ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কোরআনে ফিরে আসা ছাড়া পথ নেই

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৯:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০২০
  • / ২০৪ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন:
হে আল্লাহ, করোনাভাইরাস মাথায় নিয়ে বিশ্বাসীরা রোজা পালন করছে। করোনাভাইরাসের বিপদে তোমার বান্দারা তটস্থ। তোমার গড়া সুন্দর পৃথিবীতে আজ বড়ই হাহাকার। দিন শেষে জন্তু যেমন গর্তে লুকিয়ে থাকে, আজ পুরো পৃথিবীর মানুষও ঘরে লুকিয়ে আছে। মানুষ কখন মনুষত্ব হারিয়ে জন্তু পর্যায়ে পৌঁছে কোরআনেই তুমি তা বলে দিয়েছ। যখন মানুষ তোমার দেয়া চোখ দিয়ে তোমার সৌন্দর্য দেখে শোকরিয়া আদায় করে না, তোমার দেয়া কান দিয়ে তোমার মায়াবি সুর শোনে না, তোমার দেয়া হৃদয় দিয়ে সৃষ্টিরহস্য গভীরভাবে উপলব্ধি করে না, তাদের সম্পর্কে তুমি বলেছ, ‘উলাইকা কাল আনআম। বালহুম আদল্ল।’ ওইসব মানুষ হল চারপায়া জানোয়ারের মতো। না তার চেয়েও বেশি নিকৃষ্ট।
মানুষ যখন কোরআন ছেড়ে দেয়, তখন সে তার আপন সত্তাকে হারিয়ে ফেলে। কোরআন মূলত মানুষের জন্য একটি ঐশীবাণী। এজন্য কোরআনের এক নাম জিকির। জিকির মানে হল বারবার মনে করা। কোরআন মানুষকে মনে করাতে চায়- হে মানুষ, তোমার একজন সষ্টা আছে। এ দুনিয়ার জীবনই তোমার জন্য শেষ নয়। পরকালে তোমাকে জবাব দিতে হবে। তাই জীবনের সবক্ষেত্রে সতর্ক-সংযত থাক। দমে দমে প্রভুর স্মরণে বিভোর থাক।
কোরআন-ভোলা মানুষ আল্লাহ-পরকাল ভুলে অমানুষে পরিণত হয়। হায়! আজ আমরা কোরআন ছেড়ে দিয়েছি। তাই আল্লাহতায়ালা আমাদের ওপর করোনার গজব নাজিল করেছেন। এ গজব থেকে বাঁচতে চাইলে আবার আমাদের কোরআনের আলোয় ফিরে আসতে হবে। এজন্য রমজানের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর কোনো মাস নেই। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘শাহরু রামাদানাল্লাজি উনজিলা ফিহিল কোরআন। হুদাল্লিন্নাসি ওয়া বায়্যিনাতিম মিনাল হুদা ওয়াল ফোরকান।’ রমজান মাস সে মহিমান্বিত মাস, যে মাসে নাজিল করা হয়েছে পবিত্র কোরআন। আর কোরআন এমন একটি গ্রন্থ, যেখানে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য করা হয়েছে সুস্পষ্টভাবে।
হাদিস শরিফে রাসুল (সা.) বলেছেন, কোরআন ও রোজা বান্দার পক্ষ নিয়ে আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে। কোরআন বলবে- হে আল্লাহ, আপনার বান্দা সারা রাত আমাকে নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করেছে, তাকে আমি ঘুমুতে দিইনি। আজ তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। রোজা বলবে- হে আল্লাহ, আপনার বান্দাকে সারা দিন আমি খাওয়া ও কামনা থেকে বিরত রেখেছি। তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। রাসুল (সা.) বলেন, সেদিন আল্লাহতায়ালা রোজা ও কোরআনের সুপারিশ কবুল করে ওই বান্দাকে জান্নাত উপহার দেবেন। পৃথিবীজুড়ে আজ যে ভয়াবহ আজাব চলছে, এ আজাব থেকে বাঁচতে হলে কোরআনে ফিরে আসা ছাড়া বিশ্ববাসীর আর কোনো পথ নেই। আসুন, বিবেকহীন পশুত্বের জীবন থেকে আমরা আলোকিত কোরআনের জীবনে ফিরে আসি। জীবনের প্রতিমুহূর্ত কোরআনের দেখানো পথে চলি। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের তওফিক দিন। আপনি আমাদের করোনামুক্তি দিয়ে আপনার বন্দেগি করার সুযোগ দিন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কোরআনে ফিরে আসা ছাড়া পথ নেই

