ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে দিনব্যাপি পিঠা উৎসবের আয়োজন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৫৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৪৮৩ বার পড়া হয়েছে

pitha pic-2গাংনী অফিস: তরুন প্রজন্মের কাছে নতুন করে আবারো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পিঠা-পুলির পরিচিতি ঘটানোর লক্ষ্যে মেহেরপুরের গাংনীতে আয়োজন করা হল দিন ব্যাপি পিঠা উৎসবের। এক সময় শীত মৌসুমে গ্রাম কিংবা শহরের বিভিন্ন এলাকায়  পিঠাপুলি তৈরি ও অতিথিদের খাওয়ানো হতো। জীবন মানের পরিবর্তনের সাথে সাথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এই পিঠা হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই নতুন করে আবারো তরুণ প্রজন্মের কাছে পরিচিতি করতে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের। দুধ, ঝিনুক, শামুক, পাটি সাপটা, ধুপফলি, কুলা, ময়তাপুলি ও চিতই পিঠাসহ নানা ধরনের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছিলের বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন ও বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুজামান লালুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনোয়ার হোসেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার, উপজেলা শিক্ষক সমিরি সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম তারা প্রমূখ। পিঠা উৎসব পরিচিতি সর্ম্পকে বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ইরানী জানান উৎসবে ১৪টি স্টলে পাটি সাপটা, ধুপাফলি, কুলা, ময়তাপুলি ও চিতই পিঠাসহ ২৬ ধরনের বিভিন্ন পিঠাপুলি পসরা সাজানো হয়েছে। ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী বর্ষা তার অনুভতি জানাতে গিয়ে বলেন, আমরা নিজেরা পিঠা বানিয়ে খাচ্ছি এবং বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন অতিথিকে খাওয়ানো হচ্ছে। আমাদের খুব ভালো লাগছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি বিদ্যালয় গুলোর এ ধরনের আয়োজন করা উচিত। এতে একদিকে যেমন বিভিন্ন ধরনের পিঠার সাথে তাদের পরিচয় ঘটবে অন্যদিকে বাংলার ঐতিহ্য সর্ম্পকে তারা জানবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গাংনীতে দিনব্যাপি পিঠা উৎসবের আয়োজন

আপলোড টাইম : ০১:৫৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৭

pitha pic-2গাংনী অফিস: তরুন প্রজন্মের কাছে নতুন করে আবারো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পিঠা-পুলির পরিচিতি ঘটানোর লক্ষ্যে মেহেরপুরের গাংনীতে আয়োজন করা হল দিন ব্যাপি পিঠা উৎসবের। এক সময় শীত মৌসুমে গ্রাম কিংবা শহরের বিভিন্ন এলাকায়  পিঠাপুলি তৈরি ও অতিথিদের খাওয়ানো হতো। জীবন মানের পরিবর্তনের সাথে সাথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এই পিঠা হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই নতুন করে আবারো তরুণ প্রজন্মের কাছে পরিচিতি করতে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের। দুধ, ঝিনুক, শামুক, পাটি সাপটা, ধুপফলি, কুলা, ময়তাপুলি ও চিতই পিঠাসহ নানা ধরনের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছিলের বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন ও বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুজামান লালুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনোয়ার হোসেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার, উপজেলা শিক্ষক সমিরি সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম তারা প্রমূখ। পিঠা উৎসব পরিচিতি সর্ম্পকে বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ইরানী জানান উৎসবে ১৪টি স্টলে পাটি সাপটা, ধুপাফলি, কুলা, ময়তাপুলি ও চিতই পিঠাসহ ২৬ ধরনের বিভিন্ন পিঠাপুলি পসরা সাজানো হয়েছে। ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী বর্ষা তার অনুভতি জানাতে গিয়ে বলেন, আমরা নিজেরা পিঠা বানিয়ে খাচ্ছি এবং বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন অতিথিকে খাওয়ানো হচ্ছে। আমাদের খুব ভালো লাগছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি বিদ্যালয় গুলোর এ ধরনের আয়োজন করা উচিত। এতে একদিকে যেমন বিভিন্ন ধরনের পিঠার সাথে তাদের পরিচয় ঘটবে অন্যদিকে বাংলার ঐতিহ্য সর্ম্পকে তারা জানবে।