ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গরুর চেয়ে মাকড়সার দুধ বেশি পুষ্টিকর!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১১:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৪৮০ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: গরু, ছাগল সহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীরা তাদের বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য দুধ উৎপাদনের জন্য পরিচিতি। কিন্তু এবার নতুন একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, মাকড়সাও দুধের মতো তরল উৎপাদন করতে পারে। অতীতের গবেষণায় বলা হয়েছিল, মাকড়সা শিকার ধরার মতো যথেষ্ট বড় না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই খায় না। কিন্তু চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সের বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণায় জানানো হয়েছে, টক্সিয়াস ম্যাগনুস নামক কিছু প্রজাতির জাম্পিং স্পাইডার (লাফানো মাকড়সা) এর ব্যতিক্রম। এই প্রজাতির মা মাকড়সা এবং বাচ্চাগুলো তাদের বাসা ছেড়ে চলে যায় না এবং বাচ্চাগুলো মাত্র ২০ দিনে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। নিউ সায়েন্টিস্ট ম্যাগাজিনকে এই গবেষণার অন্যতম সহ-গবেষক ঝাংজি চেন বলেন, ‘এক রাতও খাবার না খেয়ে মাকড়সার বাচ্চা কিভাবে দিনের পর দিন বাড়তে থাকে তা আমাদের জানা ছিল না। আমি শিশু মাকড়সাকে তার মায়ের পেটের ওপর সংযুক্ত থাকতে দেখেছি। আমার মূল ধারণা ছিল, সম্ভবত মা মাকড়সা নিজের উৎপাদিত কিছু দিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ায়।’ গবেষণায় গবেষকরা মা মাকড়সাগুলোকে মাইক্রোস্কোপের নিচে রাখেন এবং পেটে চাপ প্রয়োগ করেন। বিস্ময়করভাবে তারা দেখতে পান যে, দুধের মতো সাদা তরল বেরিয়ে এসেছে। এই দুধ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এতে ফ্যাট রয়েছে এবং প্রায় চারগুণ বেশি গরুর দুধের মতো প্রোটিন রয়েছে। এই দুধ ব্যবহার করা হয় কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য গবেষকরা মা মাকড়সাকে আলাদা রেখেছেন এবং দেখেছেন যে, শিশু মাকড়সা ১০ দিনের মধ্যে মারা গেছে। মাকড়সার শরীরে এই দুধ কিভাবে তৈরি হয়, তা জানার জন্য গবেষকরা আরো গবেষণার প্রত্যাশা করছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গরুর চেয়ে মাকড়সার দুধ বেশি পুষ্টিকর!

আপলোড টাইম : ১০:১১:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৮

প্রযুক্তি ডেস্ক: গরু, ছাগল সহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীরা তাদের বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য দুধ উৎপাদনের জন্য পরিচিতি। কিন্তু এবার নতুন একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, মাকড়সাও দুধের মতো তরল উৎপাদন করতে পারে। অতীতের গবেষণায় বলা হয়েছিল, মাকড়সা শিকার ধরার মতো যথেষ্ট বড় না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই খায় না। কিন্তু চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সের বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণায় জানানো হয়েছে, টক্সিয়াস ম্যাগনুস নামক কিছু প্রজাতির জাম্পিং স্পাইডার (লাফানো মাকড়সা) এর ব্যতিক্রম। এই প্রজাতির মা মাকড়সা এবং বাচ্চাগুলো তাদের বাসা ছেড়ে চলে যায় না এবং বাচ্চাগুলো মাত্র ২০ দিনে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। নিউ সায়েন্টিস্ট ম্যাগাজিনকে এই গবেষণার অন্যতম সহ-গবেষক ঝাংজি চেন বলেন, ‘এক রাতও খাবার না খেয়ে মাকড়সার বাচ্চা কিভাবে দিনের পর দিন বাড়তে থাকে তা আমাদের জানা ছিল না। আমি শিশু মাকড়সাকে তার মায়ের পেটের ওপর সংযুক্ত থাকতে দেখেছি। আমার মূল ধারণা ছিল, সম্ভবত মা মাকড়সা নিজের উৎপাদিত কিছু দিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ায়।’ গবেষণায় গবেষকরা মা মাকড়সাগুলোকে মাইক্রোস্কোপের নিচে রাখেন এবং পেটে চাপ প্রয়োগ করেন। বিস্ময়করভাবে তারা দেখতে পান যে, দুধের মতো সাদা তরল বেরিয়ে এসেছে। এই দুধ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এতে ফ্যাট রয়েছে এবং প্রায় চারগুণ বেশি গরুর দুধের মতো প্রোটিন রয়েছে। এই দুধ ব্যবহার করা হয় কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য গবেষকরা মা মাকড়সাকে আলাদা রেখেছেন এবং দেখেছেন যে, শিশু মাকড়সা ১০ দিনের মধ্যে মারা গেছে। মাকড়সার শরীরে এই দুধ কিভাবে তৈরি হয়, তা জানার জন্য গবেষকরা আরো গবেষণার প্রত্যাশা করছেন।