ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গভীর রাতে ব্রিটেনের ৫ মসজিদে হামলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৮:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০১৯
  • / ৩১৮ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক:
যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডে এক রাতে পাঁচটি মসজিদে হামলা হয়েছে। এতে কেউ হতাহত না হলেও, ভেঙে গেছে মসজিদগুলোর দরজা-জানালা। স্থানীয় সময় বুধবার গভীর রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।। খবর বিবিসি, ডেইলি মেইল। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে বলেছে, রাতে উইটনের উইটন ইসলামিক সেন্টারে হামলা চালায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এতে মসজিদের সাতটি জানালা ও দুটি দরজা ভাঙচুর করা হয়। মসজিদের ইমাম বলেছেন, রাত দেড়টা থেকে ২ টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওয়েস্ট মিডল্যান্ড পুলিশ বলছে, রাতে তারা হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তবে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। ওয়েস্ট মিডল্যান্ড কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। উইটন রোডের ব্রোডওয়ে, স্লেড রোডের কাছে একটি মসজিদে হামলা হয়েছে রাত ২টা ৩২ মিনিটের দিকে। রাত ৩টা ১৪ মিনিটের দিকে আর্ডিংটনের একটি মসজিদে হামলার খবর আসে পুলিশের কাছে। পরে পুলিশ ওই এলাকায় পৌঁছে টহল শুরু করে। এছাড়া উইটন রোডের অ্যাস্টন ও পেরি বারের ব্রোডওয়েতেও মসজিদে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। ফরেনসিক কর্মকর্তারা এসব হামলার ঘটনায় আলামত সংগ্রহ ও সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছেন। ব্রোমফর্ড অ্যান্ড হজ হিল ওয়ার্ডের লেবার দলীয় কাউন্সিলর মজিদ মাহমুদ অনলাইনে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদের ছবি পোস্ট করেছেন।
টুইটারে তিনি বলেছেন, অনাকাঙ্খিতভাবে গভীর রাতে উইটন রোড ইসলামিক সেন্টার আক্রান্ত হয়েছে। এই সেন্টারের জানালা হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্ত। তিনি বলেন, আমি গত সপ্তাহে বলেছি যে, ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার পর মুসলিমরা আতঙ্কিত। আমাদের সহায়তা দরকার। তার কথার সুর শোনা গেল উইটন ইসলামিক সেন্টারের ইমাম শারাফাত আলীর কণ্ঠে। ৬৬ বছর বয়সী এই ইমাম বলেন, এটা অত্যন্ত ভয়াবহ। মুসলিম সম্প্রদায়ের আতঙ্কের মধ্যে আছে। শারাফাত আলী বলেন, আমরা এখানে ৩০ বছর ধরে বসবাস করছি। প্রত্যেকদিন সকালে অন্তত ৪০ জন মুসল্লি এখানে নামাজ আদায় করেন। শুক্রবার এই সংখ্যা ২০০ থেকে ৩০০ ছাড়িয়ে যায়। তিনি বলেন, আজ শুক্রবার জুমআর নামাজ। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না, কেন এসব ঘটছে। আমাদের আরো নিরাপত্তা দেয়ার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

গভীর রাতে ব্রিটেনের ৫ মসজিদে হামলা

আপলোড টাইম : ০৮:২৮:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০১৯

বিশ্ব ডেস্ক:
যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডে এক রাতে পাঁচটি মসজিদে হামলা হয়েছে। এতে কেউ হতাহত না হলেও, ভেঙে গেছে মসজিদগুলোর দরজা-জানালা। স্থানীয় সময় বুধবার গভীর রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।। খবর বিবিসি, ডেইলি মেইল। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে বলেছে, রাতে উইটনের উইটন ইসলামিক সেন্টারে হামলা চালায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এতে মসজিদের সাতটি জানালা ও দুটি দরজা ভাঙচুর করা হয়। মসজিদের ইমাম বলেছেন, রাত দেড়টা থেকে ২ টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওয়েস্ট মিডল্যান্ড পুলিশ বলছে, রাতে তারা হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তবে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। ওয়েস্ট মিডল্যান্ড কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। উইটন রোডের ব্রোডওয়ে, স্লেড রোডের কাছে একটি মসজিদে হামলা হয়েছে রাত ২টা ৩২ মিনিটের দিকে। রাত ৩টা ১৪ মিনিটের দিকে আর্ডিংটনের একটি মসজিদে হামলার খবর আসে পুলিশের কাছে। পরে পুলিশ ওই এলাকায় পৌঁছে টহল শুরু করে। এছাড়া উইটন রোডের অ্যাস্টন ও পেরি বারের ব্রোডওয়েতেও মসজিদে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। ফরেনসিক কর্মকর্তারা এসব হামলার ঘটনায় আলামত সংগ্রহ ও সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছেন। ব্রোমফর্ড অ্যান্ড হজ হিল ওয়ার্ডের লেবার দলীয় কাউন্সিলর মজিদ মাহমুদ অনলাইনে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদের ছবি পোস্ট করেছেন।
টুইটারে তিনি বলেছেন, অনাকাঙ্খিতভাবে গভীর রাতে উইটন রোড ইসলামিক সেন্টার আক্রান্ত হয়েছে। এই সেন্টারের জানালা হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্ত। তিনি বলেন, আমি গত সপ্তাহে বলেছি যে, ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার পর মুসলিমরা আতঙ্কিত। আমাদের সহায়তা দরকার। তার কথার সুর শোনা গেল উইটন ইসলামিক সেন্টারের ইমাম শারাফাত আলীর কণ্ঠে। ৬৬ বছর বয়সী এই ইমাম বলেন, এটা অত্যন্ত ভয়াবহ। মুসলিম সম্প্রদায়ের আতঙ্কের মধ্যে আছে। শারাফাত আলী বলেন, আমরা এখানে ৩০ বছর ধরে বসবাস করছি। প্রত্যেকদিন সকালে অন্তত ৪০ জন মুসল্লি এখানে নামাজ আদায় করেন। শুক্রবার এই সংখ্যা ২০০ থেকে ৩০০ ছাড়িয়ে যায়। তিনি বলেন, আজ শুক্রবার জুমআর নামাজ। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না, কেন এসব ঘটছে। আমাদের আরো নিরাপত্তা দেয়ার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।