ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গরুর দঁড়ি কেটে দেয়ার প্রতিবাদ করায় একই পরিবারের ৩ জনকে কুপিয়ে জখম :

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৯:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুন ২০১৮
  • / ৩০৯ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর কয়া গ্রামের মাদক সম্রাট রুজুর কান্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক/ জীবননগর অফিস: জীবননগর থানার একাধিক মাদক মামলার আসামী রুজুর মাতাল অবস্থায় একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।  স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের মৃত তক্কেল মন্ডলের ছেলে রায়হান (৬০) বাড়ির পাশে বট গাছে গরু বেধে রাখে। এ সময় কয়া গ্রামের আনারের ছেলে জীবননগর থানার একাধিক মাদক মামলার আসামী রুজ ও তার কাছে থাকা দেশীয় হাসুয়া দিয়ে গরুর দঁড়ি কেটে দেয়। রায়হান প্রতিবাদ করলে তাকে মাথায় হাসুয়া দিয়ে কোপ মেরে আহত করে। রায়হান চিৎকার করলে তার ভাই করিম (৪০) ও রহিম (৩৫) বাড়ি থেকে ছুটে আসে এবং রুজুসহ তার সাথে মিলে হাসুয়া দিয়ে তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং হাসুয়া দিয়ে তাদের মাথায় কোপ মেরে রুজুসহ তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় জনগন তাদেরকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদিকে, তাদের তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আহত রায়হান অভিযোগ করে বলেন, রুজুর সাথে আমাদের কোন দন্দ্ব নেই। তাছাড়া সে একজন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হওয়ায় তার সাথে কেউ কোন কথা বলতে চাইনা। সে হঠাৎ আমার গরু বাধা থাকা অবস্থায় দঁড়ি কেটে দেয়। কেন গরুর দঁড়ি কাটলো এই কথা বলতেই সে মাতাল অবস্থায় তার হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে আমার মাথায় কোপ মারে। আমার ভাইরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে রুজুর সাথে থাকা তার ভাই তুহিন, তোপার ছেলে মিনা, সনে জীবননগর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ফকির মোহাম্মদের ছেলে মিলনসহ বেশ কয়েকজন আমার ভাইদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং তাদের উপর হামলা করে। এ সময় আমরা প্রান বাঁচাতে চিৎকার করলে স্থানীয় জনগন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। শুধু মেরেই ক্ষান্ত নয় সে আমাদের বাড়িতে যেয়ে হুমকি দিচ্ছে যদি আমরা থানায় কোন অভিযোগ করি তাহলে আমার পরিবারের সকলকে জবাই করবে। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হেলেনা আক্তার নিপা জানান, বুধবার দুপুরে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় কয়া গ্রামের তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়। তিনজনের মধ্যে দুই জনের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। সে জন্য তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুর রহমান জানান, উপজেলার কয়া গ্রামে পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেছে এমন কোন তথ্য আমি জানিনা। এমনকি এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি অভিযোগ পেলে আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, রুজুর নামে জীবননগর থানাসহ পাশ্ববর্তী থানায় একাধিক মাক মামলা আছে। ভারতীয় তার কেটে বিশেষ কৌশলে বাংলাদেশে গরু আনায় সে সীমান্ত এলাকায় কালা মানিক নামে পরিচিত লাভ করেছে। এদিকে, মাদক সম্রাট রুজু দিনদুপরে জনসম্মুক্ষে তিনজনকে কুপিয়ে আহত করে কয়া গ্রামে তার সঙ্গীরা মিলে হাসুয়া নিয়ে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াতে দেখে এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েন বলেন, কয়া গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে এটি আমি শুনেছি। তাদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম ততক্ষন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রোগীর পরিবারের লোকজন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাালে নিয়ে যায়। এদিকে বিশেষ কৌশল খাটিয়ে নিজেকে নির্দোশ প্রমাণ করতে রুজু লোক দেখানো চিকিৎসার নামে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গরুর দঁড়ি কেটে দেয়ার প্রতিবাদ করায় একই পরিবারের ৩ জনকে কুপিয়ে জখম :

