ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কড়া নিরাপত্তায় ১১৭টি পূজাম-পে হবে দুর্গোৎসব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় প্রস্তুতি সভা
বিশেষ প্রতিবেদক:
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষের আগমনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ উৎসব, চলবে আগামী ৮ অক্টোবর বিজয়া দশমী পর্যন্ত। তবে মূল আয়োজন হবে ৪ থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত, পাঁচ দিনব্যাপী। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রস্তুতি সভা করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্বাপেক্ষা বড় ধর্মীয় এ উৎসব নিরাপদ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে বহুমুখী সিদ্ধান্ত।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত থাকবে জানিয়ে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব যেন আরও সুন্দর ও আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন করা যায়, সে জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি পূজাম-পে সাতজন আনসার ও চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন। তবে সাধারণ, গুরুত্বপূর্ণ ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজাম-পগুলোতে ক্ষেত্রবিশেষ প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। তিনি আরও বলেন, এ দেশে মসজিদের আজানের ধ্বনির সঙ্গে মন্দিরের উলুধ্বনি শোনা যায়, কিন্তু কখনো কোনো সম্প্রীতির ঘাটতি হয় না। এরপরও কোনো কুচক্রীমহল যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরা মাঠে থাকবেন। আয়োজনের সূচি অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপনে প্রশাসনের পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সার্বিক সহযোগিতায় থাকবে। পৌর শহরের অন্তর্গত বিসর্জনের জন্য ঘাটগুলো আরও আধুনিকায়ন ও আলোকসজ্জা করা হবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন চার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী সবুক্তগীন, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. আওলিয়ার রহমান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক কিশোর কুমার আগরওয়ালাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও চার উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি-সম্পাদকেরা।
গত বছর জেলার ১১৩টি পূজাম-পসহ এবার বেড়েছে আরও ৪টি। সব মিলিয়ে এ বছর জেলার ১১৭টি পূজাম-পে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হচ্ছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৩টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩৬টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ২২টি ও জীবননগর উপজেলায় ২৬টি পূজাম-পে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে সভায় জানানো হয়।
এ সময় অধিকাংশ পূজাম-প কমিটির সভাপতি-সম্পাদক উপস্থিত থেকে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা তুলে ধরেন। ফলে পূজাম-পের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য পুলিশ ও গ্রাম্য চৌকিদার ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ-অতি গুরুত্বপূর্ণ ম-পে অতিরিক্ত আনসার ও ভিডিপির সদস্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে পূজা চলাকালীন সময়ে বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশনসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে স্ব স্ব উপজেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে তাদের নিয়মিত টহল অব্যাহত রাখে, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই সঙ্গে পূজাম-পগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কড়া নিরাপত্তায় ১১৭টি পূজাম-পে হবে দুর্গোৎসব

আপলোড টাইম : ১১:০০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় প্রস্তুতি সভা
বিশেষ প্রতিবেদক:
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষের আগমনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ উৎসব, চলবে আগামী ৮ অক্টোবর বিজয়া দশমী পর্যন্ত। তবে মূল আয়োজন হবে ৪ থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত, পাঁচ দিনব্যাপী। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রস্তুতি সভা করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্বাপেক্ষা বড় ধর্মীয় এ উৎসব নিরাপদ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে বহুমুখী সিদ্ধান্ত।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত থাকবে জানিয়ে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব যেন আরও সুন্দর ও আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন করা যায়, সে জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি পূজাম-পে সাতজন আনসার ও চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন। তবে সাধারণ, গুরুত্বপূর্ণ ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজাম-পগুলোতে ক্ষেত্রবিশেষ প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হবে। তিনি আরও বলেন, এ দেশে মসজিদের আজানের ধ্বনির সঙ্গে মন্দিরের উলুধ্বনি শোনা যায়, কিন্তু কখনো কোনো সম্প্রীতির ঘাটতি হয় না। এরপরও কোনো কুচক্রীমহল যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরা মাঠে থাকবেন। আয়োজনের সূচি অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপনে প্রশাসনের পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সার্বিক সহযোগিতায় থাকবে। পৌর শহরের অন্তর্গত বিসর্জনের জন্য ঘাটগুলো আরও আধুনিকায়ন ও আলোকসজ্জা করা হবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন চার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী সবুক্তগীন, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. আওলিয়ার রহমান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক কিশোর কুমার আগরওয়ালাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও চার উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি-সম্পাদকেরা।
গত বছর জেলার ১১৩টি পূজাম-পসহ এবার বেড়েছে আরও ৪টি। সব মিলিয়ে এ বছর জেলার ১১৭টি পূজাম-পে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হচ্ছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৩টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩৬টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ২২টি ও জীবননগর উপজেলায় ২৬টি পূজাম-পে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে সভায় জানানো হয়।
এ সময় অধিকাংশ পূজাম-প কমিটির সভাপতি-সম্পাদক উপস্থিত থেকে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা তুলে ধরেন। ফলে পূজাম-পের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য পুলিশ ও গ্রাম্য চৌকিদার ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ-অতি গুরুত্বপূর্ণ ম-পে অতিরিক্ত আনসার ও ভিডিপির সদস্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে পূজা চলাকালীন সময়ে বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশনসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে স্ব স্ব উপজেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে তাদের নিয়মিত টহল অব্যাহত রাখে, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই সঙ্গে পূজাম-পগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের।