ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ২৮১ বার পড়া হয়েছে

Gangni Pic-3, 27-09-16গাংনী অফিস: গাংনীর মটমুড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা তৈয়ব আলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সমাজ সেবা অফিসারের কার্যালয়ে এ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামের ৩জন মুক্তিযোদ্ধাসহ ২৫জন ওই মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র ভূয়া বলে দাবী করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করেন। অভিযোগ সুত্রে প্রকাশ, গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ইং তারিথে মুক্তিযোদ্ধা তৈয়ব আলীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে মটমুড়া গ্রামের ৩জন মুক্তিযোদ্ধাসহ ২৫জন একটি আবেদন করেন। আবেদনে ওই মুক্তিযোদ্ধার সনদ ভুয়া বলে দাবী করা হয়। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ৩ মে ২০১৬ ইং তারিখে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ উজ্জামান বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার তৌফিকুর রহমানকে দায়িত্ব দিলে তিনি শুনানী শুরু করেন। শুনানীকালে মুক্তিযোদ্ধা তৈয়ব আলী তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেন। তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার তৌফিকুর রহমান জানান, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও স্বাক্ষিদের স্বাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। যাচাই বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা তৈয়ব আলী বলেছেন, সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে আমাদের সাথে ফজলুর রহমানের সাথে বিরোধ থাকায় তিনি আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। ফজলুর রহমান ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা তার পক্ষে আছে বলেছে অথচ সেখানে ১০জন হাজির হয়নি। এদিকে আমার পক্ষে প্রায় ৩০-৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা আমার পক্ষে হাজির হয়ে স্বাক্ষী দেয়। আমার কাগজপত্র শত ভাগ ঠিক রয়েছে এবং আমার কাগজে কোন প্রকার জাল প্রমান করতে পারলে আমি নিজেই সরে দারাবো। দেশের সাথে জালিয়াতি করে কোন কাজ আমি করব না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা তাই দেশের সম্মান রক্ষায় আইনের সকল নিয়ম মাথা পেতে নেব। এছাড়া তিনি জানান আমার মুক্তিযোদ্ধা সনদ যখন দেয় তখন সকল প্রকার তদন্ত সাপেক্ষে দিয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গাংনীতে মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানী

আপলোড টাইম : ০১:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

Gangni Pic-3, 27-09-16গাংনী অফিস: গাংনীর মটমুড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা তৈয়ব আলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সমাজ সেবা অফিসারের কার্যালয়ে এ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামের ৩জন মুক্তিযোদ্ধাসহ ২৫জন ওই মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র ভূয়া বলে দাবী করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করেন। অভিযোগ সুত্রে প্রকাশ, গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ইং তারিথে মুক্তিযোদ্ধা তৈয়ব আলীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে মটমুড়া গ্রামের ৩জন মুক্তিযোদ্ধাসহ ২৫জন একটি আবেদন করেন। আবেদনে ওই মুক্তিযোদ্ধার সনদ ভুয়া বলে দাবী করা হয়। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ৩ মে ২০১৬ ইং তারিখে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ উজ্জামান বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার তৌফিকুর রহমানকে দায়িত্ব দিলে তিনি শুনানী শুরু করেন। শুনানীকালে মুক্তিযোদ্ধা তৈয়ব আলী তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেন। তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার তৌফিকুর রহমান জানান, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও স্বাক্ষিদের স্বাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। যাচাই বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা তৈয়ব আলী বলেছেন, সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে আমাদের সাথে ফজলুর রহমানের সাথে বিরোধ থাকায় তিনি আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। ফজলুর রহমান ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা তার পক্ষে আছে বলেছে অথচ সেখানে ১০জন হাজির হয়নি। এদিকে আমার পক্ষে প্রায় ৩০-৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা আমার পক্ষে হাজির হয়ে স্বাক্ষী দেয়। আমার কাগজপত্র শত ভাগ ঠিক রয়েছে এবং আমার কাগজে কোন প্রকার জাল প্রমান করতে পারলে আমি নিজেই সরে দারাবো। দেশের সাথে জালিয়াতি করে কোন কাজ আমি করব না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা তাই দেশের সম্মান রক্ষায় আইনের সকল নিয়ম মাথা পেতে নেব। এছাড়া তিনি জানান আমার মুক্তিযোদ্ধা সনদ যখন দেয় তখন সকল প্রকার তদন্ত সাপেক্ষে দিয়েছে।