ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কোভিড-১৯: নতুন করে ৯৬৯ জন আক্রান্ত, মৃত্যু বেড়ে ২৫০

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০
  • / ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে নতুন করে ৯৬৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আত্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬৯১ জনে। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫০ জনে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটে দেশের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন অনলাইনে প্রচারিত হয়। বুলেটিনে ভিডিও কনফারেন্সে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৬ হাজার ৮৪৫টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৬ হাজার ৭৭৩টি। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ৯৬৯ জন। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৩৮টি পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২৪৫ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন হাজার ১৪৭ জন। নাসিমা আরও জানান, ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১১ জন। তার মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। মৃতরা বয়স বিবেচনায় ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ৩ জন ও ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ২জন, এবং ৮১-৯০ বছরের মধ্যে ১ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০ জনে। তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২ হাজার ৩৬১ জনকে। আর ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ২৫৬ জন। ব্রিফিংয়ে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে অধ্যাপক নাসিমা বলেন, তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করবেন। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাবেন ও ফুসফুসের ব্যায়াম করবেন। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিনে দিনে করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েয়েই চলছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৬৯১ জনে মানুষ। এর আগে গত ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের আঘাত আসে। এরপর এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৮৭ হাজার ২৯৩ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ জন। অপরদিকে ১৫ লাখ ২৭ হাজার ১৪৪ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কোভিড-১৯: নতুন করে ৯৬৯ জন আক্রান্ত, মৃত্যু বেড়ে ২৫০

আপলোড টাইম : ০৯:০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০

সমীকরণ প্রতিবেদন:
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে নতুন করে ৯৬৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আত্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬৯১ জনে। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫০ জনে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটে দেশের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন অনলাইনে প্রচারিত হয়। বুলেটিনে ভিডিও কনফারেন্সে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৬ হাজার ৮৪৫টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৬ হাজার ৭৭৩টি। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ৯৬৯ জন। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৩৮টি পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২৪৫ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন হাজার ১৪৭ জন। নাসিমা আরও জানান, ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১১ জন। তার মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। মৃতরা বয়স বিবেচনায় ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ৩ জন ও ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ২জন, এবং ৮১-৯০ বছরের মধ্যে ১ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০ জনে। তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২ হাজার ৩৬১ জনকে। আর ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ২৫৬ জন। ব্রিফিংয়ে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে অধ্যাপক নাসিমা বলেন, তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করবেন। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাবেন ও ফুসফুসের ব্যায়াম করবেন। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিনে দিনে করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েয়েই চলছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৬৯১ জনে মানুষ। এর আগে গত ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের আঘাত আসে। এরপর এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৮৭ হাজার ২৯৩ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ জন। অপরদিকে ১৫ লাখ ২৭ হাজার ১৪৪ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।