ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আলোক ফাঁদ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৬:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৯
  • / ২১৪ বার পড়া হয়েছে

মিঠুন মাহমুদ:
জীবননগরে কৃষকদের মাধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আলোক ফাঁদ। জীবননগর উপজেলায় বেশির ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বর্তমান ডিজিটাল সময়ে দেখা যায়, কৃষকেরাও চাষাবাদে প্রতি বছরই নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে আসছেন। জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় চাষিরা যাতে চাষ করে লাভবান হন, সে জন্য মাঠপর্যায়ে প্রতিনিয়ত কৃষকদের নতুন নতুন চাষের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় ধ্বংস করার জন্য দেওয়া হচ্ছে আলোক ফাঁদ। ইতিমধ্যেই উপজেলাতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ আলোক ফাঁদ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সন্ধ্যা হলেই মাঠপর্যায়ে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় কৃষকেরা ফসলের জমিতে ক্ষতিকারক পোকাদমন ও উপকারী পোকা শনাক্ত করার জন্য আলোক ফাঁদ দিয়ে বসে আছেন। যার ফলে ইতিমধ্যেই ক্ষতিকারক পোকা থেকে ফসল রক্ষা করতে পারছেন কৃষকেরা। উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের সবজিচাষি আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ ধান, পাটসহ প্রতিবছরই শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করে আসছি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ধানের মাজরাপোকার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কীটনাশক দেওয়ার পরও কোনো লাভ হয় না। কিন্তু জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বর্তমানে আলোর ফাঁদ দিয়ে দেখা গেছে, মাজরাপোকা, সবুজ পাতা ফড়িং ও খাটো সুর ঘাসফড়িং নামক ফসলের ক্ষতিকারক পোকাগুলো আলোক ফাঁদের মাধ্যমে প্রতিরোধ কার সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি ফসলের জন্য মাকোসা ও ড্রানসেলফ ফ্লাই নামক উপকারী পোকাও শনাক্ত করা যাচ্ছে। এ কারণে এখন আমারা ফসলে অনেক কীটনাশক কম ব্যবহার করি।’
জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, উপজেলায় যেসব কৃষকেরা আছেন, জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাঁদের প্রতিনিয়ত চাষাবাদ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষকদের ফসলে কোনো প্রকার সমস্যা দেখা দিলেই কৃষি অফিস থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি উপজেলার প্রতিটি ব্লকে প্রতিদিন সন্ধ্যায় কৃষকদের আলোর ফাঁদ ব্যবহারের কৌশল হাতে-কলমে শেখানো হচ্ছে এবং এর উপকার সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, উপজেলায় আলোক ফাঁদটি কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং অনেক কৃষক এ ফাঁদ ব্যবহার করে লাভবানও হয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আলোক ফাঁদ

আপলোড টাইম : ০৯:৫৬:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৯

মিঠুন মাহমুদ:
জীবননগরে কৃষকদের মাধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আলোক ফাঁদ। জীবননগর উপজেলায় বেশির ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বর্তমান ডিজিটাল সময়ে দেখা যায়, কৃষকেরাও চাষাবাদে প্রতি বছরই নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে আসছেন। জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় চাষিরা যাতে চাষ করে লাভবান হন, সে জন্য মাঠপর্যায়ে প্রতিনিয়ত কৃষকদের নতুন নতুন চাষের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় ধ্বংস করার জন্য দেওয়া হচ্ছে আলোক ফাঁদ। ইতিমধ্যেই উপজেলাতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ আলোক ফাঁদ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সন্ধ্যা হলেই মাঠপর্যায়ে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় কৃষকেরা ফসলের জমিতে ক্ষতিকারক পোকাদমন ও উপকারী পোকা শনাক্ত করার জন্য আলোক ফাঁদ দিয়ে বসে আছেন। যার ফলে ইতিমধ্যেই ক্ষতিকারক পোকা থেকে ফসল রক্ষা করতে পারছেন কৃষকেরা। উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের সবজিচাষি আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ ধান, পাটসহ প্রতিবছরই শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করে আসছি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ধানের মাজরাপোকার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কীটনাশক দেওয়ার পরও কোনো লাভ হয় না। কিন্তু জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বর্তমানে আলোর ফাঁদ দিয়ে দেখা গেছে, মাজরাপোকা, সবুজ পাতা ফড়িং ও খাটো সুর ঘাসফড়িং নামক ফসলের ক্ষতিকারক পোকাগুলো আলোক ফাঁদের মাধ্যমে প্রতিরোধ কার সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি ফসলের জন্য মাকোসা ও ড্রানসেলফ ফ্লাই নামক উপকারী পোকাও শনাক্ত করা যাচ্ছে। এ কারণে এখন আমারা ফসলে অনেক কীটনাশক কম ব্যবহার করি।’
জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, উপজেলায় যেসব কৃষকেরা আছেন, জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাঁদের প্রতিনিয়ত চাষাবাদ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষকদের ফসলে কোনো প্রকার সমস্যা দেখা দিলেই কৃষি অফিস থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি উপজেলার প্রতিটি ব্লকে প্রতিদিন সন্ধ্যায় কৃষকদের আলোর ফাঁদ ব্যবহারের কৌশল হাতে-কলমে শেখানো হচ্ছে এবং এর উপকার সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, উপজেলায় আলোক ফাঁদটি কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং অনেক কৃষক এ ফাঁদ ব্যবহার করে লাভবানও হয়েছেন।