ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কৃষক ফারুকের লাশ উদ্ধার : পুলিশি তদন্ত শুরু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০১:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০১৭
  • / ৩২৪ বার পড়া হয়েছে

তিতুদহের বাটিকাডাঙ্গা থেকে নিখোঁজের দেড় মাস পর

তিতুদহ প্রতিনিধি: নিখোঁজ হওয়ার প্রায় দেড় মাস পর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেনের (৪৫) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ গ্রামের মাঠের একটি বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ফারুক হোসেন বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, মানুষিক প্রতিবন্ধি হওয়ায় গত ১ মাস ১৩ দিন নিখোঁজ থাকায় বাড়ি থেকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ফারুকের কোনো সন্ধান মেলেনি বলে জানায় তার পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রামের এক কিশোর মাছ ধরার উদ্দ্যেশ্যে বিলের পানিতে জাল পাততে যাবার সময় অসাবধানতা বসত পায়ে বাঁধে অর্ধগলিত লাশ। এ দৃশ্য দেখার পর ভয়ে সে চিৎকার দিলে গ্রামের লোকজন দৌড়ে এসে দেখতে পায় অর্ধগলিত গোলাম ফারুকের লাশ। শরিরের কোনো স্থানে মাংশ না থাকায় প্রথমে গ্রামের কেউই তাকে চিনতে না পারলেও পাঞ্জাবী এবং পরনের লুঙ্গী দেখে ফারুকের লাশ সনাক্ত তার পরিবারের সদস্যরা। পরে স্থানীয় তিতুদহ পুলিশ ক্যাম্পকে খবর দিলে দ্রুত এস আই লিটন গাজী সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের পরিবার জানায়, গত ২৭ আগস্ট ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ হয়। বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানানোর পাশাপাশি সম্ভব্য সকল জায়গাতে খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি পরিবার।
পুলিশ জানায়, নিখোঁজের ১ মাস ১৩ দিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কয়েকজন কৃষক গ্রামের মধু বিলে একটি গলিত লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে নিখোঁজ ব্যবসায়ী ফারুক হোসেনের পরিবারের সদস্যরা মরদেহের গায়ের কাপড় দেখে লাশ সনাক্ত করেন। রাত সাড়ে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) গোলাম হোসেন জানান, কেন এবং কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এই মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পরই সব কিছু পরিষ্কার হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কৃষক ফারুকের লাশ উদ্ধার : পুলিশি তদন্ত শুরু

আপলোড টাইম : ১১:০১:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০১৭

তিতুদহের বাটিকাডাঙ্গা থেকে নিখোঁজের দেড় মাস পর

তিতুদহ প্রতিনিধি: নিখোঁজ হওয়ার প্রায় দেড় মাস পর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেনের (৪৫) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ গ্রামের মাঠের একটি বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ফারুক হোসেন বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, মানুষিক প্রতিবন্ধি হওয়ায় গত ১ মাস ১৩ দিন নিখোঁজ থাকায় বাড়ি থেকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ফারুকের কোনো সন্ধান মেলেনি বলে জানায় তার পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রামের এক কিশোর মাছ ধরার উদ্দ্যেশ্যে বিলের পানিতে জাল পাততে যাবার সময় অসাবধানতা বসত পায়ে বাঁধে অর্ধগলিত লাশ। এ দৃশ্য দেখার পর ভয়ে সে চিৎকার দিলে গ্রামের লোকজন দৌড়ে এসে দেখতে পায় অর্ধগলিত গোলাম ফারুকের লাশ। শরিরের কোনো স্থানে মাংশ না থাকায় প্রথমে গ্রামের কেউই তাকে চিনতে না পারলেও পাঞ্জাবী এবং পরনের লুঙ্গী দেখে ফারুকের লাশ সনাক্ত তার পরিবারের সদস্যরা। পরে স্থানীয় তিতুদহ পুলিশ ক্যাম্পকে খবর দিলে দ্রুত এস আই লিটন গাজী সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের পরিবার জানায়, গত ২৭ আগস্ট ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ হয়। বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানানোর পাশাপাশি সম্ভব্য সকল জায়গাতে খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি পরিবার।
পুলিশ জানায়, নিখোঁজের ১ মাস ১৩ দিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কয়েকজন কৃষক গ্রামের মধু বিলে একটি গলিত লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে নিখোঁজ ব্যবসায়ী ফারুক হোসেনের পরিবারের সদস্যরা মরদেহের গায়ের কাপড় দেখে লাশ সনাক্ত করেন। রাত সাড়ে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) গোলাম হোসেন জানান, কেন এবং কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এই মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পরই সব কিছু পরিষ্কার হবে।