ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গাংনীর জোরপুকুরিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী চম্পাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ গ্রেফতার এড়াতে দেবর রায়হান পলাতক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০১৭
  • / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে

গাংনী অফিস: গাংনী উপজেলার জোরপুকুরিয়া গ্রামে চম্পা খাতুন (৩০) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী নিজ দেবরের হাতে হত্যার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার ছেলে। তবে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রচার করে দ্রুত মাটি দেওয়ার চেষ্টা করে অবশেষে ব্যর্থ হয়ে দেবর দুবাই প্রবাসী রায়হান গ্রেফতার এড়াতে পলাতক রয়েছে। চম্পা খাতুন জোরপুকুরিয়া গ্রামের দালাল পাড়ার মালেশিয়া প্রবাসী শাহিনের স্ত্রী। গতকাল বুধবার ভোর বেলায় প্রবাসীর স্ত্রী চম্পা খাতুন মারা গেছে বলে প্রচার করে দেবর রায়হান। এবং প্রতিবেশীদের বিষয়টি বুজিয়ে দ্রুত লাশ মাটি দেওয়ার কথা জানান। একপর্যায়ে মেয়ের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলে লাশের গলাই আঘাতে চিহ্ন দেখে সন্দেহ দানা বাধে। তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গা ঢাকা দেয় দেবর রায়হান। ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন, মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ মাহমুদ ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনোয়ার হোসেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পর তার পরিবারের হাতে লাশ তুলেদেন।
গৃহবধুর ছেলে চঞ্চল হোসেন বলেন, আমার বাবা ১০ বছর ধরে মালেশিয়া রয়েছে চাচা প্রবাসী রায়হান হোসেন দুবাই থাকেন কয়েকদিন আগে ছুটিতে বাড়ি ফেরেন। এরপর থেকে প্রায় আমার মায়ের সাথে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। এরই জের ধরে আমার মাকে হত্যা করতে পারে।
তেরাইল গ্রামের ইউপি সদস্য মিলন হোসেন জানান, সকালে স্বাভাবিক মৃৃত্যুর খবর শুনে আসি। কিন্তু তার গলাই আঘাতের  চিহ্ন দেখতে পাওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশে খবর দেওয়ার কথা শুনে পালিয়ে যায় দেবর রায়হান।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, গৃহবধুর পরিবারের সন্দেহ হয়েছে। তাই আমাদের খবর দিয়েছে লাশ দেখে এবং তার গলাই আঘাতে চিহ্ন দেখে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তাকে স্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্ত রির্পোট ও আমাদের তদন্ত করা হলে বিষয়টি জানা যাবে। তাছাড়াও তার দেবর রায়হান পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করা গেলেও বিষয়টি পরিস্কার হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গাংনীর জোরপুকুরিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী চম্পাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ গ্রেফতার এড়াতে দেবর রায়হান পলাতক

আপলোড টাইম : ০৫:০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০১৭

গাংনী অফিস: গাংনী উপজেলার জোরপুকুরিয়া গ্রামে চম্পা খাতুন (৩০) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী নিজ দেবরের হাতে হত্যার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার ছেলে। তবে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রচার করে দ্রুত মাটি দেওয়ার চেষ্টা করে অবশেষে ব্যর্থ হয়ে দেবর দুবাই প্রবাসী রায়হান গ্রেফতার এড়াতে পলাতক রয়েছে। চম্পা খাতুন জোরপুকুরিয়া গ্রামের দালাল পাড়ার মালেশিয়া প্রবাসী শাহিনের স্ত্রী। গতকাল বুধবার ভোর বেলায় প্রবাসীর স্ত্রী চম্পা খাতুন মারা গেছে বলে প্রচার করে দেবর রায়হান। এবং প্রতিবেশীদের বিষয়টি বুজিয়ে দ্রুত লাশ মাটি দেওয়ার কথা জানান। একপর্যায়ে মেয়ের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলে লাশের গলাই আঘাতে চিহ্ন দেখে সন্দেহ দানা বাধে। তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গা ঢাকা দেয় দেবর রায়হান। ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন, মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ মাহমুদ ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনোয়ার হোসেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পর তার পরিবারের হাতে লাশ তুলেদেন।
গৃহবধুর ছেলে চঞ্চল হোসেন বলেন, আমার বাবা ১০ বছর ধরে মালেশিয়া রয়েছে চাচা প্রবাসী রায়হান হোসেন দুবাই থাকেন কয়েকদিন আগে ছুটিতে বাড়ি ফেরেন। এরপর থেকে প্রায় আমার মায়ের সাথে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। এরই জের ধরে আমার মাকে হত্যা করতে পারে।
তেরাইল গ্রামের ইউপি সদস্য মিলন হোসেন জানান, সকালে স্বাভাবিক মৃৃত্যুর খবর শুনে আসি। কিন্তু তার গলাই আঘাতের  চিহ্ন দেখতে পাওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশে খবর দেওয়ার কথা শুনে পালিয়ে যায় দেবর রায়হান।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, গৃহবধুর পরিবারের সন্দেহ হয়েছে। তাই আমাদের খবর দিয়েছে লাশ দেখে এবং তার গলাই আঘাতে চিহ্ন দেখে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তাকে স্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্ত রির্পোট ও আমাদের তদন্ত করা হলে বিষয়টি জানা যাবে। তাছাড়াও তার দেবর রায়হান পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করা গেলেও বিষয়টি পরিস্কার হবে।