ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গাংনীর থানার সাবেক ওসি হরেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে মামলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১২২ বার পড়া হয়েছে

গাংনী অফিস:
মেহেরপুরের গাংনী থানার সেই আলোচিত-সমালোচিত ওসি হরেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে এবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে। শুধু সাবেক ওসি হরেন্দ্রনাথ নয়, আরও একটি মামলায় তাঁর স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে অবৈধ আয় করার জন্য।
জানা গেছে, মেহেরপুরের গাংনী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার ও তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা রানী অধিকারীর বিরুদ্ধে তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এনে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়া দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। একটি মামলার আসামি হলেন- গাংনী থানার সাবেক ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার (৫৩) ও আরেকটি মামলার আসামি হলেন ওসির স্ত্রী কৃষ্ণা রানী অধিকারী। তাঁদের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি বাশীরামপুর গ্রামে। হরেন্দ্রনাথ সরকার বর্তমানে রাঙামাটি পিএসটিএসের পরিদর্শক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার অবৈধভাবে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৮৪ টাকা আয় করেছেন। এই টাকার কোনো ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি। একইভাবে তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা রানী অধিকারী ৩২ লাখ ৮০ হাজার ৭০৪ টাকার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং ২০১২ সালের ৪(২) ও ৪(৩) এর মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলা দুটি রুজু হয়।
মামলার বাদী কুষ্টিয়া দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন বলেন, আইন মোতাবেক আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে গাংনী থানার সাবেক ওসি হরেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার খবর ছড়িয়ে পরলে অনেকে আনন্দে একে অপরকে মিষ্টিমুখ করিয়েছে। তবে সাংবাদিকদের সামনে নাম প্রকাশ করতে চাননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানিয়েছেন, সাবেক এ ওসি গাংনী থানায় কর্মরত অবস্থায় বিভিন্ন মানুষ ধরে এনে অর্থ বাণিজ্য করেছেন। প্রায় রাতেই মানুষ ধরে এনে সকালে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে মুক্তি মিলত। শুধু বিরোধী দল নয়, আওয়ামী লীগের লোকজনকেও আটক করে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হতো। এমন নানা ঘুষ ও অনিয়মের অভিযোগের ফলে বর্তমান খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খন্দকার মুহিত মহোদয়ের নির্দেশে গত ১৬-০৬-২০১৯ সালে গাংনী থানা থেকে তাঁকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গাংনীর থানার সাবেক ওসি হরেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে মামলা

আপলোড টাইম : ০৯:৩৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১

গাংনী অফিস:
মেহেরপুরের গাংনী থানার সেই আলোচিত-সমালোচিত ওসি হরেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে এবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে। শুধু সাবেক ওসি হরেন্দ্রনাথ নয়, আরও একটি মামলায় তাঁর স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে অবৈধ আয় করার জন্য।
জানা গেছে, মেহেরপুরের গাংনী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার ও তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা রানী অধিকারীর বিরুদ্ধে তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এনে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়া দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। একটি মামলার আসামি হলেন- গাংনী থানার সাবেক ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার (৫৩) ও আরেকটি মামলার আসামি হলেন ওসির স্ত্রী কৃষ্ণা রানী অধিকারী। তাঁদের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি বাশীরামপুর গ্রামে। হরেন্দ্রনাথ সরকার বর্তমানে রাঙামাটি পিএসটিএসের পরিদর্শক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার অবৈধভাবে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৮৪ টাকা আয় করেছেন। এই টাকার কোনো ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি। একইভাবে তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা রানী অধিকারী ৩২ লাখ ৮০ হাজার ৭০৪ টাকার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং ২০১২ সালের ৪(২) ও ৪(৩) এর মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলা দুটি রুজু হয়।
মামলার বাদী কুষ্টিয়া দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন বলেন, আইন মোতাবেক আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে গাংনী থানার সাবেক ওসি হরেন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার খবর ছড়িয়ে পরলে অনেকে আনন্দে একে অপরকে মিষ্টিমুখ করিয়েছে। তবে সাংবাদিকদের সামনে নাম প্রকাশ করতে চাননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানিয়েছেন, সাবেক এ ওসি গাংনী থানায় কর্মরত অবস্থায় বিভিন্ন মানুষ ধরে এনে অর্থ বাণিজ্য করেছেন। প্রায় রাতেই মানুষ ধরে এনে সকালে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে মুক্তি মিলত। শুধু বিরোধী দল নয়, আওয়ামী লীগের লোকজনকেও আটক করে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হতো। এমন নানা ঘুষ ও অনিয়মের অভিযোগের ফলে বর্তমান খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খন্দকার মুহিত মহোদয়ের নির্দেশে গত ১৬-০৬-২০১৯ সালে গাংনী থানা থেকে তাঁকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।