ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ২৩৬ বার পড়া হয়েছে

কৌতূহলের অবসান আজ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক- এ বিষয় নিয়ে আলোচনা, জল্পনা-কল্পনার যেন শেষ নেই। দলের নেতাকর্মীর মধ্যে সব আলোচনা ও পর্যালোচনা এখন এই পদ ঘিরেই। অন্য পদগুলো নিয়ে যেন কারো মাথাব্যথা নেই। ঘুরেফিরে আলোচনায় থাকা দলের দ্বিতীয় শীর্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ পদটি কে পাচ্ছেন, তা জানা যাবে আজ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী ২১তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের আজ শেষ দিন, কাউন্সিল অধিবেশনে নেতা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অবসান হবে দলের এই পদ নিয়ে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের আগ্রহ ও কৌতূহলের। আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সব শ্রেণির মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি কৌতূহল ও আগ্রহ দুটি। প্রথমত. প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবার দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসছেন কি না, তা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। কারণ তারা চাইছেন, দলের আগামী নেতৃত্বের জন্য তাদের এখন থেকেই তৈরি করা দরকার। আগ্রহের অন্য বিষয়টি হচ্ছে, কে হচ্ছেন দলের সাধারণ সম্পাদক? তা নিয়েই মাসাধিকালের গুঞ্জন, আলোচনা ও কৌতূহলের অবসান হবে আজ। এসব প্রশ্নের উত্তর সাত হাজার কাউন্সিলর ও সাড়ে সাত হাজার ডেলিগেটসহ অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মীর সমর্থনে সেটা নির্ধারিত হবে আজ।
এদিকে নেতাকর্মীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা, দলে ও দেশে তার অপরিহার্যতার কারণে রেকর্ড নবমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন শেখ হাসিনা। নেতাকর্মীদের প্রশ্নহীন জোরালো সমর্থন রয়েছে তাতে। গত কয়েক দিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এবং দলের কার্যালয় ঘুরে বিভিন্ন সূত্রে কথা বলে সাধারণ সম্পাদক নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। এর আগে আওয়ামী লীগের প্রায় প্রতিটি সম্মেলনের আগে সাধারণ সম্পাদক পদে কে আসছেন, সে সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যেত। কিন্তু এবারের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হলেও সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদের অন্যদের থেকে এগিয়ে আছেন বলে নেতাদের কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম আলোচনায় আছে, তারা তো বটেই নীতিনির্ধারণী পর্যায়েরও কারো কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানা গেছে। নানা নেতা নিজের মতো করে পদটির জন্য কে যোগ্য, তার পক্ষে যুক্তি দাঁড় করিয়ে মূল্যায়ন করছেন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদটি এবার সবচেয়ে বড় চমক হিসেবে রাখছেন শেখ হাসিনা। বিষয়টি নিয়ে সম্মেলনে নেতাকর্মীদের আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে শত গুণ।
সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য এবার আলোচনায় আছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এর বাইরেও দলের শীর্ষপদে আলোচনায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় সদস্য আজমত উল্লাহ খান। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কাউন্সিলরদের মাইন্ড সেট আমাদের নেত্রী ভালো করেই জানেন। আমাদের কাউন্সিলররাও তাকিয়ে থাকবে আমাদের নেত্রী কাকে চান, কীভাবে চান। কীভাবে নেতৃত্ব থাকবে। নতুন নেতৃত্বকে কোন মডেলে সাজাবেন তার টিম।’ এদিকে গত সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে নিয়ে আগের সম্মেলনেও আলোচনা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের কমিটিতে রাখা হয়নি। এবার একই ধরনের আলোচনা আছে। তবে এ প্রসঙ্গে দলের নেতারা বলছেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন :
এবারের কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে মৌলিক কোনো পরিবর্তন না এলেও বহুল আলোচিত সহসম্পাদক পদ বাতিল হচ্ছে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৪১ থেকে ৫১ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব বিষয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শনিবারের কাউন্সিল অধিবেশনে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব দুটি উত্থাপন করা হবে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্রে দুটি বিষয় নতুন সংযোজন করা হয়েছে। সেগুলো হলো- বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন।
দলীয় তথ্যমতে, কাউন্সিল অধিবেশনে নির্বাচন পরিচালনায় গত বুধবার দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন দলের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমাযুন। অপর দুই সদস্য হলেন- উপদেষ্টা সদস্য ড. সাইদুর রহমার ও ড. মশিউর রহমান। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৫২(ক) ধারা মোতাবেক কমিটি গঠন করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নাম প্রস্তাব ও সমর্থন করে থাকেন জ্যেষ্ঠ নেতারা। কণ্ঠভোটে সমর্থন দেন কাউন্সিলররা। পরে গঠনতন্ত্র অনুযাযী পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন নতুন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।
এ ছাড়াও নারীর ক্ষমতায়নে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন শর্ত অনুযায়ী, দলে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারীর পদায়ন হচ্ছে। ২০০৮ সালে হওয়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী কোটা পূরণের ক্ষেত্রে আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দলের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের মধ্যে নারী নেতৃত্ব ৩৩ শতাংশ রাখার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাতে এবারের সম্মেলনেই এই কোটা পূরণ করতে চাইছে আওয়ামী লীগ। তাই এবারের কেন্দ্রীয় কমিটিতে দেখা যেতে পারে নতুন মুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক

