ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘কুড়ুলগাছী, না কুড়ালগাছী’, এ নিয়ে বিপত্তি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ১৯৭ বার পড়া হয়েছে

ওয়াসিম রয়েল:
‘কুড়–লগাছী, না কুড়ালগাছী’, শব্দের শুদ্ধ উচ্চারণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাঁধে তর্কযুদ্ধ। ঘটনাটি কয়েক দিন আগে ঘটলেও এর শেষ পরিণতি হয় হাতাহাতি, গড়ায় মারধরের ঘটনায়। এতে একজন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে পাশাপশি দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনাও বিরাজ করছে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গেছে, কয়েক দিন আগে দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছী ইউনিয়নের কুড়–লগাছী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে হাসান আসেন একই ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের শেষপাড়ার বাজারের একটি দোকানে চা খেতে। এ সময় প্রতাপপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে মামুনের পাশের গ্রাম থেকে চা খেতে আসা হাসানকে অপরিচিত মনে হলে তাঁর কাছে জানতে চান, তাঁর বাড়ি কোথায়? হাসান উত্তরে জানান, তাঁর বাড়ি কুড়ালগাছী। প্রতাপপুর গ্রামের মামুন বলেন, ‘তোমাদের গ্রামের শুদ্ধ নাম কুড়–লগাছী।’ এ নিয়ে বাঁধে দুজনের মধ্যে বাগবিত-া। পরে এ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় কোনো ঘটনা যেন না ঘটে, সে লক্ষ্যে প্রতাপপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন দুই পক্ষকে গতকাল সোমবার এশার নামাজের পর প্রতাপপুর গ্রামে ডাকেন বিষয়টি সমাধানের জন্য। পরে কুড়–লগাছীর হাসান চ-িপুরের আবু বক্করের ছেলে তাইফুরকে সঙ্গে নিয়ে অভিভাবকসহ প্রতাপপুর গ্রামের ওই বাজারে হাজির হলে কথায় কথায় দুই পক্ষের মধ্যে বাঁধে হাতাহাতি। একপর্যায়ে শুরু হয় মারামারি।
এ সময় অন্ধকারের মধ্যে কুড়–লগাছী গ্রামের আনিছের মাথায় কেউ একজন আঘাত করেন। আঘাতে আনিছ ঘটনাস্থলেই পড়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার পর বাড়িতে দিয়ে আসেন। আনিছের মাথায় তিনটি সেলাই হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে খবর আসে গোপালখালী ব্রিজের নিকট ডাকাতি হচ্ছে। এ খবর পেয়ে দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক শেখ মাহাবুবুর রহমান নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতির কোনো আলামত খুঁজে পাননি। পরে তিনি জানতে পারেন, প্রতাপপুর গ্রামে একটি মারামারির ঘটনা চলছে। এরপর আবার পুলিশ প্রতাপপুর গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ততক্ষণে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় পুলিশ ও সাংবাদিকেরা স্থানীয় লোকজনের কাছে ঘটনার বর্ণনা শুনে হতভম্ব হয়ে পড়ে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

‘কুড়ুলগাছী, না কুড়ালগাছী’, এ নিয়ে বিপত্তি

আপলোড টাইম : ১১:০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ওয়াসিম রয়েল:
‘কুড়–লগাছী, না কুড়ালগাছী’, শব্দের শুদ্ধ উচ্চারণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাঁধে তর্কযুদ্ধ। ঘটনাটি কয়েক দিন আগে ঘটলেও এর শেষ পরিণতি হয় হাতাহাতি, গড়ায় মারধরের ঘটনায়। এতে একজন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে পাশাপশি দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনাও বিরাজ করছে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গেছে, কয়েক দিন আগে দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছী ইউনিয়নের কুড়–লগাছী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে হাসান আসেন একই ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের শেষপাড়ার বাজারের একটি দোকানে চা খেতে। এ সময় প্রতাপপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে মামুনের পাশের গ্রাম থেকে চা খেতে আসা হাসানকে অপরিচিত মনে হলে তাঁর কাছে জানতে চান, তাঁর বাড়ি কোথায়? হাসান উত্তরে জানান, তাঁর বাড়ি কুড়ালগাছী। প্রতাপপুর গ্রামের মামুন বলেন, ‘তোমাদের গ্রামের শুদ্ধ নাম কুড়–লগাছী।’ এ নিয়ে বাঁধে দুজনের মধ্যে বাগবিত-া। পরে এ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় কোনো ঘটনা যেন না ঘটে, সে লক্ষ্যে প্রতাপপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন দুই পক্ষকে গতকাল সোমবার এশার নামাজের পর প্রতাপপুর গ্রামে ডাকেন বিষয়টি সমাধানের জন্য। পরে কুড়–লগাছীর হাসান চ-িপুরের আবু বক্করের ছেলে তাইফুরকে সঙ্গে নিয়ে অভিভাবকসহ প্রতাপপুর গ্রামের ওই বাজারে হাজির হলে কথায় কথায় দুই পক্ষের মধ্যে বাঁধে হাতাহাতি। একপর্যায়ে শুরু হয় মারামারি।
এ সময় অন্ধকারের মধ্যে কুড়–লগাছী গ্রামের আনিছের মাথায় কেউ একজন আঘাত করেন। আঘাতে আনিছ ঘটনাস্থলেই পড়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার পর বাড়িতে দিয়ে আসেন। আনিছের মাথায় তিনটি সেলাই হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে খবর আসে গোপালখালী ব্রিজের নিকট ডাকাতি হচ্ছে। এ খবর পেয়ে দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক শেখ মাহাবুবুর রহমান নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতির কোনো আলামত খুঁজে পাননি। পরে তিনি জানতে পারেন, প্রতাপপুর গ্রামে একটি মারামারির ঘটনা চলছে। এরপর আবার পুলিশ প্রতাপপুর গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ততক্ষণে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় পুলিশ ও সাংবাদিকেরা স্থানীয় লোকজনের কাছে ঘটনার বর্ণনা শুনে হতভম্ব হয়ে পড়ে।