ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় জাল ব্যান্ডরোল ও সিগারেট উদ্ধার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ২১৬ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া পালপাড়া এলাকা থেকে আড়াই কোটি টাকা মুল্যের জাল ব্যান্ডরোল, অবৈধভাবে উৎপাদনকৃত সিগারেট, সিগারেট তৈরির কাঁচামাল ও অবৈধভাবে সিগারেট উৎপাদনে সহায়ক যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও র‌্যাব-১২-এর সহযোগিতায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ভারগন টোবাকো কোম্পানির ৩টি গোডাউনে এই অভিযান পারিচালনা করে। এ সময় ভারগন টোবাকোর ম্যানেজার কাজী রাসেল আজাদ রিপনকে আটক করা হয় এবং অবৈধভাবে সিগারেট উৎপাদনের সঙ্গে দুজন রাজস্ব কর্মকর্তার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। জানা যায়, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এনএসআই জানতে পারে যে জেলার সদর উপজেলার জুগিয়া পালপাড়া এলাকায় ভারগন টোবাকো দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে অবৈধভাবে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে আজ সেখানে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে ভারগন টোবাকোর ৩টি গোডাউন থেকে আনুমানিক ৩০-৩৫ হাজার জাল ব্যন্ডরোল, ৩৫-৪০ কার্টুন অবৈধভাবে উৎপাদিত সিগারেট, সিগারেট তৈরির কাঁচামাল এবং অবৈধভাবে আমদানিকৃত সিগারেট উৎপাদনে সহায়ক যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা। অভিযানে জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ভারগন টোবাকোর ম্যানেজার রিপনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরবর্তীতে, কুষ্টিয়া মডেল থানায় ভারগন টোবাকোর বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। অভিযানকালে দেখা যায়, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শামসুজ্জামান ও প্রানেশ কুমার সরকারের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি ও সহযোগিতায় ভারগন টোবাকোর সামগ্রীক অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছিল। এই দুই সরকারি কর্মকর্তা ভারগন টোবাকোর আতিথেয়তায় সেখানে অবস্থানপূর্বক বিভিন্ন অবৈধ সুবিধাও ভোগ করে আসছিলেন। এমনকি, তাঁদের জন্য বিলাসবহুল আবাসনও বরাদ্দ ছিল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কুষ্টিয়ায় জাল ব্যান্ডরোল ও সিগারেট উদ্ধার

আপলোড টাইম : ১০:২০:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

আলমডাঙ্গা অফিস:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া পালপাড়া এলাকা থেকে আড়াই কোটি টাকা মুল্যের জাল ব্যান্ডরোল, অবৈধভাবে উৎপাদনকৃত সিগারেট, সিগারেট তৈরির কাঁচামাল ও অবৈধভাবে সিগারেট উৎপাদনে সহায়ক যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও র‌্যাব-১২-এর সহযোগিতায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ভারগন টোবাকো কোম্পানির ৩টি গোডাউনে এই অভিযান পারিচালনা করে। এ সময় ভারগন টোবাকোর ম্যানেজার কাজী রাসেল আজাদ রিপনকে আটক করা হয় এবং অবৈধভাবে সিগারেট উৎপাদনের সঙ্গে দুজন রাজস্ব কর্মকর্তার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। জানা যায়, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এনএসআই জানতে পারে যে জেলার সদর উপজেলার জুগিয়া পালপাড়া এলাকায় ভারগন টোবাকো দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে অবৈধভাবে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে আজ সেখানে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে ভারগন টোবাকোর ৩টি গোডাউন থেকে আনুমানিক ৩০-৩৫ হাজার জাল ব্যন্ডরোল, ৩৫-৪০ কার্টুন অবৈধভাবে উৎপাদিত সিগারেট, সিগারেট তৈরির কাঁচামাল এবং অবৈধভাবে আমদানিকৃত সিগারেট উৎপাদনে সহায়ক যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা। অভিযানে জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ভারগন টোবাকোর ম্যানেজার রিপনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরবর্তীতে, কুষ্টিয়া মডেল থানায় ভারগন টোবাকোর বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। অভিযানকালে দেখা যায়, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শামসুজ্জামান ও প্রানেশ কুমার সরকারের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি ও সহযোগিতায় ভারগন টোবাকোর সামগ্রীক অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছিল। এই দুই সরকারি কর্মকর্তা ভারগন টোবাকোর আতিথেয়তায় সেখানে অবস্থানপূর্বক বিভিন্ন অবৈধ সুবিধাও ভোগ করে আসছিলেন। এমনকি, তাঁদের জন্য বিলাসবহুল আবাসনও বরাদ্দ ছিল।