ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গাংনীতে আ. লীগ নেতাদের তোপের মুখে সাবেক মেয়র আহমেদ আলী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৯:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ৩৭২ বার পড়া হয়েছে

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভায় আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে কটূক্তি

ডেস্ক রিপোর্ট: মেহেরপুরের গাংনীতে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভায় আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে কটূক্তি করায় দলীয় নেতাদের তোপের মুখে পড়লেন সাবেক পৌর মেয়র ও দলের নেতা আহমেদ আলী। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে গাংনী উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সাবেক মেয়র আহমেদ আলীকে গালাগাল করে মারতে তেড়ে যান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, প্রস্তুতি সভায় গাংনী উপজেলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কমিটি ও উপকমিটিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করার সময় ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে বিতর্ক আছে এ জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানান আহমেদ আলী। এরপরই তুমুল হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর সাময়িকভাবে সভা বন্ধ ছিল। পরে সংসদ সদস্য মো. মকবুল হোসেন, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষ্ণুপদ পাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেনের হস্তক্ষেপে আবার সভা শুরু হয়। গাংনীর ইউএনও বিষ্ণুপদ পাল বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কমিটি গঠন নিয়ে উপজেলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নাম বিভিন্ন কমিটিতে রাখা নিয়ে মতবিরোধের কারণে সাময়িকভাবে একটু সমস্যা হয়েছিল। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন, ‘সাবেক মেয়র কমিটি গঠন নিয়ে বাজে মন্তব্য করার কারণে স্থানীয় নেতারা তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় আমি সভাকক্ষে মাইক নিয়ে সবাইকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি।’
সভায় গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম আওয়ামী লীগ করেন না- এমন দাবি করে যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, তাঁর নাম (আশরাফুল ইসলাম) কোনো কমিটিতে রাখা যাবে না। এ সময় এ কথার প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও পৌরসভার ১ নম্বর প্যানেল মেয়র নবীর উদ্দীন বলেন, গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও পৌর যুবলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক। তাই তাঁকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সভায় গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুনতাজ আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলু, সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশ, জেলা পরিষদের সদস্য মজিরুল ইসলাম, ফুলকুড়ি অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাবুদ, ছাত্রলীগ সভাপতি তৌহিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেনসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। (তথ্য সূত্র: এনটিভি অনলাইন)

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গাংনীতে আ. লীগ নেতাদের তোপের মুখে সাবেক মেয়র আহমেদ আলী

আপলোড টাইম : ১০:৪৯:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভায় আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে কটূক্তি

ডেস্ক রিপোর্ট: মেহেরপুরের গাংনীতে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভায় আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে কটূক্তি করায় দলীয় নেতাদের তোপের মুখে পড়লেন সাবেক পৌর মেয়র ও দলের নেতা আহমেদ আলী। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে গাংনী উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সাবেক মেয়র আহমেদ আলীকে গালাগাল করে মারতে তেড়ে যান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, প্রস্তুতি সভায় গাংনী উপজেলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কমিটি ও উপকমিটিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করার সময় ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে বিতর্ক আছে এ জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানান আহমেদ আলী। এরপরই তুমুল হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর সাময়িকভাবে সভা বন্ধ ছিল। পরে সংসদ সদস্য মো. মকবুল হোসেন, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষ্ণুপদ পাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেনের হস্তক্ষেপে আবার সভা শুরু হয়। গাংনীর ইউএনও বিষ্ণুপদ পাল বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কমিটি গঠন নিয়ে উপজেলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নাম বিভিন্ন কমিটিতে রাখা নিয়ে মতবিরোধের কারণে সাময়িকভাবে একটু সমস্যা হয়েছিল। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন, ‘সাবেক মেয়র কমিটি গঠন নিয়ে বাজে মন্তব্য করার কারণে স্থানীয় নেতারা তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় আমি সভাকক্ষে মাইক নিয়ে সবাইকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি।’
সভায় গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম আওয়ামী লীগ করেন না- এমন দাবি করে যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, তাঁর নাম (আশরাফুল ইসলাম) কোনো কমিটিতে রাখা যাবে না। এ সময় এ কথার প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও পৌরসভার ১ নম্বর প্যানেল মেয়র নবীর উদ্দীন বলেন, গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও পৌর যুবলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক। তাই তাঁকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সভায় গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুনতাজ আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলু, সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশ, জেলা পরিষদের সদস্য মজিরুল ইসলাম, ফুলকুড়ি অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাবুদ, ছাত্রলীগ সভাপতি তৌহিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেনসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। (তথ্য সূত্র: এনটিভি অনলাইন)