আপলোড টাইম : ০৯:১৯:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০২০

ধর্ম প্রতিবেদন:
হে আল্লাহ, করোনাভাইরাস মাথায় নিয়ে বিশ্বাসীরা রোজা পালন করছে। করোনাভাইরাসের বিপদে তোমার বান্দারা তটস্থ। তোমার গড়া সুন্দর পৃথিবীতে আজ বড়ই হাহাকার। দিন শেষে জন্তু যেমন গর্তে লুকিয়ে থাকে, আজ পুরো পৃথিবীর মানুষও ঘরে লুকিয়ে আছে। মানুষ কখন মনুষত্ব হারিয়ে জন্তু পর্যায়ে পৌঁছে কোরআনেই তুমি তা বলে দিয়েছ। যখন মানুষ তোমার দেয়া চোখ দিয়ে তোমার সৌন্দর্য দেখে শোকরিয়া আদায় করে না, তোমার দেয়া কান দিয়ে তোমার মায়াবি সুর শোনে না, তোমার দেয়া হৃদয় দিয়ে সৃষ্টিরহস্য গভীরভাবে উপলব্ধি করে না, তাদের সম্পর্কে তুমি বলেছ, ‘উলাইকা কাল আনআম। বালহুম আদল্ল।’ ওইসব মানুষ হল চারপায়া জানোয়ারের মতো। না তার চেয়েও বেশি নিকৃষ্ট।
মানুষ যখন কোরআন ছেড়ে দেয়, তখন সে তার আপন সত্তাকে হারিয়ে ফেলে। কোরআন মূলত মানুষের জন্য একটি ঐশীবাণী। এজন্য কোরআনের এক নাম জিকির। জিকির মানে হল বারবার মনে করা। কোরআন মানুষকে মনে করাতে চায়- হে মানুষ, তোমার একজন সষ্টা আছে। এ দুনিয়ার জীবনই তোমার জন্য শেষ নয়। পরকালে তোমাকে জবাব দিতে হবে। তাই জীবনের সবক্ষেত্রে সতর্ক-সংযত থাক। দমে দমে প্রভুর স্মরণে বিভোর থাক।
কোরআন-ভোলা মানুষ আল্লাহ-পরকাল ভুলে অমানুষে পরিণত হয়। হায়! আজ আমরা কোরআন ছেড়ে দিয়েছি। তাই আল্লাহতায়ালা আমাদের ওপর করোনার গজব নাজিল করেছেন। এ গজব থেকে বাঁচতে চাইলে আবার আমাদের কোরআনের আলোয় ফিরে আসতে হবে। এজন্য রমজানের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর কোনো মাস নেই। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘শাহরু রামাদানাল্লাজি উনজিলা ফিহিল কোরআন। হুদাল্লিন্নাসি ওয়া বায়্যিনাতিম মিনাল হুদা ওয়াল ফোরকান।’ রমজান মাস সে মহিমান্বিত মাস, যে মাসে নাজিল করা হয়েছে পবিত্র কোরআন। আর কোরআন এমন একটি গ্রন্থ, যেখানে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য করা হয়েছে সুস্পষ্টভাবে।
হাদিস শরিফে রাসুল (সা.) বলেছেন, কোরআন ও রোজা বান্দার পক্ষ নিয়ে আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে। কোরআন বলবে- হে আল্লাহ, আপনার বান্দা সারা রাত আমাকে নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করেছে, তাকে আমি ঘুমুতে দিইনি। আজ তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। রোজা বলবে- হে আল্লাহ, আপনার বান্দাকে সারা দিন আমি খাওয়া ও কামনা থেকে বিরত রেখেছি। তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। রাসুল (সা.) বলেন, সেদিন আল্লাহতায়ালা রোজা ও কোরআনের সুপারিশ কবুল করে ওই বান্দাকে জান্নাত উপহার দেবেন। পৃথিবীজুড়ে আজ যে ভয়াবহ আজাব চলছে, এ আজাব থেকে বাঁচতে হলে কোরআনে ফিরে আসা ছাড়া বিশ্ববাসীর আর কোনো পথ নেই। আসুন, বিবেকহীন পশুত্বের জীবন থেকে আমরা আলোকিত কোরআনের জীবনে ফিরে আসি। জীবনের প্রতিমুহূর্ত কোরআনের দেখানো পথে চলি। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের তওফিক দিন। আপনি আমাদের করোনামুক্তি দিয়ে আপনার বন্দেগি করার সুযোগ দিন।