ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কোমায় গিয়েও বাচ্চা প্রসব করলেন করোনাক্রান্ত মা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৩:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০২০
  • / ২১৪ বার পড়া হয়েছে

বিষ্ময় ডেস্ক:
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে এক ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন করোনা আক্রান্ত ৩৬ বছর বয়সী এক মা। ফুসফুস তেমন একটা কাজ করছিল না। অনেক দিন ধরে ছিলেন কোমায়। এমন অবস্থায়ও নতুন প্রাণের জন্ম দিয়েছেন তিনি। সেই নারীর নাম দিয়ানা অ্যাঙ্গোলা। তিনি কলম্বিয়ার অধিবাসী। অ্যাঙ্গোলা তার ছেলের নাম রেখেছে জেফারসন। অ্যাঙ্গোলার ফুসফুস কাজ করছিল না বিধায় তার পেটের বাচ্চাকে বাঁচাতে হাসপাতালের সিজার সেকশনে নিয়ে যান চিকিৎসকেরা। অন্তত ১৪ সপ্তাহ আগেই পৃথিবীর আলোতে নিয়ে আসা হয় জেফারসনকে। মা করোনায় আক্রান্ত হলেও এই নবজাতকের শরীরে করোনার সংক্রমণ নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। পরিস্থিতি ‘অনেক সংকটজনক’ ছিল বলে জানালেন কলম্বিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের ক্যালি শহরের ভেরসালেস ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাওলা ভেলাসকেস। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম যে, এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও পেটের শিশুকে রক্ষা করার কিছু ঘটনা আমাদের এখানে রয়েছে।’ অ্যাঙ্গোলা তীব্র জ্বর নিয়ে গত ১৫ মে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার আরও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তিন দিনের মাথায় চলে যান কোমাতে। নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন তিনি। শ্বাস প্রশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হতো। অপরিপক্ব থাকা অবস্থায় জন্ম নেওয়ায় জেফারসনেরও শ্বাস নিতে সমস্যা হতো বলে জানালেন চিকিৎসক। তাকে টিকিয়ে রাখতে অনেক লড়াই করতে হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কোমায় গিয়েও বাচ্চা প্রসব করলেন করোনাক্রান্ত মা

আপলোড টাইম : ০৯:১৩:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০২০

বিষ্ময় ডেস্ক:
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে এক ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন করোনা আক্রান্ত ৩৬ বছর বয়সী এক মা। ফুসফুস তেমন একটা কাজ করছিল না। অনেক দিন ধরে ছিলেন কোমায়। এমন অবস্থায়ও নতুন প্রাণের জন্ম দিয়েছেন তিনি। সেই নারীর নাম দিয়ানা অ্যাঙ্গোলা। তিনি কলম্বিয়ার অধিবাসী। অ্যাঙ্গোলা তার ছেলের নাম রেখেছে জেফারসন। অ্যাঙ্গোলার ফুসফুস কাজ করছিল না বিধায় তার পেটের বাচ্চাকে বাঁচাতে হাসপাতালের সিজার সেকশনে নিয়ে যান চিকিৎসকেরা। অন্তত ১৪ সপ্তাহ আগেই পৃথিবীর আলোতে নিয়ে আসা হয় জেফারসনকে। মা করোনায় আক্রান্ত হলেও এই নবজাতকের শরীরে করোনার সংক্রমণ নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। পরিস্থিতি ‘অনেক সংকটজনক’ ছিল বলে জানালেন কলম্বিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের ক্যালি শহরের ভেরসালেস ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাওলা ভেলাসকেস। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম যে, এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও পেটের শিশুকে রক্ষা করার কিছু ঘটনা আমাদের এখানে রয়েছে।’ অ্যাঙ্গোলা তীব্র জ্বর নিয়ে গত ১৫ মে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার আরও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তিন দিনের মাথায় চলে যান কোমাতে। নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন তিনি। শ্বাস প্রশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হতো। অপরিপক্ব থাকা অবস্থায় জন্ম নেওয়ায় জেফারসনেরও শ্বাস নিতে সমস্যা হতো বলে জানালেন চিকিৎসক। তাকে টিকিয়ে রাখতে অনেক লড়াই করতে হয়েছে।