ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএসএমএমইউর বক্তব্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৪:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০
  • / ২৪০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ বক্তব্য দিয়েছে। গতকাল রোববার সংবাদপত্রে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএসএমএমইউর পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক সবার অবগতির জন্য জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গত বছরের ১ এপ্রিল, চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তিকালীন তিনি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, আর্থ্রাইটিস, দাঁতের ব্যথা, কাফ ভেরিয়েন্ট অ্যাজমা ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার সুচিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান হলেন বিএসএমএমইউর মেডিসিন অনুষদের ডিন ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: মো: জিলন মিঞা সরকার। বোর্ডে বিশিষ্ট রিউমাটোলজিস্ট অধ্যাপক ডা: সৈয়দ আতিকুল হকসহ আরো তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিশিষ্ট এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট অধ্যাপক ডা: মো: ফরিদ উদ্দিন এবং অন্য একজন বক্ষ্যব্যাধি বিশেষজ্ঞকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বর্তমানে মেডিক্যাল বোর্ডে সাতজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। তা ছাড়াও বোর্ডের সুপারিশক্রমে একজন মনোরোগ ও একজন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসায় সম্পৃক্ত রয়েছেন। তারা ছাড়াও বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী সহযোগী অধ্যাপক ডা: মো: শামীম আহমেদ (রিউমাটোলজিস্ট) ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা: মামুনুর রহমান (কনসালটেন্ট-কার্ডিওলজি বিভাগ) নিয়মিত মেডিক্যাল বোর্ডের সাথে তার চিকিৎসাসেবায় সহায়তা করে যাচ্ছেন। বিগত প্রায় ১০ মাসে খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যার কোনো কোনো ক্ষেত্রে আশানুরূপ উন্নতি হয়েছে এবং কোনো কোনো রোগ স্থিতিশীল রয়েছে। দাঁতের ব্যথা ভালো হয়েছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শারীরিক দুর্বলতার উন্নতি হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে পরিচালক বলেন, ২০০৯ ও ২০১২ সালে উনার উভয় হাঁটুতেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নি-রিপ্লেসমেন্ট করা হয়। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমানোর জন্য মেডিক্যাল বোর্ডের পক্ষ থেকে আধুনিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য ভ্যাকসিন নেয়া, বায়োলজিকস ও অন্যান্য আধুনিক মেডিসিন সেবনের পরামর্শ দেয়া হয়। বিগত কয়েক মাস ধরে মেডিক্যাল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আর্থ্রাইটিসের উন্নত চিকিৎসা নেয়ার জন্য তাকে অনুরোধ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত আর্থ্রাইটিসের ওই সব আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণে সম্মতি দেননি। ফলে আর্থ্রাইটিসের আশানুরূপ উন্নতি হচ্ছে না। ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও বয়সজনিত কিছু সমস্যা সম্পূর্ণ নির্মূলযোগ্য নয়। যথাযথ ও উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা ও রোগীকে ভালো রাখার চেষ্টা করা হয়। বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার লক্ষ্যে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে সেই কাজটিই করে যাচ্ছেন। পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক বলেন, রাজনীতি বা ব্যক্তিগত পরিচয় বিবেচনায় না এনে বেগম খালেদা জিয়াকে একজন রোগী হিসেবে বিবেচনা করেই সম্পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ায় তার চিকিৎসা সংক্রান্ত যে সব তথ্যাদি প্রচার করা হয় তা মিডিয়ার নিজস্ব সংগৃহীত তথ্য ও বক্তব্য। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মেডিক্যাল বোর্ড বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বেগম খালেদা জিয়াকে শুধু চিকিৎসাসেবা প্রদানের সুযোগ রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল বোর্ড আন্তরিকতার সাথে সে কাজটিই করে যাচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএসএমএমইউর বক্তব্য

আপলোড টাইম : ১০:৪৪:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০

সমীকরণ প্রতিবেদন:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ বক্তব্য দিয়েছে। গতকাল রোববার সংবাদপত্রে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএসএমএমইউর পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক সবার অবগতির জন্য জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গত বছরের ১ এপ্রিল, চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তিকালীন তিনি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, আর্থ্রাইটিস, দাঁতের ব্যথা, কাফ ভেরিয়েন্ট অ্যাজমা ইত্যাদি সমস্যায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার সুচিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান হলেন বিএসএমএমইউর মেডিসিন অনুষদের ডিন ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: মো: জিলন মিঞা সরকার। বোর্ডে বিশিষ্ট রিউমাটোলজিস্ট অধ্যাপক ডা: সৈয়দ আতিকুল হকসহ আরো তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিশিষ্ট এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট অধ্যাপক ডা: মো: ফরিদ উদ্দিন এবং অন্য একজন বক্ষ্যব্যাধি বিশেষজ্ঞকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বর্তমানে মেডিক্যাল বোর্ডে সাতজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। তা ছাড়াও বোর্ডের সুপারিশক্রমে একজন মনোরোগ ও একজন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসায় সম্পৃক্ত রয়েছেন। তারা ছাড়াও বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী সহযোগী অধ্যাপক ডা: মো: শামীম আহমেদ (রিউমাটোলজিস্ট) ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা: মামুনুর রহমান (কনসালটেন্ট-কার্ডিওলজি বিভাগ) নিয়মিত মেডিক্যাল বোর্ডের সাথে তার চিকিৎসাসেবায় সহায়তা করে যাচ্ছেন। বিগত প্রায় ১০ মাসে খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যার কোনো কোনো ক্ষেত্রে আশানুরূপ উন্নতি হয়েছে এবং কোনো কোনো রোগ স্থিতিশীল রয়েছে। দাঁতের ব্যথা ভালো হয়েছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শারীরিক দুর্বলতার উন্নতি হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে পরিচালক বলেন, ২০০৯ ও ২০১২ সালে উনার উভয় হাঁটুতেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নি-রিপ্লেসমেন্ট করা হয়। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমানোর জন্য মেডিক্যাল বোর্ডের পক্ষ থেকে আধুনিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য ভ্যাকসিন নেয়া, বায়োলজিকস ও অন্যান্য আধুনিক মেডিসিন সেবনের পরামর্শ দেয়া হয়। বিগত কয়েক মাস ধরে মেডিক্যাল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আর্থ্রাইটিসের উন্নত চিকিৎসা নেয়ার জন্য তাকে অনুরোধ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত আর্থ্রাইটিসের ওই সব আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণে সম্মতি দেননি। ফলে আর্থ্রাইটিসের আশানুরূপ উন্নতি হচ্ছে না। ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও বয়সজনিত কিছু সমস্যা সম্পূর্ণ নির্মূলযোগ্য নয়। যথাযথ ও উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা ও রোগীকে ভালো রাখার চেষ্টা করা হয়। বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার লক্ষ্যে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে সেই কাজটিই করে যাচ্ছেন। পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক বলেন, রাজনীতি বা ব্যক্তিগত পরিচয় বিবেচনায় না এনে বেগম খালেদা জিয়াকে একজন রোগী হিসেবে বিবেচনা করেই সম্পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ায় তার চিকিৎসা সংক্রান্ত যে সব তথ্যাদি প্রচার করা হয় তা মিডিয়ার নিজস্ব সংগৃহীত তথ্য ও বক্তব্য। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মেডিক্যাল বোর্ড বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বেগম খালেদা জিয়াকে শুধু চিকিৎসাসেবা প্রদানের সুযোগ রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল বোর্ড আন্তরিকতার সাথে সে কাজটিই করে যাচ্ছে।