ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ক্ষুদ্ধ অভিভাবক মহল : অতিরিক্ত টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৫২:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৯৮৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় শিওর ক্যাশে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনে চরম দুর্ভোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেওয়া উপবৃত্তির টাকা শিওর ক্যাশে উত্তোলন করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া অতিরিক্ত টাকা না দিলে উপবৃত্তির টাকা থেকে ১০/২০টাকা কেটে রাখা সহ নানান তালবাহানা করছে শিওর ক্যাশের এন্টেজরা। এতে অভিভাবক ও শিক্ষাথীরা পড়েছেন মহাবিপাকে। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহন না করা হলে সরকারের মহতী এই উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বলে সরেজমিনে জানা যায়। এছাড়া সদ্য শেষ চুয়াডাঙ্গার অন্যন্য উপজেলায় এরকম দুর্ভোগ পোহাই গ্রাহকরা।
জানা গেছে,  সরকার দামুড়হুদা উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২হাজার ১২০ জন শিক্ষার্থীর সরকারী উপবৃত্তির টাকা প্রদান করছেন। সে মোতাবেক শিক্ষাথীরা তাদের ব্যাবহত মোবাইল ফোনে একটি একাউন্ড খোলে। সেই একাউন্ডে সিওর ক্যাশের মাধ্যমে শিক্ষাথীদের উপবৃত্তির টাকা প্রদান করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ শিওর ক্যাশ এজেন্ট ঘরে শিক্ষাথীদের নিকট হতে ১৫০/টাকায় ১০/টাকা এবং ৩০০/টাকায় ২০/টাকা হারে টাকা কেটে রাখছেন। আর অতিরিক্ত টাকা না দিতে চাইলে শিক্ষাথীদের টাকা উত্তোলন করা অসম্ভাব হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, একবার কোন শির্ক্ষাথী নিদিষ্ট একটি এজেন্ট ঘরে গিয়ে টাকা তুললে পরবর্তিতে সেই ঘরে টাকা তুলতে না গেলে টাকা উত্তোলন করা করা সম্ভাব হচ্ছে না। কারণ সেই এজেন্ট পিন নাম্বারটি নিজের আওতায় রেখে দিচ্ছেন। ফলে একপ্রকার সিওর ক্যাশ এজেন্টের কাছে তারা জিন্মি হয়ে পড়েছেন।
গত কয়েক দিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এই ধরনের একাধিক অনিয়ম দুনীতি ও নানা ভোগান্তির অভিযোগ করলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযোগ করে বলেন,সরকারী নিয়মানুয়ী টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে শিওর ক্যাশ এজেন্টের কাছে গেলেই তিনি টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু দামুড়হুদা বাজারের কোন এজেন্টই উপবৃত্তির টাকা দিচ্ছে না। টাকা তুলতে আসা অভিভাবকদের মধ্যে দেওলী গ্রামের আ:সালাম, নাপিতলাির গাফ্ফার, হাতিভঙ্গার রবজেল, চিৎলার তহুমিনা জানালেন, টাকা তুলতে শিওর ক্যাশ এজেন্ট স্বপন টেলিকম, রংধনু টেলিকম, পায়েল টেলিকম সহ কোন এজেন্টই টাকা দিতে চাইছে না। সবাই বলছে ঈদের পর ছাড়া উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হবে না।
এবিষয়ে শিওর ক্যাশের টিএম সাইফুল ইসলাম জানান, যদি কোন এজেন্ট অতিরিক্ত ঠাকা কেটে নেন তাহলে অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টাকা উত্তোলনে যে সমস্যা সেটা দ্রুত সমাধান হবে।
এবিষয়ে শিওর ক্যাশের চুয়াডাঙ্গা জেলা ডিস্টিবিউটর এম এ মামুন জানান, সফটওয়্যার জনিত সমস্যায় এমনটা হয়েছে। খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।
এবিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাকী সালাম জানান, রুপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশের সফটওয়্যার জনিত সমস্যায় এমন হয়েছে। যে শিক্ষার্থীদের ৩০০টাকা দেওয়ার কথা তাদের ৬০০ টাকা ও যাদের ৬০০ টাকা দেওয়ার কথা তাদের ১৫০টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এ কারনে এজেন্টদেরকে টাকা দিতে নিষেধ করা হয়েছে। আমরা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি তারা জানিয়েছে সফটওয়্যার জনিত সমস্যায় এমনটা হয়েছে। খুব দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ক্ষুদ্ধ অভিভাবক মহল : অতিরিক্ত টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৭:৫২:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৭

চুয়াডাঙ্গায় শিওর ক্যাশে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনে চরম দুর্ভোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেওয়া উপবৃত্তির টাকা শিওর ক্যাশে উত্তোলন করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া অতিরিক্ত টাকা না দিলে উপবৃত্তির টাকা থেকে ১০/২০টাকা কেটে রাখা সহ নানান তালবাহানা করছে শিওর ক্যাশের এন্টেজরা। এতে অভিভাবক ও শিক্ষাথীরা পড়েছেন মহাবিপাকে। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহন না করা হলে সরকারের মহতী এই উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বলে সরেজমিনে জানা যায়। এছাড়া সদ্য শেষ চুয়াডাঙ্গার অন্যন্য উপজেলায় এরকম দুর্ভোগ পোহাই গ্রাহকরা।
জানা গেছে,  সরকার দামুড়হুদা উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২হাজার ১২০ জন শিক্ষার্থীর সরকারী উপবৃত্তির টাকা প্রদান করছেন। সে মোতাবেক শিক্ষাথীরা তাদের ব্যাবহত মোবাইল ফোনে একটি একাউন্ড খোলে। সেই একাউন্ডে সিওর ক্যাশের মাধ্যমে শিক্ষাথীদের উপবৃত্তির টাকা প্রদান করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ শিওর ক্যাশ এজেন্ট ঘরে শিক্ষাথীদের নিকট হতে ১৫০/টাকায় ১০/টাকা এবং ৩০০/টাকায় ২০/টাকা হারে টাকা কেটে রাখছেন। আর অতিরিক্ত টাকা না দিতে চাইলে শিক্ষাথীদের টাকা উত্তোলন করা অসম্ভাব হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, একবার কোন শির্ক্ষাথী নিদিষ্ট একটি এজেন্ট ঘরে গিয়ে টাকা তুললে পরবর্তিতে সেই ঘরে টাকা তুলতে না গেলে টাকা উত্তোলন করা করা সম্ভাব হচ্ছে না। কারণ সেই এজেন্ট পিন নাম্বারটি নিজের আওতায় রেখে দিচ্ছেন। ফলে একপ্রকার সিওর ক্যাশ এজেন্টের কাছে তারা জিন্মি হয়ে পড়েছেন।
গত কয়েক দিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এই ধরনের একাধিক অনিয়ম দুনীতি ও নানা ভোগান্তির অভিযোগ করলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযোগ করে বলেন,সরকারী নিয়মানুয়ী টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে শিওর ক্যাশ এজেন্টের কাছে গেলেই তিনি টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু দামুড়হুদা বাজারের কোন এজেন্টই উপবৃত্তির টাকা দিচ্ছে না। টাকা তুলতে আসা অভিভাবকদের মধ্যে দেওলী গ্রামের আ:সালাম, নাপিতলাির গাফ্ফার, হাতিভঙ্গার রবজেল, চিৎলার তহুমিনা জানালেন, টাকা তুলতে শিওর ক্যাশ এজেন্ট স্বপন টেলিকম, রংধনু টেলিকম, পায়েল টেলিকম সহ কোন এজেন্টই টাকা দিতে চাইছে না। সবাই বলছে ঈদের পর ছাড়া উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হবে না।
এবিষয়ে শিওর ক্যাশের টিএম সাইফুল ইসলাম জানান, যদি কোন এজেন্ট অতিরিক্ত ঠাকা কেটে নেন তাহলে অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টাকা উত্তোলনে যে সমস্যা সেটা দ্রুত সমাধান হবে।
এবিষয়ে শিওর ক্যাশের চুয়াডাঙ্গা জেলা ডিস্টিবিউটর এম এ মামুন জানান, সফটওয়্যার জনিত সমস্যায় এমনটা হয়েছে। খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।
এবিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাকী সালাম জানান, রুপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশের সফটওয়্যার জনিত সমস্যায় এমন হয়েছে। যে শিক্ষার্থীদের ৩০০টাকা দেওয়ার কথা তাদের ৬০০ টাকা ও যাদের ৬০০ টাকা দেওয়ার কথা তাদের ১৫০টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এ কারনে এজেন্টদেরকে টাকা দিতে নিষেধ করা হয়েছে। আমরা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি তারা জানিয়েছে সফটওয়্যার জনিত সমস্যায় এমনটা হয়েছে। খুব দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তারা।