ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কৃচ্ছ্রসাধনে কঠোরতা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১১৩ বার পড়া হয়েছে

নতুন নীতি বাস্তবায়নে নিষ্ঠা দরকার
অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে রীতি অনুযায়ী সরকার জাতীয় বাজেট সংশোধন করে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কাটছাঁট করে। তবে এবারের সংশোধন শুধু প্রথাগত সংশোধন নয়। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব মোকাবেলার লক্ষ্যে এবার বাজেট সংশোধনে পুরো নীতিমালা তৈরি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ নীতিতে কৃচ্ছ্রসাধনে কঠোরতা আরোপিত হয়েছে। যানবাহন কেনা স্থগিত করা বা ভ্রমণ ব্যয় কমানোর মতো পুরনো কঠোরতা তো রয়েছেই, এবারের নীতিমালায় এডিপির অর্থ ব্যয়ে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এডিপির উৎসর অভ্যন্তরীণ খাতের ২৫ শতাংশ অর্থ সংরক্ষণ করতে হবে। ধীরগতির প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়ে দ্রুতগতির গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। প্রথমবারের মতো সরকার কৃচ্ছ্রসাধনে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনা মহামারিতে প্রণোদনা, টিকা ক্রয়সহ বিভিন্ন খাতে বড় ব্যয়ের প্রয়োজন রয়েছে। সেই ব্যয় নির্বাহের জন্য অতিরিক্ত অর্থ সাশ্রয় করা জরুরি। এ লক্ষ্যেই এবার অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনীয় খরচ কমাতে নীতিমালা করা হয়েছে। এডিপি বাস্তবায়নে এবার ৭৫ শতাংশ অর্থ রাখা হচ্ছে। কৃচ্ছ্রসাধনের পাশাপাশি এবার ব্যয়নীতিও ঠিক রাখা যাবে। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। আর অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি কমেছে। গত অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৮৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এনবিআর ৮৪.৮৫ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করতে না পারলে রাজস্ব ঘাটতি গত অর্থবছরের ঘাটতিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় তাই কৃচ্ছ্রসাধনের নীতি নিয়েছে। সাধারণ নীতিমালায় বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট প্রাক্কলন অবশ্যই চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে প্রদর্শিত ব্যয়সীমার মধ্যে সংকুলানযোগ্য হতে হবে। অতিরিক্ত বরাদ্দ দাবি করা যাবে না। উন্নয়ন ব্যয়ের অর্থ অব্যয়িত থাকবে বলে মনে হলে তা কোনোভাবেই পরিচালন বাজেটে স্থানান্তর করা যাবে না। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জাতীয় বাজেটে কৃচ্ছ্রসাধন জরুরি। অর্থনীতির মূল বিষয়গুলোকে ঠিক রাখাই এ প্রয়াসের উদ্দেশ্য। নতুন নীতিগুলো দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে। এই দুর্যোগের সময় কোনো অনাকাঙ্খিত ব্যয় কাম্য নয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কৃচ্ছ্রসাধনে কঠোরতা

আপলোড টাইম : ১১:০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০

নতুন নীতি বাস্তবায়নে নিষ্ঠা দরকার
অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে রীতি অনুযায়ী সরকার জাতীয় বাজেট সংশোধন করে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কাটছাঁট করে। তবে এবারের সংশোধন শুধু প্রথাগত সংশোধন নয়। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব মোকাবেলার লক্ষ্যে এবার বাজেট সংশোধনে পুরো নীতিমালা তৈরি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ নীতিতে কৃচ্ছ্রসাধনে কঠোরতা আরোপিত হয়েছে। যানবাহন কেনা স্থগিত করা বা ভ্রমণ ব্যয় কমানোর মতো পুরনো কঠোরতা তো রয়েছেই, এবারের নীতিমালায় এডিপির অর্থ ব্যয়ে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এডিপির উৎসর অভ্যন্তরীণ খাতের ২৫ শতাংশ অর্থ সংরক্ষণ করতে হবে। ধীরগতির প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়ে দ্রুতগতির গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। প্রথমবারের মতো সরকার কৃচ্ছ্রসাধনে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনা মহামারিতে প্রণোদনা, টিকা ক্রয়সহ বিভিন্ন খাতে বড় ব্যয়ের প্রয়োজন রয়েছে। সেই ব্যয় নির্বাহের জন্য অতিরিক্ত অর্থ সাশ্রয় করা জরুরি। এ লক্ষ্যেই এবার অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনীয় খরচ কমাতে নীতিমালা করা হয়েছে। এডিপি বাস্তবায়নে এবার ৭৫ শতাংশ অর্থ রাখা হচ্ছে। কৃচ্ছ্রসাধনের পাশাপাশি এবার ব্যয়নীতিও ঠিক রাখা যাবে। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। আর অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি কমেছে। গত অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৮৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এনবিআর ৮৪.৮৫ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করতে না পারলে রাজস্ব ঘাটতি গত অর্থবছরের ঘাটতিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় তাই কৃচ্ছ্রসাধনের নীতি নিয়েছে। সাধারণ নীতিমালায় বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট প্রাক্কলন অবশ্যই চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে প্রদর্শিত ব্যয়সীমার মধ্যে সংকুলানযোগ্য হতে হবে। অতিরিক্ত বরাদ্দ দাবি করা যাবে না। উন্নয়ন ব্যয়ের অর্থ অব্যয়িত থাকবে বলে মনে হলে তা কোনোভাবেই পরিচালন বাজেটে স্থানান্তর করা যাবে না। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জাতীয় বাজেটে কৃচ্ছ্রসাধন জরুরি। অর্থনীতির মূল বিষয়গুলোকে ঠিক রাখাই এ প্রয়াসের উদ্দেশ্য। নতুন নীতিগুলো দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে। এই দুর্যোগের সময় কোনো অনাকাঙ্খিত ব্যয় কাম্য নয়।