আপলোড টাইম : ১০:২৯:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুন ২০১৮

জীবননগর কয়া গ্রামের মাদক সম্রাট রুজুর কান্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক/ জীবননগর অফিস: জীবননগর থানার একাধিক মাদক মামলার আসামী রুজুর মাতাল অবস্থায় একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।  স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের মৃত তক্কেল মন্ডলের ছেলে রায়হান (৬০) বাড়ির পাশে বট গাছে গরু বেধে রাখে। এ সময় কয়া গ্রামের আনারের ছেলে জীবননগর থানার একাধিক মাদক মামলার আসামী রুজ ও তার কাছে থাকা দেশীয় হাসুয়া দিয়ে গরুর দঁড়ি কেটে দেয়। রায়হান প্রতিবাদ করলে তাকে মাথায় হাসুয়া দিয়ে কোপ মেরে আহত করে। রায়হান চিৎকার করলে তার ভাই করিম (৪০) ও রহিম (৩৫) বাড়ি থেকে ছুটে আসে এবং রুজুসহ তার সাথে মিলে হাসুয়া দিয়ে তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং হাসুয়া দিয়ে তাদের মাথায় কোপ মেরে রুজুসহ তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় জনগন তাদেরকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদিকে, তাদের তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আহত রায়হান অভিযোগ করে বলেন, রুজুর সাথে আমাদের কোন দন্দ্ব নেই। তাছাড়া সে একজন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হওয়ায় তার সাথে কেউ কোন কথা বলতে চাইনা। সে হঠাৎ আমার গরু বাধা থাকা অবস্থায় দঁড়ি কেটে দেয়। কেন গরুর দঁড়ি কাটলো এই কথা বলতেই সে মাতাল অবস্থায় তার হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে আমার মাথায় কোপ মারে। আমার ভাইরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে রুজুর সাথে থাকা তার ভাই তুহিন, তোপার ছেলে মিনা, সনে জীবননগর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ফকির মোহাম্মদের ছেলে মিলনসহ বেশ কয়েকজন আমার ভাইদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং তাদের উপর হামলা করে। এ সময় আমরা প্রান বাঁচাতে চিৎকার করলে স্থানীয় জনগন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। শুধু মেরেই ক্ষান্ত নয় সে আমাদের বাড়িতে যেয়ে হুমকি দিচ্ছে যদি আমরা থানায় কোন অভিযোগ করি তাহলে আমার পরিবারের সকলকে জবাই করবে। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হেলেনা আক্তার নিপা জানান, বুধবার দুপুরে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় কয়া গ্রামের তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়। তিনজনের মধ্যে দুই জনের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। সে জন্য তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুর রহমান জানান, উপজেলার কয়া গ্রামে পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেছে এমন কোন তথ্য আমি জানিনা। এমনকি এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি অভিযোগ পেলে আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, রুজুর নামে জীবননগর থানাসহ পাশ্ববর্তী থানায় একাধিক মাক মামলা আছে। ভারতীয় তার কেটে বিশেষ কৌশলে বাংলাদেশে গরু আনায় সে সীমান্ত এলাকায় কালা মানিক নামে পরিচিত লাভ করেছে। এদিকে, মাদক সম্রাট রুজু দিনদুপরে জনসম্মুক্ষে তিনজনকে কুপিয়ে আহত করে কয়া গ্রামে তার সঙ্গীরা মিলে হাসুয়া নিয়ে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াতে দেখে এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েন বলেন, কয়া গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে এটি আমি শুনেছি। তাদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম ততক্ষন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রোগীর পরিবারের লোকজন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাালে নিয়ে যায়। এদিকে বিশেষ কৌশল খাটিয়ে নিজেকে নির্দোশ প্রমাণ করতে রুজু লোক দেখানো চিকিৎসার নামে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।