আপলোড টাইম : ১০:২৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

কৌতূহলের অবসান আজ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক- এ বিষয় নিয়ে আলোচনা, জল্পনা-কল্পনার যেন শেষ নেই। দলের নেতাকর্মীর মধ্যে সব আলোচনা ও পর্যালোচনা এখন এই পদ ঘিরেই। অন্য পদগুলো নিয়ে যেন কারো মাথাব্যথা নেই। ঘুরেফিরে আলোচনায় থাকা দলের দ্বিতীয় শীর্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ পদটি কে পাচ্ছেন, তা জানা যাবে আজ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী ২১তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের আজ শেষ দিন, কাউন্সিল অধিবেশনে নেতা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অবসান হবে দলের এই পদ নিয়ে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের আগ্রহ ও কৌতূহলের। আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সব শ্রেণির মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি কৌতূহল ও আগ্রহ দুটি। প্রথমত. প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবার দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসছেন কি না, তা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। কারণ তারা চাইছেন, দলের আগামী নেতৃত্বের জন্য তাদের এখন থেকেই তৈরি করা দরকার। আগ্রহের অন্য বিষয়টি হচ্ছে, কে হচ্ছেন দলের সাধারণ সম্পাদক? তা নিয়েই মাসাধিকালের গুঞ্জন, আলোচনা ও কৌতূহলের অবসান হবে আজ। এসব প্রশ্নের উত্তর সাত হাজার কাউন্সিলর ও সাড়ে সাত হাজার ডেলিগেটসহ অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মীর সমর্থনে সেটা নির্ধারিত হবে আজ।
এদিকে নেতাকর্মীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা, দলে ও দেশে তার অপরিহার্যতার কারণে রেকর্ড নবমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন শেখ হাসিনা। নেতাকর্মীদের প্রশ্নহীন জোরালো সমর্থন রয়েছে তাতে। গত কয়েক দিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এবং দলের কার্যালয় ঘুরে বিভিন্ন সূত্রে কথা বলে সাধারণ সম্পাদক নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। এর আগে আওয়ামী লীগের প্রায় প্রতিটি সম্মেলনের আগে সাধারণ সম্পাদক পদে কে আসছেন, সে সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যেত। কিন্তু এবারের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হলেও সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদের অন্যদের থেকে এগিয়ে আছেন বলে নেতাদের কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম আলোচনায় আছে, তারা তো বটেই নীতিনির্ধারণী পর্যায়েরও কারো কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানা গেছে। নানা নেতা নিজের মতো করে পদটির জন্য কে যোগ্য, তার পক্ষে যুক্তি দাঁড় করিয়ে মূল্যায়ন করছেন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদটি এবার সবচেয়ে বড় চমক হিসেবে রাখছেন শেখ হাসিনা। বিষয়টি নিয়ে সম্মেলনে নেতাকর্মীদের আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে শত গুণ।
সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য এবার আলোচনায় আছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এর বাইরেও দলের শীর্ষপদে আলোচনায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় সদস্য আজমত উল্লাহ খান। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কাউন্সিলরদের মাইন্ড সেট আমাদের নেত্রী ভালো করেই জানেন। আমাদের কাউন্সিলররাও তাকিয়ে থাকবে আমাদের নেত্রী কাকে চান, কীভাবে চান। কীভাবে নেতৃত্ব থাকবে। নতুন নেতৃত্বকে কোন মডেলে সাজাবেন তার টিম।’ এদিকে গত সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে নিয়ে আগের সম্মেলনেও আলোচনা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের কমিটিতে রাখা হয়নি। এবার একই ধরনের আলোচনা আছে। তবে এ প্রসঙ্গে দলের নেতারা বলছেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন :
এবারের কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে মৌলিক কোনো পরিবর্তন না এলেও বহুল আলোচিত সহসম্পাদক পদ বাতিল হচ্ছে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৪১ থেকে ৫১ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব বিষয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শনিবারের কাউন্সিল অধিবেশনে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব দুটি উত্থাপন করা হবে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্রে দুটি বিষয় নতুন সংযোজন করা হয়েছে। সেগুলো হলো- বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন।
দলীয় তথ্যমতে, কাউন্সিল অধিবেশনে নির্বাচন পরিচালনায় গত বুধবার দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন দলের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমাযুন। অপর দুই সদস্য হলেন- উপদেষ্টা সদস্য ড. সাইদুর রহমার ও ড. মশিউর রহমান। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৫২(ক) ধারা মোতাবেক কমিটি গঠন করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নাম প্রস্তাব ও সমর্থন করে থাকেন জ্যেষ্ঠ নেতারা। কণ্ঠভোটে সমর্থন দেন কাউন্সিলররা। পরে গঠনতন্ত্র অনুযাযী পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন নতুন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।
এ ছাড়াও নারীর ক্ষমতায়নে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন শর্ত অনুযায়ী, দলে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারীর পদায়ন হচ্ছে। ২০০৮ সালে হওয়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী কোটা পূরণের ক্ষেত্রে আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দলের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের মধ্যে নারী নেতৃত্ব ৩৩ শতাংশ রাখার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাতে এবারের সম্মেলনেই এই কোটা পূরণ করতে চাইছে আওয়ামী লীগ। তাই এবারের কেন্দ্রীয় কমিটিতে দেখা যেতে পারে নতুন মুখ।