি গ্র”পে ছয় কোটি টাকা ব্যায়ে ৬টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ পায় কুষ্টিয়ার তামান্না ট্রেড ইন্টার ন্যাশনাল। ওই কাজ কিনে নেন মেহেরপুর জেলা আওয়ায়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক ও বিএনপি নেতা মোনায়েম মোলাক । বিদ্যালয় গুলো হচ্ছে- করমদি মাঠপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেঁতুলবাড়িয়া  সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাড়াডোব পোড়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাড়াডোব হঠাৎপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হোগলবাড়িয়া মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নবীণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভবনগুলো নির্মাণের প্রথম থেকেই নি¤œ মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ উত্থাপিত হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোন কর্ণপাত করেননি। বরং এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বাধা দিলে রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করেছেন। লাঞ্ছিত হবার ভয়ে অনেকেই মুখ খোলেন নি। নীরবে চাকরী করছেন। আবার অনেকেই এই ঠিকাদারদের কারণে ইচ্ছামত বদলী নিয়ে চলে গেছেন। গত শনিবার বিকেলে নবীণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নব নির্মিত ভবনের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির তৃত্বীয় ফ্লাইট ও ল্যান্ডিং ধ্বসে পড়ে। সিঁড়ি ঢালাইয়ের ১০ দিনের মাথায় সেটি ধ্বসে পড়লে বেরিয়ে আসে নি¤œমানের কাজের বিবরণ। সংবাদ পেয়ে গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুল হক ঘটনাস্থলে যান ও বিষয়টি এলজিইডি সদরকে অবহিত করেন। গঠিত হয় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টীম। টীমের সদস্যরা হচ্ছেন- এলজিইডি সদর দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ডিজাইন) আলী নুর, পিইডিপি-৩ প্রকল্পের প্রকৌশলী জে এম আজাদ, সিনিয়র প্রকৌশলী(কিউসি) ইনামুল হক খান, যশোর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শফিউল আলম ও মেহেরপুর নির্বাহী প্রকৌশলী আজিমুদ্দীন সরকার। সোমবার বিকেলে এ তদন্ত টীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তদন্ত টীম স্থানীয়দের বক্তব্য শোনেন ও ভবনের বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আলঅমত সংগ্রহ করেন। টীমের সদস্যরা ভবনে ব্যবহৃত সিমেন্ট রড, বালি ও কংক্রিট পরীক্ষা করেন। প্রাথমিক তদন্তে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তারা। বিশেষ করে সিমেন্ট কম ব্যবহার করা হয়েছে ও ব্যবহার করা হয়েছে নি¤œমানের বালি। মেহেরপুর নির্বাহী প্রকৌশলী আজিমুদ্দীন জানান, ভবনের নির্মাণ কাজে ২.০ এফ এম বালি ব্যবহার করার কথা থাকলে সেটি পাওয়া যাচ্ছে না। সিম-২ সিমেন্ট ব্যবহার করা হলেও পরিমান দেয়া হয়েছে কম। তাছাড়াও নির্মাণ কৌশল ভুলের কারণে ভবন ধ্বসের ঘটনাটি ঘটেছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের যে ৬টি বিদ্যালয় ভবনের কাজ চলছে তা বন্ধ করাসহ সকল বিল ছাড় না দেয়ার জন্য এলজিইডি সদর দপ্তর, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। দেয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর নোটিশ। গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুল হক জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কোন কথা বললে তারা শোনেনা। নানা হয়রানী হতে হয়। অনেকেই এখানে চাকরী করতে চান না। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে দেখা যাক কি হয়।ঠিকাদার ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক জানান, মোলাক ও আমার কাজ আলাদা ওই কাজটি মোলাকের। ঠিকাদার মোলাক জানান, সব কাজিই এম এ খালেকের। তবে আমাদের কোন দোষ নেই মিস্ত্রিদের দোষে এটা হয়েছে। তদন্ত টীমের প্রধান এলজিইডি সদর দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ডিজাইন) আলী নুর জানান, ভবনটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে নিমাণ করা হচ্ছে। ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য বলা হচ্ছে। ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হলো তা পরীক্ষা করে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি জানান, বেইজ ঢালাই থেকে শুর” করে অনেক কিছুই নি¤œমানের । এক্ষেত্রে উপজেলা প্রকৌশলী ও উপ- সহকারী প্রকৌশলীও দ্বায় এড়াতে পারেন না। এদিকে ঢাকা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা অফিসার (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) শাহীন মিয়া তদন্তে আসলে স্থানীয় লোকজন তদন্ত টীমের কাছে ঠিকাদার এম এ খালেক- মোলাক ভবন নির্মাণকালে কি কি করেছেন তার বর্ণনা দেন। নবীণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাবের আলী জানান, বেইজ ঢালাই থেকে শুর” করে সব কিছুতেই ব্যবহার করা হয়েছে নি¤œমানের সামগ্রী। বিষয়টি বলা হলে ঠিকাদার এম এ খালেক- মোলাক রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহারের হুমকি দেন। তার পর থেকে আর ভয়ে কিছুই বলা হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর”ন্নাহার সেলিনা জানান, ঢালাইয়ের কাজে ইটের খোয়ার সাথে ইটভাটার রাবিস ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান জানান, এলাকাবাসি এখন তাদের ছেলে মেয়েদের ওই বিদ্যালয়ে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  ভবনটি বেশ ঝুকিপুর্ণ। যে কোন মুহুর্তে রানা প্লাজা ধ্বসের মতো ঘটনা ঘটতে পারে আশংকা তাদের। সেই সাথে ওই ভবনটি আবার নতুন করে নির্মানের দাবী জানালেন এলাকাবাসি। ঢাকা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা অফিসার (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) শাহীন মিয়া জানান, তদন্তে অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়েছে। অনেক কিছুরই নমুনা নেয়া হয়েছে। ভবন নির্মাণের প্রথম থেকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে নেয়া হয়নি। নি¤œ মানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি অভিযোগ করা হলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারগণ কোন কর্ণপাত না করেই সব কিছু করেছে। যার ফলে ভবন ধ্বসের ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে বলেও তিনি জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গাংনীর নবীনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ধ্বসের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটির পরিদর্শন কাজ ও বিল বন্ধের নির্দেশ : ভবন ভেঙে পুনরায় নির্মাণে দাবি এলাকাবাসীর

আপলোড টাইম : ০২:৩৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৭
sdr
sdr

গাংনী অফিস: গাংনী নবীণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ধ্বসের ঘটনায় ঢাকা থেকে আগত উচ্চ পর্যায়ের দুটি তদন্ত টীম মঙ্গলবার ও বুধবার সরেজমিনে পরিদর্শন ও তদন্ত করেছেন। ভবনের ভেঙ্গে যাওয়া অংশের কংক্রিট ও অন্যান্য মালামালের অংশ সংগ্রহ করেন। প্রাথমিক তদন্তে নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত টীম। সেই সাথে ঠিকাদার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম খালেক ও সাবেক যুবদলের আহবায়ক মুনায়েম হোসেন মোলাক এর  কাজ স্থগিত ও বিল প্রদানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন। এদিকে ভবনটি ভেঙ্গে পুনরায় নির্মাণ করতে হবে দাবী করেছেন এলাকাবাসি। গত শনিবার বিকেলে বিদ্যালয়ের নব নির্মিত ভবনের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির তৃত্বীয় ফ্লাইট ও ল্যান্ডিং ধ্বসে পড়ে। গাংনী উপজেলা এলজিইডি অফিস সুত্রে জানা গেছে, গাংনীতে পিইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় তিনটি গ্র”পে ছয় কোটি টাকা ব্যায়ে ৬টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ পায় কুষ্টিয়ার তামান্না ট্রেড ইন্টার ন্যাশনাল। ওই কাজ কিনে নেন মেহেরপুর জেলা আওয়ায়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক ও বিএনপি নেতা মোনায়েম মোলাক । বিদ্যালয় গুলো হচ্ছে- করমদি মাঠপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেঁতুলবাড়িয়া  সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাড়াডোব পোড়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাড়াডোব হঠাৎপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হোগলবাড়িয়া মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নবীণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভবনগুলো নির্মাণের প্রথম থেকেই নি¤œ মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ উত্থাপিত হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোন কর্ণপাত করেননি। বরং এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বাধা দিলে রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করেছেন। লাঞ্ছিত হবার ভয়ে অনেকেই মুখ খোলেন নি। নীরবে চাকরী করছেন। আবার অনেকেই এই ঠিকাদারদের কারণে ইচ্ছামত বদলী নিয়ে চলে গেছেন। গত শনিবার বিকেলে নবীণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নব নির্মিত ভবনের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির তৃত্বীয় ফ্লাইট ও ল্যান্ডিং ধ্বসে পড়ে। সিঁড়ি ঢালাইয়ের ১০ দিনের মাথায় সেটি ধ্বসে পড়লে বেরিয়ে আসে নি¤œমানের কাজের বিবরণ। সংবাদ পেয়ে গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুল হক ঘটনাস্থলে যান ও বিষয়টি এলজিইডি সদরকে অবহিত করেন। গঠিত হয় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টীম। টীমের সদস্যরা হচ্ছেন- এলজিইডি সদর দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ডিজাইন) আলী নুর, পিইডিপি-৩ প্রকল্পের প্রকৌশলী জে এম আজাদ, সিনিয়র প্রকৌশলী(কিউসি) ইনামুল হক খান, যশোর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শফিউল আলম ও মেহেরপুর নির্বাহী প্রকৌশলী আজিমুদ্দীন সরকার। সোমবার বিকেলে এ তদন্ত টীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তদন্ত টীম স্থানীয়দের বক্তব্য শোনেন ও ভবনের বিভিন্ন অংশ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আলঅমত সংগ্রহ করেন। টীমের সদস্যরা ভবনে ব্যবহৃত সিমেন্ট রড, বালি ও কংক্রিট পরীক্ষা করেন। প্রাথমিক তদন্তে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তারা। বিশেষ করে সিমেন্ট কম ব্যবহার করা হয়েছে ও ব্যবহার করা হয়েছে নি¤œমানের বালি। মেহেরপুর নির্বাহী প্রকৌশলী আজিমুদ্দীন জানান, ভবনের নির্মাণ কাজে ২.০ এফ এম বালি ব্যবহার করার কথা থাকলে সেটি পাওয়া যাচ্ছে না। সিম-২ সিমেন্ট ব্যবহার করা হলেও পরিমান দেয়া হয়েছে কম। তাছাড়াও নির্মাণ কৌশল ভুলের কারণে ভবন ধ্বসের ঘটনাটি ঘটেছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের যে ৬টি বিদ্যালয় ভবনের কাজ চলছে তা বন্ধ করাসহ সকল বিল ছাড় না দেয়ার জন্য এলজিইডি সদর দপ্তর, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। দেয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর নোটিশ। গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুল হক জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কোন কথা বললে তারা শোনেনা। নানা হয়রানী হতে হয়। অনেকেই এখানে চাকরী করতে চান না। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে দেখা যাক কি হয়।ঠিকাদার ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক জানান, মোলাক ও আমার কাজ আলাদা ওই কাজটি মোলাকের। ঠিকাদার মোলাক জানান, সব কাজিই এম এ খালেকের। তবে আমাদের কোন দোষ নেই মিস্ত্রিদের দোষে এটা হয়েছে। তদন্ত টীমের প্রধান এলজিইডি সদর দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ডিজাইন) আলী নুর জানান, ভবনটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে নিমাণ করা হচ্ছে। ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য বলা হচ্ছে। ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হলো তা পরীক্ষা করে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি জানান, বেইজ ঢালাই থেকে শুর” করে অনেক কিছুই নি¤œমানের । এক্ষেত্রে উপজেলা প্রকৌশলী ও উপ- সহকারী প্রকৌশলীও দ্বায় এড়াতে পারেন না। এদিকে ঢাকা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা অফিসার (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) শাহীন মিয়া তদন্তে আসলে স্থানীয় লোকজন তদন্ত টীমের কাছে ঠিকাদার এম এ খালেক- মোলাক ভবন নির্মাণকালে কি কি করেছেন তার বর্ণনা দেন। নবীণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাবের আলী জানান, বেইজ ঢালাই থেকে শুর” করে সব কিছুতেই ব্যবহার করা হয়েছে নি¤œমানের সামগ্রী। বিষয়টি বলা হলে ঠিকাদার এম এ খালেক- মোলাক রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহারের হুমকি দেন। তার পর থেকে আর ভয়ে কিছুই বলা হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর”ন্নাহার সেলিনা জানান, ঢালাইয়ের কাজে ইটের খোয়ার সাথে ইটভাটার রাবিস ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমান জানান, এলাকাবাসি এখন তাদের ছেলে মেয়েদের ওই বিদ্যালয়ে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  ভবনটি বেশ ঝুকিপুর্ণ। যে কোন মুহুর্তে রানা প্লাজা ধ্বসের মতো ঘটনা ঘটতে পারে আশংকা তাদের। সেই সাথে ওই ভবনটি আবার নতুন করে নির্মানের দাবী জানালেন এলাকাবাসি। ঢাকা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা অফিসার (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) শাহীন মিয়া জানান, তদন্তে অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়েছে। অনেক কিছুরই নমুনা নেয়া হয়েছে। ভবন নির্মাণের প্রথম থেকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে নেয়া হয়নি। নি¤œ মানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি অভিযোগ করা হলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারগণ কোন কর্ণপাত না করেই সব কিছু করেছে। যার ফলে ভবন ধ্বসের ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে বলেও তিনি জানান।